কক্সবাজারে সমন্বিত মানবিক সহায়তা জোরদার করার লক্ষ্যে ব্র্যাক ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) মধ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করা হয়েছে।

সোমবার (৫ মে) রাজধানীর মহাখালীর ব্র্যাক সেন্টারে ‘হিউম্যানিটারিয়ান-ডেভেলপমেন্ট কোএক্সিসটেন্স নেক্সাস টু এড্রেস রোহিঙ্গা ক্রাইসিস ইন কক্সবাজার’ শীর্ষক একটি প্রকল্পের যাত্রা শুরু উপলক্ষে এ চুক্তি স্বাক্ষর করা হয়।

বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলার এবং ব্র্যাকের নির্বাহী পরিচালক আসিফ সালেহ নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।

ব্যয় সাশ্রয়, দক্ষতা, ক্ষতিগ্রস্ত জনগোষ্ঠীর প্রতি জবাবদিহিতা, সহাবস্থান এবং স্থানীয় জনসাধারণের ক্ষমতায়ন এ প্রকল্পের মূল ভিত্তি। এর মাধ্যমে ১ লাখ ২৫ হাজারের বেশি রোহিঙ্গা শরণার্থী এবং প্রায় ২ হাজার ৫০০ জন স্থানীয় মানুষ (হোস্ট কমিউনিটি) উপকৃত হবেন বলে আশা করা হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে নারী, যুব ও প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরা বিশেষ গুরুত্ব পাবেন।

২০১৭ সালে রোহিঙ্গা সঙ্কট শুরু হওয়ার দীর্ঘ সাত বছর পরেও কক্সবাজারে শরণার্থী এবং স্থানীয় জনগোষ্ঠী একটি দীর্ঘায়িত মানবিক সংকটজনক পরিস্থিতির মধ্যে রয়েছে। সহায়তা তহবিল কমে যাওয়া, বহুমুখী সামাজিক চাপ বৃদ্ধি এবং প্রয়োজনীয় সেবা দেওয়ার মতো চ্যালেঞ্জগুলো ওই অঞ্চলের সীমিত স্থানীয় সম্পদের ওপর আরো চাপ বাড়াচ্ছে।

এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় এই প্রকল্পটি মানবিক ও উন্নয়নমূলক দৃষ্টিভঙ্গির সমন্বয়ে দক্ষতা, জবাবদিহিতা এবং টেকসই সমাধানের লক্ষ্যে একটি মধ্যমেয়াদি সমন্বিত সমাধানের পথ দেখাবে। এই উদ্যোগের মাধ্যমে সাধারণ মানুষের অংশগ্রহণ ও সক্ষমতা বাড়ানো হবে, যা স্থানীয় জনসাধারণকে ক্ষমতায়িত করবে এবং শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান ও ব্যয় সাশ্রয়ী সেবা নিশ্চিত করবে। 

সাড়ে ৪৪ লাখ ইউরো (প্রায় ৬২ কোটি টাকা) বিনিয়োগে ২৪ মাস মেয়াদি এ প্রকল্পটি কক্সবাজারের রোহিঙ্গা সম্প্রদায় ও স্থানীয় মানুষের জন্য কাজ করবে। এখান থেকে অর্জিত জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে মানবিক সংকট মোকাবিলার জন্য মডেল তৈরিতে অবদান রাখবে।  

এ উদ্যোগ বিশ্বের অন্যতম দীর্ঘমেয়াদি মানবিক সংকট মোকাবিলায় একটি সমন্বিত, কার্যকর এবং টেকসই মানবিক সহায়তা কার্যক্রম নিশ্চিত করতে ব্র্যাক ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের যৌথ অঙ্গীকারকে পুনর্ব্যক্ত করে।

ঢাকা/হাসান/রফিক

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর সমন ব ত প রকল প

এছাড়াও পড়ুন:

আর কত অঙ্ক মেলাবে বাংলাদেশ

যোগ, বিয়োগ, গুণ, ভাগ—বাংলাদেশের বেশির ভাগ মানুষের জন্যই শৈশবের দুঃসহ স্মৃতি। পড়ালেখার পাঠ চুকিয়ে অনেকেই অঙ্কের কঠিন সব ধাধা থেকে বেঁচে যাওয়ার স্বস্তির শ্বাস ছাড়েন—       বিশ্ববিদ্যালয়ে পা রেখে গণিতের সমীকরণের পথ পেরোতে হবে না এমন বিষয় খোঁজেন কেউ কেউ।

কিন্তু তিনি যদি বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সমর্থক হন? তাহলে তাঁর আর ওই সুযোগ কই। আগে তো তাও টিউশনে গিয়ে আলাদা করে অঙ্কটা বুঝে নেওয়া যেত। কিন্তু বাংলাদেশ ক্রিকেটের অঙ্কটা মেলাতে সে সাহায্যও নেই। উল্টো উচ্চরক্তচাপ মেপে নেওয়ার মেশিনটা কোথায় আছে, অল্প বয়সেই শুরু করতে হয় সেই খোঁজ।

হৃদয়ে যাঁদের রোগ আছে, তাঁদের শঙ্কা থাকে হার্ট অ্যাটাকের। কে কত রান করলে কী হবে, কার জয়ে কী ক্ষতি—এসব সমীকরণ মেলাতে মেলাতে পার হয় বহু নির্ঘুম রাত। বিশ্বাস হচ্ছে না? ক্রিকেট সংক্রান্ত কোনো হ্যাশট্যাগ দিয়ে ফেসবুকে সার্চ করুন কাল রাতে আফগানিস্তান-শ্রীলঙ্কা এশিয়া কাপের ম্যাচের আগে-পরেও এমন কত অভিজ্ঞতা ঘুরে বেড়াচ্ছে সামাজিক মাধ্যমটিতে।

আফগানিস্তানের ইনিংসের শেষ ওভারে মোহাম্মদ নবী যখন ৫ ছক্কা হাঁকিয়ে দিলেন দুনিত ভেল্লালাগেকে—নবম-দশম শ্রেণির অঙ্কে ফাঁকি দেওয়া ছেলেটাও নিশ্চয়ই বসে গিয়েছিলেন অঙ্ক মেলাতে। এখন যদিও কাজটা সহজ, কোনো এক ব্রাউজারে ক্লিক করলেই ভেসে ওঠে লেখাটা ‘শ্রীলঙ্কা যদি…বাংলাদেশ তাহলে…।’

আরও পড়ুনসুপার ফোরে বাংলাদেশ৮ ঘণ্টা আগে

যদি-কিন্তুর সমীকরণ মেলানো সহজ হয়ে গেলেও ম্যাচের দুশ্চিন্তা কমানোর কোনো অ্যাপ তো আর বের হয়নি। দুনিয়া আধুনিক হয়ে গেছে— কিন্তু বাংলাদেশের সমর্থকদের ম্যাচ জেতানোর রীতি তো রয়ে গেছে সেকেলেই। ‘এই এখান থেকে কিন্তু উঠবে না, উঠলেই আর শ্রীলঙ্কা জিতবে না’—কিছু মুহূর্তের জন্য আবুধাবির প্রেসবক্সের পাশের গ্যালারিতে গিয়েও শোনা গেল তা।

নিজের দলের হলেও তা না হয় মেনে নেওয়া যায়। কিন্তু ব্যস্ত জীবনে প্রতিদিন কি কাজ বাদ দিয়ে ক্রিকেট ম্যাচ দেখা যায়? বাংলাদেশের সমর্থকদের করতে হয় তাও। কারণ তাঁদের ভাগ্য তো আর নিজেদের হাতে না। এবারের এশিয়া কাপেই দেখুন, দুটো ম্যাচ জিতেও স্বস্তি ছিল না একদমই।

হংকংয়ের বিপক্ষে সহজে জিততে পারেনি লিটন দাসের দল

সম্পর্কিত নিবন্ধ