ঢাকাস্থ বগুড়া ইউনিয়নবাসীর পরিচিতি ও মতবিনিময় সভা
Published: 17th, May 2025 GMT
সামাজিক সংগঠন ‘শিকড়ের সন্ধানে’-এর উদ্যোগে ঢাকাস্থ দশ নম্বর বগুড়া ইউনিয়নবাসীর পরিচিতি ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার রাজধানীতে বৃহত্তর যশোর জেলা সমিতি অডিটরিয়ামে অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ঢাকাস্থ ঝিনাইদহ জেলাভিত্তিক সামাজিক সংগঠনটি।
সংগঠনের প্রধান উপদেষ্টা সাইফুল আলম, সাবেক নির্বাচন কমিশনার ও জেলা দায়রা জজ ঢাকার সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট ব্যাবসায়ী আতিকুর রহমান আতিক, ইঞ্জিনিয়ার জাহিদুল ইসলাম, সাবেক মহাব্যস্থাপক (এমটিম) শাহাজালাল সার কারখানা লিমটেড, সিলেট।
সভায় আরো বক্তব্য রাখেন ব্যারিষ্টার এ জেড এম নুরুল আমিন নিলু।
অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আব্দুল হাদী লিপ্টন, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী নাসির উদ্দীন খান, ফিরোজ মৃধা, খন্দকার আতিকুজ্জামান শাহীন, জাহাঙ্গীর আলম, অ্যাডভোকেট কাজী শিপু, সোহেল খান প্রমুখ।
সভায় বক্তরা বলেন, ঢাকাস্থ দশ নম্বর বগুড়া ইউনিয়নবসীর প্রথম স্বপ্ন আজ পূরণ হলো। আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হলো। ইউনিয়নবাসীর সার্বিক কল্যাণে সংগঠনটি স্বাস্থ্য, শিক্ষা, সামাজিক সম্প্রতি, খেলাধুলা, বিনোদনমূলক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে একটি মডেল ইউনিয়ন উপহার দিতে বদ্ধপরিকর।
অনুষ্ঠানে বগুড়া ইউনিয়নের কামান্না গ্রামে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে ২৭ শহীদকে শ্রদ্ধার সাথে স্বরণ করা হয়। এছাড়া সংগঠনের ব্যানারে ঈদ পরবর্তী পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানের সিদ্ধান্ত হয়।
এছাড়া অনুষ্ঠান বাস্তবায়নের জন্য আতিকুর রহমান আতিককে আহ্বায়ক ও খন্দকার আতিকুজ্জামান শাহীনকে সদস্য সচিব করে ৩১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়।
ঢাকা/হাসান/সাইফ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর অন ষ ঠ ন স গঠন
এছাড়াও পড়ুন:
সাম্য হত্যা: ঢাবি ভিসির বাসভবনের সামনে ছাত্রদলের অবস্থান
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শাহরিয়ার আলম সাম্যকে হত্যার ঘটনায় উপাচার্যের বাসভনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল। ঢাবি শাখা ছাত্রদলের এ নেতার হত্যার ঘটনায় জড়িত সবাইকে দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবি জানানো হয়।
বৃহস্পতিবার (১৫ মে) বেলা সাড়ে ১১টা থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বাসভবনের সামনে অবস্থান নেয় সংগঠনটি।
পূর্ব ঘোষিত এ কর্মসূচিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা ছাড়াও কেন্দ্রীয় ছাত্রদল ও সংগঠনটির মহানগরের বিভিন্ন ইউনিটের নেতাকর্মীরা অংশ নেন।
এ সময় ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা 'আমাদের অঙ্গীকার, নিরাপদ ক্যম্পাস', 'আমার ভাই কবরে, খুনি কেন বাইরে', 'ফাঁসি ফাঁসি চাই, হত্যাকারীর ফাঁসি চাই', 'খুন হয়েছে আমার ভাই, খুনি তোদের রক্ষা নাই', 'সাম্য ভাইয়ের রক্ত, বৃথা যেত দেব না', 'ক্যাম্পাসে লাশ পড়ে, প্রশাসন কী করে'সহ নানা স্লোগান দেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সভাপতি গণেশ চন্দ্র রায় সাহস বলেন, “আমরা দেখেছি, আমাদের ছোট ভাই সাম্যকে কীভাবে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। ৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে কীভাবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীকে হত্যা করা হয়, তা আমাদের প্রশ্ন।”
তিনি বলেন, “আমরা ভিসিকে কয়েকবার ক্যাম্পাসকে নিরাপদ করার জন্য স্বারকলিপি দিয়েছি। কিন্তু কোনো পদক্ষেপ দেখতে পাইনি। ক্যাম্পাসে ৫ আগস্টের আগের কয়েক বছরে একটিও খুনের ঘটনা ঘটেনি। কিন্তু ৯ মাসে কীভাবে দুটি হত্যা হয়। শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হওয়া আজকের মধ্যে প্রক্টরকে আর তার পদে দেখতে চাই না। সেই সঙ্গে ভিসির পদত্যাগ দাবি করছি।”
শাখা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাহিদুজ্জামান শিপন বলেন, “ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাঙ্গণে এখনও খুনি হাসিনার দোসররা অবস্থান করছেন। আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে বলেছিলাম, আপনারা ব্যবস্থা গ্ৰহণ করেন। কিন্তু তারা করেনি। তারই ফল, আমার ভাই সাম্য হত্যা।”
তিনি বলেন, “যারা ৯ মাসে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে একটি নিরাপদ ক্যাম্পাস করতে পারেননি, তাদের পদত্যাগ দাবি করছি।”
গত ১৩ মে রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় শাহরিয়ার আলম সাম্যকে ছুরিকাঘাত করে একদল দুর্বৃত্ত। পরে রক্তাক্ত অবস্থায় রাত ১২টার দিকে সহপাঠীরা তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক সাম্যকে মৃত ঘোষণা করেন।
সাম্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র ও এফ রহমান হল ছাত্রদলের সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক ছিলেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের এফ রহমান হলের ২২২ নম্বর কক্ষে থাকতেন তিনি। তার গ্রামের বাড়ি সিরাজগঞ্জে।
গতকাল ১৪ মে সাম্যের বড় ভাই শরীফুল ইসলাম শাহবাগ থানায় ১০ থেকে ১২ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত তিন জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
ঢাকা/সৌরভ/ইভা