প্রথমবারের মতো পূর্ণাঙ্গ গল্পভিত্তিক মিউজিক ভিডিওতে মৌ
Published: 4th, May 2025 GMT
‘তুমি রবে নীরবে’– এক মা-মেয়ের গল্প। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কালজয়ী এ গান এবার রূপ পাচ্ছে একটি মিউজিক ভিডিওতে। এই ভিডিওটি নির্মাণ করছেন চলচ্চিত্র ও নাট্যনির্মাতা চয়নিকা চৌধুরী। তিনি নিজ হাতে গড়েছেন এক নিঃসঙ্গ মায়ের অন্তর্জগৎ ও হারিয়ে যাওয়া মেয়ের ফিরে আসার করুণ বাস্তবতা।
দেশের কিংবদন্তি মডেল, নৃত্যশিল্পী ও অভিনেত্রী সাদিয়া ইসলাম মৌ প্রথমবারের মতো একটি পূর্ণাঙ্গ গল্পভিত্তিক মিউজিক ভিডিওতে অভিনয় করছেন। যেখানে তিনি তুলে ধরেছেন নিঃশব্দ ভালোবাসা, প্রতীক্ষা ও মাতৃত্বের ব্যথা। কানাডার টরন্টো প্রবাসী, যিনি বর্তমানে ফ্লোরিডায় বসবাসরত একজন গজল সংগীতশিল্পী শিরিন চৌধুরীর গানটি গেয়েছেন, যাঁর প্রতিটি সুরে লুকিয়ে আছে ব্যক্তিগত বাস্তবতার ছোঁয়া।
প্রযোজনা সংস্থা সিংগিস্টিক-এর ব্যানারে ভিডিওটি নির্মিত হয়েছে। নতুন প্রতিভাবান মডেল নিদ্রিতা সরকার থাকছেন মৌয়ের মেয়ের চরিত্রে। ভিডিওটি চিত্রগ্রহণ করেছেন সুমন হোসেন। এটি মুক্তি পাবে আসছে ১১ মে আন্তর্জাতিক মা দিবসে।
চয়নিকা চৌধুরী বলেন, ‘তুমি রবে নীরবে’ সব মায়ের প্রতি শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার এক চিরন্তন উৎসর্গ। মডেল মৌয়ের অনবদ্য অভিনয় কাজটিকে আরও প্রাণবন্ত করেছে। আশা করছি, মিউজিক ভিডিওটি সবার ভালো লাগবে।’
প্রসঙ্গত, ১৯৮৯ সালে একটি শ্যাম্পুর বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে মডেলিংয়ে পা রাখেন মৌ। এখন পর্যন্ত তিনিই বাংলাদেশের সর্বাধিক পারিশ্রমিক পাওয়া নারী মডেল। মডেলিংয়ের পাশাপাশি টিভি নাটকে মাঝেমধ্যে তাদের দেখা যায়। গত ঈদে তিনি অভিনয় করেছিলেন ‘কোনো একদিন’ নাটকে। ফারিয়া হোসেনের লেখা নাটকটি পরিচালনা করেছেন চয়নিকা চৌধুরী। এতে মৌয়ের বিপরীতে দেখা গেছে আফজাল হোসেনকে।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: স দ য় ইসল ম ম
এছাড়াও পড়ুন:
উইম্বলডনে ছেলেদের ট্রফিতে কেন আনারস
ট্রফিটি দেখলেই চোখ জুড়িয়ে যায়। রূপায় মোড়ানো ১৮ ইঞ্চি উচ্চতার ট্রফি। উইম্বলডনের সবুজ গালিচায় ছেলেদের এককে চ্যাম্পিয়ন হয়ে কোনো পুরুষ প্রতিযোগী যখন এ ট্রফিটি উঁচিয়ে ধরেন, তখন সেই সাফল্যের গর্বই অন্য রকম।
তবে উইম্বলডনে ছেলেদের এককে এই ট্রফিটি ভালোভাবে খেয়াল করলে একটি বিষয় চোখে পড়তে পারে। ট্রফিটির মাথায় যে ছোট্ট একটি আনারস! মানে দেখতে আনারসের মতোই লাগে। দুনিয়ায় এত কিছু থাকতে উইম্বলডনের ট্রফির মাথায় কেন আনারস বসানো, সেই প্রশ্ন কিন্তু উঠতেই পারে।
উত্তর দিয়েছে বিবিসি। আনারস খুব বেশি পাওয়া যায় না, এমন ভেবে ফলটিকে মর্যাদার প্রতীক হিসেবে ধরে ট্রফির মাথায় তার ভাস্কর্য জুড়ে দেওয়া হয়েছে। প্রশ্ন হলো, আনরস ফল হিসেবে তো অপ্রতুল হওয়ার কথা নয়? বিবিসি এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে নিয়ে গেছে অনেক বছর আগে।
আরও পড়ুনপ্রতিবেশীদের কটূক্তি সইতে না পেরে টেনিস খেলোয়াড় মেয়েকে গুলি করে মারলেন বাবা৩ ঘণ্টা আগেবছরে চারটি গ্র্যান্ড স্লাম টেনিসের মধ্যে সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ উইম্বলডন চ্যাম্পিয়নশিপ শুরু হয় ১৮৭৭ সালে। উনিশ শতকে শেষার্ধে ব্রিটেনে আনারস বেশ অপ্রতুল, দামি এবং অভিজাত ফল ছিল। যদিও নাবিক ও অনুসন্ধানকারী ক্রিস্টোফার কলম্বাস ৪০০ বছর আগেই এই ফলটি ইউরোপে প্রথমবারের মতো ফিরিয়ে এনেছিলেন। বিংশ শতকের শুরুর দশকে পশ্চিম ইউরোপে রপ্তানির জন্য হাওয়াই আনারস প্রথমবারের মতো বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদন শুরু হয়। এ কারণে আনারস বেশ মর্যাদাপূর্ণ ফল ছিল তখন।
উইম্বলডনে গত আসরে চ্যাম্পিয়ন হন কার্লোস আলকারাজ