নূরের বিরুদ্ধে ডিএনসিসির অভিযোগ মিথ্যাচার: গণঅধিকার পরিষদ
Published: 21st, May 2025 GMT
‘পছন্দের ঠিকাদার কাজ না পাওয়ায় ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) নগর ভবনের সামনে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছেন নুরুল হক নূর’, ডিএনসিসির এমন অভিযোগকে মিথ্যাচার আখ্যায়িত করে এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে গণঅধিকার পরিষদ।
বুধবার গণঅধিকার পরিষদের দপ্তর সম্পাদক শাকিল উজ্জামানের সই করা সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ডিএনসিসির প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ নিষিদ্ধ সংগঠন হিজবুত তাহরীর নেতা ও জঙ্গিবাদের সঙ্গে সম্পৃক্ত হওয়ার স্পষ্ট তথ্য-প্রমাণের পর প্রশাসকের মতো গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকতে পারেন না। হিযবুত তাহরীর ও জঙ্গিবাদের কার্যক্রমে যুক্ত থাকা ও একই অভিযোগে ২০১৫ সালে তার গ্রেপ্তার হওয়ার বিষয়টি সম্প্রতি আল জাজিরার অনুসন্ধানী সাংবাদিক জুলকারনাইন সায়েরের ফেসবুক পোস্টেও উঠে এসেছে। যে কারণে সুস্পষ্ট তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতেই মুহাম্মদ এজাজকে প্রশাসক পদ থেকে অপসারণ ও গ্রেপ্তারের দাবিতে ঢাকা মহানগর উত্তর গণঅধিকার পরিষদ ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের সামনে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করে ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দেয়। যেখানে গণঅধিকার পরিষদ ছাড়াও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ সমর্থন রয়েছে।
এতে বলা হয়, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন তাদের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে অভিযোগ করে নুরুল হক নূরের পছন্দের ঠিকাদারকে কাজ না দেওয়ায় গণঅধিকার পরিষদ ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের সামনে বিশৃঙ্খলা করেছে। যা একেবারে অসত্য, ভিত্তিহীন ও বানোয়াট। বরং দরপত্রে অংশগ্রহণ করে সর্বোচ্চ দরদাতা হয়েও গণঅধিকার পরিষদের একজন সদস্যকে কমিশন ব্যতীত কাজ না দেওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজকে অবহিত করলে তিনি বিষয়টি সম্পর্কে অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলীকে অবহিত করতে বলেন। মুহাম্মদ এজাজের পরামর্শেই নুরুল হক নূর বিষয়টি তাকে জানান। ইতোপূর্বে গাবতলী পশুর হাটসহ কয়েকটি বিষয় গণমাধ্যমেও উঠে এসেছে যে, কমিশন ও পছন্দের লোক ব্যতীত ডিএনসিসির প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ অন্য কাউকে কোনো কাজ দেন না।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, মূলত নিজের অভিযোগ আড়াল করে জনদৃষ্টি ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে মোহাম্মদ এজাজ নুরুল হক নূরের বিরুদ্ধে এমন মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়াচ্ছেন। এমনকি গণঅধিকার পরিষদের মঙ্গলবারের বিক্ষোভ কর্মসূচি স্থগিতের জন্য নিজের মামাসহ বেশ কয়েকজনকে পাঠিয়ে আর্থিক প্রস্তাবের মাধ্যমে সমঝোতা করতে চেয়েছেন। নিজেও গণঅধিকার পরিষদ নেতাদের অসংখ্যবার ফোন করেছেন। কিন্তু কর্মসূচি স্থগিত করা হয়নি।
এতে আরও বলা হয়, গণঅধিকার পরিষদ অবিলম্বে নিষিদ্ধ সংগঠন হিজবুত তাহরীরের সঙ্গে সম্পৃক্ত এবং দুর্নীতিতে অভিযুক্ত এজাজকে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রশাসকের পদ থেকে অপসারণের পাশাপাশি দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানায়।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ন র ল হক ন র ন র ল হক ন র ড এনস স র
এছাড়াও পড়ুন:
ডিএনসিসি প্রশাসককে অপসারণে গণঅধিকার পরিষদের আল্টিমেটাম
নিষিদ্ধ সংগঠন হিযবুত তাহরীরের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে অপসারণ ও গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছে গণঅধিকার পরিষদ। এ দাবি বাস্তবায়িত না হলে আগামী শনিবার প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনা ঘেরাওয়ের হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীর গুলশানে ডিএনসিসি নগর ভবনের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে এ ঘোষণা দেন গণঅধিকার পরিষদের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি ফারুক হাসান। তিনি বলেন, ডিএনসিসি প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ ২০১৮ সাল পর্যন্ত নিষিদ্ধ সংগঠন হিযবুত তাহরীরের সক্রিয় নেতা ছিলেন। শুধু নেতা বললে ভুল হবে, প্রথম সারির নেতা ছিলেন। হিযবুত তাহরীর করার কারণে একাধিকবার তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। এরপর আওয়ামী লীগের সঙ্গে যোগসাজশ করে কারাগার থেকে বের হন তিনি। এবং কারাগার থেকে বের হয়ে তিনি আওয়ামী লীগে যোগ দেন। ২০২৩ সাল পর্যন্ত তিনি আওয়ামী লীগের রাজনীতি করেছেন।
ফারুক হাসান বলেন, ‘আওয়ামী লীগের ধান্দাবাজি, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি প্রতিটি অপকর্মের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন এজাজ। এরপর আন্দোলন-সংগ্রাম শুরুর পর খোলস পাল্টে এ সরকারের নব্যবিপ্লবী বনে যান। স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়ার সঙ্গে তলে তলে গোপন চুক্তি করে এই এজাজ ডিএনসিসির প্রশাসক হয়েছেন।’
৪৮ ঘণ্টার সময়সীমা বেঁধে দিয়ে গণঅধিকার পরিষদের এ নেতা বলেন, ‘বৃহস্পতিবার পর্যন্ত এ সরকার তথা স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদকে আল্টিমেটাম দিচ্ছি। এর মধ্যে এজাজকে অপসারণ করে গ্রেপ্তার করা না হলে আগামী শনিবার আমাদের কর্মসূচি হবে যমুনার সামনে।’
সমাবেশের আগে ঢাকা উত্তর সিটির নগর ভবনের সামনে প্রশাসক এজাজের অপসারণের দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দেওয়া হয়। সমাবেশ শেষে নগর ভবনের সামনে বিক্ষোভ মিছিল হয়। গণঅধিকার পরিষদের কর্মসূচির পাশাপাশি তেজগাঁও থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাকর্মীদেরও পৃথকভাবে নগর ভবনের সামনে ডিএনসিসি প্রশাসকের বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে দেখা যায়।