ঘরের মাঠে জয়ই ছিল শেষ ভরসা। কিন্তু হায়দরাবাদের ব্যাটিং তাণ্ডবে ভেঙে চুরমার হয়ে গেল লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টসের প্লে-অফ স্বপ্ন। ২০৫ রানের বিশাল স্কোর করেও শেষরক্ষা হলো না তাদের, ১০ বল হাতে রেখে ৬ উইকেটে ম্যাচ শেষ করে মাঠ ছাড়ে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ।

লক্ষ্ণৌর ইনিংসটি ছিল যেন এক অদ্ভুত সমীকরণ। ৯ ব্যাটারের মধ্যে ছয় জনই পার হতে পারেননি দুই অঙ্কের ঘর। অথচ স্কোরবোর্ডে উঠে গেল ২০৫ রান! মূল কারিগর ছিলেন মিচেল মার্শ ও এইডেন মার্করাম। দুজনের ব্যাটে জমে ওঠে ১১৫ রানের বিধ্বংসী ওপেনিং জুটি। মার্শ ৩৯ বলে ৬৫ এবং মার্করাম ৩৮ বলে করেন ৬১ রান।

এরপর নিকোলাস পুরান ঝড়ো ৪৫ রানের ইনিংস খেলে দলকে এনে দেন দুইশর দোরগোড়ায়। ইনিংসের শেষ বলে আকাশ দীপের ছক্কায় পূর্ণ হয় ২০৫ রানের চূড়া।

আরো পড়ুন:

মরুর বুকে বিজয়ানন্দ

এশিয়া কাপ থেকে সরে দাঁড়ানোর বিষয়টিকে ‘গুজব’ বলল বিসিসিআই

জবাবে হায়দরাবাদ ইনিংসের শুরুতেই হারায় ওপেনার অথর্ব তাইদেকে। তবে এরপর যা হলো, তা যেন এক পেশাদার চিত্রনাট্য। অভিষেক শর্মা ও ইশান কিষাণ গড়েন ৮২ রানের দুর্দান্ত জুটি। মাত্র ২০ বলে ৫৯ রান করে ম্যাচের গতি পাল্টে দেন অভিষেক। বিশেষ করে রবি বিষ্ণইয়ের এক ওভারে টানা চার ছক্কায় আসে তার বিধ্বংসী ফিফটি।

ইশান কিষাণ আউট হলে হাল ধরেন দুই বিদেশি হেনরিখ ক্লাসেন ও কামিন্দু মেন্ডিস। চাপের মুহূর্তে লঙ্কান ব্যাটার মেন্ডিস ১৪তম ওভারের প্রথম তিন বলে মেরে দেন তিনটি চার। সেখান থেকেই হায়দরাবাদের রানের চাকা ঘুরতে শুরু করে দুরন্ত গতিতে।

জয়ের মাত্র তিন রান দূরে ক্লাসেন ৪৭ রানে আউট হলেও কাজ শেষ করে দেন নিতিশ রেড্ডি। ১৮.

২ ওভারে জয়সূচক রান তুলে ২০৬ রানে পৌঁছে যায় হায়দরাবাদ।

এই জয়ে ১২ ম্যাচে ৯ পয়েন্ট নিয়ে অষ্টম স্থানে উঠে এলো হায়দরাবাদ। আর ১০ পয়েন্ট নিয়ে সপ্তম স্থানে থেকেই বিদায় নিতে হলো লক্ষ্ণৌকে। প্লে-অফের শেষ টিকিট এখন কেবল মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স ও দিল্লি ক্যাপিটালসের মধ্যে কার হাতে উঠবে—সে দিকেই তাকিয়ে ক্রিকেটভক্তরা।

ঢাকা/আমিনুল

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর হ য়দর ব দ লক ষ ণ

এছাড়াও পড়ুন:

নাটকীয় জয়ে সেমিফাইনালে রিয়াল, সেমিতে পেল পিএসজিকে

নাটকীয় বললেও যেন কম বলা হয়! গতকাল রাতে বরুসিয়া ডর্টমুন্ডের বিপক্ষে নির্ধারিত সময়ের পর যোগ করা সময়ের প্রথম মিনিটেও রিয়াল মাদ্রিদ এগিয়ে ছিল ২-০ গোলে। যোগ করা সময়ের বাকি মিনিটগুলোকে তখনো মনে হচ্ছিল নিছক আনুষ্ঠানিকতা। কিন্তু পরবর্তী ছয় মিনিটে যা ঘটল তা রীতিমতো অবিশ্বাস্য!

যোগ করা সময়ের দ্বিতীয় মিনিটে অর্থাৎ ৯২ মিনিটে এক গোল শোধ করে বরুসিয়া ডর্টমুন্ড। এরপর ৯৪ মিনিটে আবারও গোল করে ব্যবধান ৩-১ করে রিয়াল। ৯৬ মিনিটে লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন দেয়ান হুইসেন। আর ৯৮ মিনিটে পেনাল্টিতে গোল ব্যবধান ৩-২ করে ডর্টমুন্ড।

শেষ পর্যন্ত ডর্টমুন্ডকে হারিয়ে রিয়াল ক্লাব বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল নিশ্চিত করলেও এই ৬ মিনিটে যা ঘটল, তা ফুটবলপ্রেমীদের আরও অনেক দিন মনে থাকবে। কোয়ার্টার ফাইনালে পাওয়া দুর্দান্ত এই জয়ের পর সেমিফাইনালে পিএসজিকে পেল রিয়াল। আগামী বুধবার রাত একটায় মুখোমুখি হবে এ দুই দল।

আরও পড়ুন৯ জন নিয়ে বায়ার্নকে বিদায় করে সেমিফাইনালে পিএসজি ৮ ঘণ্টা আগে

নিউইয়র্কের মেটলাইফ স্টেডিয়ামে ম্যাচটা যতটা জটিলভাবে শেষ হয়েছে, শুরুটা ছিল ততটাই সরল। রিয়ালের আধিপত্যেই শুরু হয়েছিল খেলা। ১০ মিনিটে দুর্দান্ত ছন্দে থাকা এবং ক্লাব বিশ্বকাপের অন্যতম আবিষ্কার গনসালো গার্সিয়ার গোলে এগিয়ে যায় রিয়াল। এটি প্রতিযোগিতায় গার্সিয়ার চতুর্থ গোল। এরপর ২০ মিনিটে ব্যবধান ২-০ করেন ফ্রান গার্সিয়া।

গোলের পর গনসালো গার্সিয়া

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সাড়ে ৫ বছর পর জামিনে মুক্তি পেলেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সেই দুই শিক্ষার্থী
  • অক্সফোর্ডে পড়াশোনা শেষে ফুড ডেলিভারির চাকরি
  • লারার রেকর্ড ভাঙার চেষ্টা না করেই কেন ইনিংস ঘোষণা, জানালেন মুল্ডার
  • এলিট আম্পায়ার শরফুদ্দৌলা কতটা নির্ভুল
  • পরিবারকে না জানিয়ে কুয়াকাটা গিয়েছিলেন ‘নিখোঁজ’ ডিজিএম
  • পরিবারকে না জানিয়ে কুয়াকাটা গিয়েছিলেন জনতা ব্যাংকের ‘নিখোঁজ’ ডিজিএম
  • পরিবারকে না জানিয়ে কুয়াকাটা গিয়েছিলেন জনতা ব্যাংকের ‘নিখোজ’ ডিজিএম
  • পরিবারকে না জানিয়ে কুয়াকাটায় ঘুরতে যান ‘নিখোজ’ জনতা ব্যাংকের ডিজিএম: পুলিশ
  • ইনজুরিতে শান্ত, রাখা হয়েছে ২৪ ঘণ্টার পর্যবেক্ষণে
  • নাটকীয় জয়ে সেমিফাইনালে রিয়াল, সেমিতে পেল পিএসজিকে