এসএসসি–এইচএসসির বোর্ডসেরাদের ১০ ও ২৫ হাজার টাকা দেবে সরকার, যেভাবে আবেদন
Published: 19th, May 2025 GMT
২০২৪ সালের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষায় বোর্ডসেরা শিক্ষার্থীদের জন্য নগদ অর্থ পুরস্কার ঘোষণা করেছে সরকার। পারফরম্যান্স বেজড গ্র্যান্টস ফর সেকেন্ডারি ইনস্টিটিউশনস (পিবিজিএসআই) স্কিমের আওতায় ‘উপজেলা শ্রেষ্ঠ শিক্ষার্থী পুরস্কার’ ও ‘উচ্চমাধ্যমিক সমাপনী পুরস্কার’ দেবে সরকার। নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের মধ্যে যথাক্রমে ১০ হাজার ও ২৫ হাজার টাকা করে প্রদান করা হবে। এই টাকা সরাসরি শিক্ষার্থীদের নিজ নামে খোলা অগ্রণী ব্যাংকের অ্যাকাউন্টে পাঠানো হবে। মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের এক অফিস আদেশ থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
আদেশে বলা হয়েছে, ২০২৪ সালে অনুষ্ঠিত এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের মধ্যে বোর্ড অনুযায়ী সর্বোচ্চ নম্বরপ্রাপ্তদের তালিকা ১১টি শিক্ষা বোর্ড থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। এ তালিকা উপজেলাভিত্তিকভাবে সংশ্লিষ্ট উপজেলা বা থানা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার ই–মেইলে পাঠানো হয়েছে।
তালিকাভুক্ত শিক্ষার্থীদের ২৫ মের মধ্যে নিজ উপজেলা বা আশপাশের যেকোনো অগ্রণী ব্যাংক শাখায় গিয়ে নিজের নামে একটি অ্যাকাউন্ট খুলতে বলা হয়েছে। তবে যাদের এরই মধ্যে অগ্রণী ব্যাংকে অ্যাকাউন্ট রয়েছে, তাদের নতুন অ্যাকাউন্ট খোলার প্রয়োজন নেই। সে ক্ষেত্রে পুরোনো অ্যাকাউন্ট নম্বর ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট সফটওয়্যারে আপডেট করতে হবে, পিবিজিএসআই স্কিমের আওতায়। পুরস্কারের টাকা পেতে শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার প্রবেশপত্র বা নম্বরপত্র ব্যাংকে জমা দিতে হবে। যারা আগের অর্থবছরে অ্যাকাউন্ট না খোলার কারণে পুরস্কার পাওয়া থেকে বঞ্চিত হয়েছে, তাদের জন্যও এবারের সুযোগ প্রযোজ্য। প্রতিটি উপজেলা বা থানা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সহায়তায় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে যোগাযোগ করবেন। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে অ্যাকাউন্ট খোলার পর শিক্ষার্থীর অ্যাকাউন্ট নম্বর, মোবাইল নম্বরসহ প্রয়োজনীয় তথ্য সংশ্লিষ্ট ব্যাংক কর্মকর্তার ও উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার স্বাক্ষরসহ হার্ডকপি ২৯ মের মধ্যে শিক্ষা ভবনের ৭০৮ নম্বর কক্ষে জমা দিতে হবে। একই সঙ্গে সফট কপি পাঠাতে হবে ই–মেইলে [email protected] ঠিকানায়।
আরও পড়ুনসাত কলেজে নতুন প্রশাসক, প্রধান দপ্তর ঢাকা কলেজে১২ ঘণ্টা আগেএ ছাড়া পুরস্কার দেওয়ার এই উদ্যোগ সেকেন্ডারি এডুকেশন ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রামের (এসইডিপি) আওতায় পরিচালিত হচ্ছে বলেও জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুনব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়-মেডিকেল শিক্ষার্থীদের দেবে বৃত্তি, লিখতে হবে ২৫০ শব্দের অনুচ্ছেদ২২ ঘণ্টা আগেআরও পড়ুনইসলামী উন্নয়ন ব্যাংকের ওয়াইপিপি প্রোগ্রাম, আরবি অথবা ফরাসি ভাষায় দক্ষতায় বাড়তি সুযোগ০৩ মে ২০২৫.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: অ য ক উন ট কর মকর ত প রস ক র উপজ ল
এছাড়াও পড়ুন:
১০০ কোটি টাকার পাচারের অভিযোগ, জাহাঙ্গীরের নামে মামলা
ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দপ্তরের সাবেক পিয়ন জাহাঙ্গীর আলম ওরফে পানি জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে ১০০ কোটি টাকা পাচারের অভিযোগে মামলা করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) নোয়াখালীর চাটখিল থানায় মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে এই মামলা করেছে সিআইডির ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিট।
আরো পড়ুন:
নাফিসা কামালসহ ৮ ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অর্থপাচারের মামলা
সাজিদ হত্যার তদন্তে সিআইডিকে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমোদন
সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার (মিডিয়া) জসীম উদ্দিন খান জানান, প্রাথমিক অনুসন্ধানে উল্লেখযোগ্য প্রমাণ পাওয়ায় নোয়াখালীর চাটখিল থানায় জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।
তিনি আরো জানান, নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলার এক নিম্ন-মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান জাহাঙ্গীর আলম জাতীয় সংসদ সচিবালয়ে দৈনিক মজুরিভিত্তিক কর্মচারী হিসেবে কাজ করতেন। পরে ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর তিনি অধিকতর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে স্বল্প সময়ের জন্য ‘ব্যক্তিগত সহকারী’ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এই দায়িত্বই তাকে আর্থিকভাবে লাভবান করেছে মর্মে প্রাথমিক অনুসন্ধানে উঠে এসেছে।
জসীম উদ্দিন খান জানান, ২০১০ সালে জাহাঙ্গীর ‘স্কাই রি অ্যারেঞ্জ লিমিটেড’ নামে একটি কোম্পানি গঠন করে বিকাশের ডিস্ট্রিবিউশন ব্যবসা নেন। কিন্তু এর আড়ালে তিনি অসংখ্য সন্দেহজনক ব্যাংকিং কার্যক্রম করেন। কোম্পানির নামে একাধিক ব্যাংক অ্যাকাউন্টে অস্বাভাবিক অঙ্কের টাকা জমা হয়, যার বৈধ উৎস পাওয়া যায়নি ও ব্যবসার সঙ্গে অসামঞ্জস্যপূর্ণ।
সিআইডির এই কর্মকর্তা জানান, প্রতিষ্ঠানটির অ্যাকাউন্টগুলোতে ২০১০ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে বিভিন্ন ব্যাংকে মোট ৫৬৫ কোটিরও বেশি টাকা লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য অংশ নগদে জমা হয়েছে দেশের নানা স্থান থেকে। এসব অর্থের উৎস অজানা এবং হুন্ডি ও মানিলন্ডারিং কার্যক্রমের সঙ্গে জড়িত বলে প্রাথমিক প্রমাণ মেলে।
বিশেষ পুলিশ সুপার জসীম উদ্দীন জানান, জাহাঙ্গীর আলম তার স্ত্রী কামরুন নাহার ও ভাই মনির হোসেনের সহায়তায় দীর্ঘদিন ধরে অবৈধ অর্থ লেনদেন করতেন। জাহাঙ্গীর আলম ও তার স্ত্রী ২০২৪ সালের জুন মাসে যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমান এবং বর্তমানে ভার্জিনিয়ায় অবস্থান করছেন। বিদেশে তাদের বিনিয়োগ বা সম্পদ ক্রয়ের কোনো সরকারি অনুমোদন না পাওয়া গেলেও তারা যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমিয়েছেন বলে প্রাথমিক অনুসন্ধানে প্রমাণ মেলে।
অনুসন্ধানে প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হয়েছে, জাহাঙ্গীর আলম, তার স্ত্রী কামরুন নাহার, ভাই মনির হোসেন এবং প্রতিষ্ঠান স্কাই রি অ্যারেঞ্জ লিমিটেড যৌথভাবে ২০১০ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে প্রায় ১০০ কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছেন। অপরাধের পূর্ণাঙ্গ তথ্য উদঘাটন, অপরাপর সদস্যদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তার করার স্বার্থে সিআইডির তদন্ত ও অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
ঢাকা/মাকসুদ/সাইফ