‘পছন্দের ঠিকাদার কাজ না পাওয়ায় ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) নগর ভবনের সামনে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছেন নুরুল হক নূর’, ডিএনসিসির এমন অভিযোগকে মিথ্যাচার আখ্যায়িত করে এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে গণঅধিকার পরিষদ।

বুধবার গণঅধিকার পরিষদের দপ্তর সম্পাদক শাকিল উজ্জামানের সই করা সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ডিএনসিসির প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ নিষিদ্ধ সংগঠন হিজবুত তাহরীর নেতা ও জঙ্গিবাদের সঙ্গে সম্পৃক্ত হওয়ার স্পষ্ট তথ্য-প্রমাণের পর প্রশাসকের মতো গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকতে পারেন না। হিযবুত তাহরীর ও জঙ্গিবাদের কার্যক্রমে যুক্ত থাকা ও একই অভিযোগে ২০১৫ সালে তার গ্রেপ্তার হওয়ার বিষয়টি সম্প্রতি আল জাজিরার অনুসন্ধানী সাংবাদিক জুলকারনাইন সায়েরের ফেসবুক পোস্টেও উঠে এসেছে। যে কারণে সুস্পষ্ট তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতেই মুহাম্মদ এজাজকে প্রশাসক পদ থেকে অপসারণ ও গ্রেপ্তারের দাবিতে ঢাকা মহানগর উত্তর গণঅধিকার পরিষদ ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের সামনে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করে ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দেয়। যেখানে গণঅধিকার পরিষদ ছাড়াও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ সমর্থন রয়েছে।

এতে বলা হয়, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন তাদের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে অভিযোগ করে নুরুল হক নূরের পছন্দের ঠিকাদারকে কাজ না দেওয়ায় গণঅধিকার পরিষদ ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের সামনে বিশৃঙ্খলা করেছে। যা একেবারে অসত্য, ভিত্তিহীন ও বানোয়াট। বরং দরপত্রে অংশগ্রহণ করে সর্বোচ্চ দরদাতা হয়েও গণঅধিকার পরিষদের একজন সদস্যকে কমিশন ব্যতীত কাজ না দেওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজকে অবহিত করলে তিনি বিষয়টি সম্পর্কে অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলীকে অবহিত করতে বলেন। মুহাম্মদ এজাজের পরামর্শেই নুরুল হক নূর বিষয়টি তাকে জানান। ইতোপূর্বে গাবতলী পশুর হাটসহ কয়েকটি বিষয় গণমাধ্যমেও উঠে এসেছে যে, কমিশন ও পছন্দের লোক ব্যতীত ডিএনসিসির প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ অন্য কাউকে কোনো কাজ দেন না।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, মূলত নিজের অভিযোগ আড়াল করে জনদৃষ্টি ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে মোহাম্মদ এজাজ নুরুল হক নূরের বিরুদ্ধে এমন মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়াচ্ছেন। এমনকি গণঅধিকার পরিষদের মঙ্গলবারের বিক্ষোভ কর্মসূচি স্থগিতের জন্য নিজের মামাসহ বেশ কয়েকজনকে পাঠিয়ে আর্থিক প্রস্তাবের মাধ্যমে সমঝোতা করতে চেয়েছেন। নিজেও গণঅধিকার পরিষদ নেতাদের অসংখ্যবার ফোন করেছেন। কিন্তু কর্মসূচি স্থগিত করা হয়নি।

এতে আরও বলা হয়, গণঅধিকার পরিষদ অবিলম্বে নিষিদ্ধ সংগঠন হিজবুত তাহরীরের সঙ্গে সম্পৃক্ত এবং দুর্নীতিতে অভিযুক্ত এজাজকে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রশাসকের পদ থেকে অপসারণের পাশাপাশি দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানায়।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ন র ল হক ন র ন র ল হক ন র ড এনস স র

এছাড়াও পড়ুন:

জিএম কাদেরকে গ্রেপ্তারসহ জাপার কার্যক্রম নিষিদ্ধের দাবি রাশেদ খাঁনের

জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান জিএম কাদেরকে গ্রেপ্তারসহ দলটির সাংগঠনিক কার্যক্রম নিষিদ্ধের দাবি জানিয়েছেন গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খাঁন। তিনি বলেন, হাসিনার আমলে আমরা মামলা খেয়েছি। এখনও যদি মামলা খেতে হয়, তাহলে আমাদের নিরাপত্তা কোথায়? আজকে নেতাকর্মীরা জাতীয় পার্টির কার্যালয়ের ইট খুলে আনতে চেয়েছিলো। কিন্তু আমি দায়িত্বশীল জায়গায় থেকে তাদের এই নির্দেশনা দিতে পারি না। কিন্তু পদক্ষেপ না নিলে কতসময় তাদেরকে থামিয়ে রাখবো।

তিনি আরও বলেন, ‘সরকারকে বলবো, জাতীয় পার্টির বিরুদ্ধে যথাযথ পদক্ষেপ নিন। তাদের সাংগঠনিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ করুন। অন্যথায় জিএম কাদেরের বিরুদ্ধে নুরুল হুদার মতো মব নেমে আসলে, তখন তার দায় জনগনকে দিতে পারবেন না। সুতরাং, জনগণ আইন হাতে তুলে নেওয়ার আগেই আওয়ামী লীগ, জাপা ও ১৪ দলের কালপ্রিটদের ধরুন।’

আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় পুরানা পল্টন আলরাজি কমপ্লেক্স সামনে আয়োজিত মশাল মিছিল পূর্ব সংক্ষিপ্ত সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। বরিশালে আদালতে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর, সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খাঁনসহ নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে জাতীয় পার্টির মামলা গ্রহণের নির্দেশের প্রতিবাদে গণঅধিকার পরিষদ ঢাকা মহানগর দক্ষিণ এর আয়োজন করে। সমাবেশ শেষে আলরাজি কমপ্লেক্সের সামনে থেকে মশাল মিছিল শুরু হয়। মিছিলটি পল্টন, পানির টাঙ্কি ঘুরে এসে পুনরায় আলরাজি কমপ্লেক্সের সামনে এসে শেষ হয়।

রাশেদ খাঁন বলেন, ‘‘এখনও কেন জাতীয় পার্টির সাংগঠনিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ হচ্ছে না? কারা জাতীয় পার্টি ও জিএম কাদেরকে প্রটেকশন (সুরক্ষা) দিচ্ছে। জিএম কাদের কি হাসিনার চেয়েও শক্তিশালী? হাসিনা দিল্লি পালিয়ে গেছে, আর ভারতের এজেন্ট জিএম কাদের বাংলাদেশে বুক ফুলিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে। জনগণ স্লোগান শুরু করেছে, ‘আপা গেছে যে পথে, জাপা যাবে সেই পথে।’ মানে জাপাকে দিল্লি পাঠিয়ে দেওয়া হবে।’’

আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে মামলা প্রত্যাহারের আল্টিমেটাম দিয়ে তিনি বলেন, ‘মামলা প্রত্যাহার করতে হবে। একইসঙ্গে মামলা গ্রহণের নির্দেশদাতা ম্যাজিস্ট্রেটকেও প্রত্যাহার করতে হবে। জাপা ও আপার দোসর না হলে ২৪–এর বিপ্লবীদের বিরুদ্ধে এই মামলা নেওয়ার কথা তিনি বলতে পারতেন না। আমি ইতোমধ্যে আইন উপদেষ্টাকে মামলা প্রত্যাহারের বিষয়ে অবহিত করেছি।’

গণঅধিকার পরিষদ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি অ্যাডভোকেট নাজিম উদ্দীনের সঞ্চালনায় সমাবেশে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দের দলটির কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক শাকিল উজ্জামান, উচ্চতর পরিষদ সদস্য হাবিবুর রহমান রিজু, রবিউল হাসান, শ্রমিক অধিকার পরিষদের সভাপতি আব্দুর রহমান, ছাত্র অধিকার পরিষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নেওয়াজ খান বাপ্পি, যুব অধিকার পরিষদের সহ সভাপতি শাকিল আহমেদ তিয়াস প্রমুখ।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বিএনপিকে আনুপাতিক উচ্চকক্ষে রাজি করাতে পিআর পদ্ধতির চাপ
  • জিএম কাদেরকে গ্রেপ্তারসহ জাপার কার্যক্রম নিষিদ্ধের দাবি রাশেদ খাঁনের