শাবল দিয়ে মাথা ও বুকে আঘাত, ড্রিল মেশিন দিয়ে চোখ উপড়ে হত্যা: র্যাব
Published: 18th, May 2025 GMT
কুমিল্লার দেবিদ্বারে পাওনা টাকা ফেরত দেওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে সফিউল্লাহ নামে এক ভ্যানচালককে ড্রিল মেশিন দিয়ে চোখ উপড়ে হত্যা করা গ্যারেজমালিক মো. রাসেল হোসেনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১১। শনিবার রাতে পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার নগরেরহাট এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। র্যাব ও পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে রাসেল হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন।
রাসেল উপজেলার ভানী ইউনিয়নের আন্দিরপাড় গ্রামের জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে এবং নিহত সফিউল্লাহ (৩৮) উপজেলার ভানী গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা মোছলেম উদ্দীনের ছেলে।
আজ রোববার দুপুরে প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানান কুমিল্লা র্যাব ১১ সিপিসি-২ এর কোম্পানি কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কমান্ডার মাহমুদুল হাসান।
র্যাব জানায়, পাওনা ৪৫ হাজার টাকা ফেরত চাওয়া নিয়ে বিরোধের জেরে ৬ মে দেবিদ্বারের ভানী ইউনিয়নের ত্রিবিদ্যা গ্রামে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার পরদিন রাতে নিহত সফিউল্লার স্ত্রী রাসেলকে আসামি করে থানায় হত্যা মামলা করেন।
মামলার এজাহার থেকে জানা গেছে, ৫ মে রাসেল পাওনা টাকা দেওয়ার কথা বলে সফিউল্লাহকে তার গ্যারেজে যেতে বলেন। পরদিন দুপুরে সফিউল্লাহ সেখানে গেলে টাকা নিয়ে উভয়ের মধ্যে কথা কাটাকাটি একপর্যায়ে রাসেল শাবল দিয়ে তার মাথা ও বুকে আঘাত করেন। এতে সফিউল্লাহ অচেতন হয়ে পড়লে রাসেল গ্যারেজে থাকা ড্রিল মেশিন দিয়ে চোখ উপড়ে ফেলে হত্যার পালিয়ে যান।
দেবিদ্বার থানার ওসি শামসুদ্দিন মোহাম্মদ ইলিয়াছ বলেন, হত্যা মামলার প্রধান আসামি রাসেলকে গ্রেপ্তার থানায় সোপর্দ করেছে র্যাব। তিনি আদালতে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার স্বীকারোক্তি দিয়েছেন। তাকে আজ দুপুরে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
বাড্ডায় আগুনে দগ্ধ শিশু তানজিলার মৃত্যু, বাকি চারজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক
রাজধানীর বাড্ডার আফতাব নগরে গ্যাসলাইনের লিকেজ (ছিদ্র) হয়ে ঘরে জমে থাকা গ্যাসে আগুন ধরে দগ্ধ একই পরিবারের পাঁচ সদস্যের মধ্যে চার বছর বয়সী শিশু তানজিলা মারা গেছে।
আজ রোববার বেলা তিনটার দিকে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
তানজিলার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ইনস্টিটিউটটির আবাসিক সার্জন ডা. শাওন বিন রহমান। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘তানজিলার শরীরের ৬৬ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল। দগ্ধের মাত্রা ছিল গুরুতর।’
এ ঘটনায় দগ্ধ তানজিলার বাবা তোফাজ্জল হোসাইন (৪৫), মা মানসুরা বেগম (৪৫) এবং তার দুই বোন মিথিলা (৭) ও তানিসা (১১) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তাঁদের মধ্যে তোফাজ্জলের শরীরের ৮০ শতাংশ, মানসুরার ৬৭ শতাংশ, মিথিলার ৬০ শতাংশ এবং তানিসার ৩০ শতাংশ পুড়ে গেছে। চারজনই আশঙ্কাজনক অবস্থায় রয়েছেন বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা।
দগ্ধ তোফাজ্জল হোসাইন ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চিলারং গ্রামের বাসিন্দা। তিনি পেশায় নির্মাণশ্রমিক। পরিবার নিয়ে বাড্ডা থানাধীন আফতাবনগরের দক্ষিণ আনন্দনগরে একটি ভবনের নিচতলার ভাড়া বাসায় থাকতেন। ১৬ মে রাত আনুমানিক সাড়ে ১১টার দিকে দক্ষিণ আনন্দনগর আনসার ক্যাম্প বাজারের পাশে একটি ভবনে এ দুর্ঘটনা ঘটে। বাসাটিতে তিতাসের লাইনের লিকেজ থেকে পুরো ঘরে গ্যাস জমে ছিল। তোফাজ্জল হোসাইন দেশলাইয়ের কাঠি জ্বালাতেই বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে এবং আগুন লেগে যায়।