Samakal:
2025-06-19@18:59:19 GMT

সেই ওসি সুজন মিঞা প্রত্যাহার

Published: 4th, May 2025 GMT

সেই ওসি সুজন মিঞা প্রত্যাহার

দিনাজপুরের হাকিমপুরে শ্রমিক দল আয়োজিত মে দিবসের র‌্যালিতে অংশ নেওয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. সুজন মিঞাকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এ সংক্রান্ত একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়লে আজ রোববার দুপুরে ১২টার দিকে তাকে প্রত্যাহার করে দিনাজপুর জেলা পুলিশ লাইনসে সংযুক্ত করা হয়েছে। 

জেলা পুলিশ সুপার মো.

মারুফাত হুসাইন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মে দিবস উপলক্ষে গত বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার হিলি স্থলবন্দরের চারমাথা থেকে পৌর শ্রমিক দল র‌্যালি বের করে। র‌্যালিটি হিলি বাসস্ট্যান্ডের দিকে যাওয়ার সময় তাতে হাকিমপুর থানার ওসি মো. সুজন মিঞা অংশ নেন। এ সংক্রান্ত ৩০ সেকেন্ডের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে এলাকায় আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়। 

নাম প্রকাশ না করার শর্তে দিনাজপুর জেলা পুলিশের একজন কর্মকর্তা বলেন, ওসি মো. সুজন মিঞা একটি রাজনৈতিক দলের র‌্যালিতে অংশ নেন। বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। ফলে বিষয়টি পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নজরে আসে। তদন্ত সাপেক্ষে তাকে হাকিমপুর থানার অফিসার ইনচার্জ থেকে প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে। বর্তমানে তাকে দিনাজপুর জেলা পুলিশ লাইনসে সংযুক্ত করা হয়েছে।

ওসি মো. সুজন মিঞা এ বিষয়ে জানান, হাকিমপুর থানা থেকে তাকে ক্লোজড করা হয়নি। তবে দিনাজপুর অপরাধ বিভাগে বদলি করা হয়েছে। মিছিলে অংশ নেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, মোবাইল ফোনে কথা বলতে বলতে তিনি মিছিলে ঢুকে যান। এটি ভুলবশত হয়েছে।

এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে দিনাজপুর জেলা পুলিশ সুপার মো. মারুফাত হুসাইন জানান, রোববার সকালে তাকে প্রত্যাহার করে জেলা পুলিশ লাইনসে সংযুক্ত করা হয়েছে। শুধু একটি বিষয়ে না, নানা বিষয়ে এমন বদলি হয়ে থাকে।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: স জন ম ঞ

এছাড়াও পড়ুন:

সড়কের খানাখন্দে বৃষ্টির পানি, দুর্ঘটনার ঝুঁকি

মির্জাপুর উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়নের কুর্নী-ফতেপুর সড়কটি চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। বেপরোয়া মাটিবাহী ট্রাক চলাচল করায় সড়কটি খানাখন্দে ভরে গেছে। বড় বড় গর্ত হওয়ায় প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা। দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে দুই উপজেলার কয়েকটি ইউনিয়নের মানুষ।
সড়কটি সংস্কারের জন্য দরপত্র আহ্বানের কথা শোনা গেলেও অজ্ঞাত কারণে কাজ শুরু হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন এলাকার লোকজন। জানা গেছে, ফতেপুর ও তরফপুর ইউনিয়নের কমপক্ষে ১০টি গ্রামের এবং পাশের বাসাইল উপজেলার একাধিক ইউনিয়নের মানুষ মির্জাপুর উপজেলা সদরে আসেন কুর্নী-ফতেপুর সড়ক দিয়ে। দীর্ঘদিন ধরে সড়কটি খানাখন্দে পরিণত হয়ে থাকলেও অজ্ঞাত কারণে সংস্কারের কোনো উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে না। সড়কের অধিকাংশ স্থানে গর্ত ও ভেঙে যাওয়ায় যান চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে।
বৃহস্পতিবার কুর্নী-ফতেপুর সড়কের কুর্নী ও বহনতলী গ্রামে গিয়ে দেখা গেছে, সড়কটিতে একটু দূরে দূরে রয়েছে বড় বড় গর্ত। মাটি বোঝাই ট্রাক বেপরোয়া চলাচলের কারণে সড়কের এই অবস্থা হয়েছে বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর। গর্তের মধ্যে বৃষ্টির পানি জমে থাকায় যানবাহন চালকদের রাস্তার অবস্থান বুঝতে অসুবিধা হচ্ছে। অনেক যানবাহন গর্তে পড়ে দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে।
ভাতকুড়া গ্রামের বাসিন্দা হারুন অর রশিদ বলেন, ‘এই সড়ক দিয়ে চলাচরের সময় আতঙ্কে থাকি। কখন দুর্ঘটনার কবলে পরতে হয় সেই চিন্তা নিয়ে চলতে হয়।’
কুর্নী গ্রামের বাসিন্দা মুক্তার আলী জানান, সাত থেকে আট মাস আগে সড়কটি মাপজোখ করা হলেও এখনও সংস্কার কাজ শুরু হলো না কেন বুঝতে পারছেন না তারা।
ফতেপুর ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসক ও উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা শুভাশিষ কর্মকারের ভাষ্য, কুর্নী-ফতেপুর সড়কটি খারাপ হওয়ায় মহেড়া ইউনিয়নের ধল্যা-ছাওয়ালী রাস্তা ঘুরে তাঁকে ফতেপুর ইউনিয়ন পরিষদে যেতে হয়। সড়কটি দ্রুত সংস্কার হওয়া প্রয়োজন বলে জানান তিনি।
মির্জাপুর উপজেলা প্রকৌশলী মনিরুল সাজ রিজন বলেন, কুর্নী-ফতেপুর সড়কটি সংস্কারের জন্য টেন্ডার হওয়ার পর ঠিকাদার নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে জুলাই মাসে কাজ শুরু হবে বলে জানান তিনি।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ