জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) এক শিক্ষার্থী হিন্দু ধর্ম থেকে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছেন। ওই শিক্ষার্থীর নাম এ আর ধ্রুব। তিনি রসায়ন বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। ধর্মান্তরিত হওয়ার পর এখন তার নাম আব্দুর রহমান ধ্রুব। শুক্রবার রাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক মাধ্যমে তিনি তার ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করার বিষয়টি জানান।

আব্দুর রহমান ধ্রুব জানায়, তার বাড়ি রাজবাড়ী জেলার বালিয়াকান্দিতে। তিনি ঢাকা দায়রা জজ থেকে হলফনামার মাধ্যমে তার নাম পরিবর্তন করেছেন। তিনি বলেন, ‘আমি একজন প্রাপ্ত বয়স্ক। আমি আমার বর্তমান ও ভবিষ্যত জীবনের যাবতীয় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে সক্ষম ও ক্ষমতাবান। আমি জাতিতে হিন্দু ধর্মালম্বী ছিলাম। যদিও হিন্দু গোত্রে আমার জন্ম হয়েছে কিন্তু আমি স্কুলে অধ্যায়ণকাল থেকেই হিন্দু ধর্মের প্রতি অনীহা সৃষ্টি হয় এবং ইসলাম ধর্মের প্রতি আনুগত্য ও বিশ্বাস সৃষ্টি হয়। আমি হিন্দু পরিবারের সন্তান হয়েও আমার অনেক মুসলমান বন্ধু-বান্ধবের সঙ্গে অধিক উঠা বসা এবং চলাফেরা করেছি। তারপর ইসলাম ধর্মের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অব্যাহত যাতায়াত চলতে থাকে বিধায় হিন্দু ধর্মের সঙ্গে আমার  দুরত্ব তৈরি হয়। হিন্দু ধর্মের নিয়মকানুন আমার কাছে ভাল লাগে না। আমি ইসলামী বই-পুস্তক ও হিন্দু ধর্মাবলীরবই পুস্তক পড়ে অনেক ভেবে চিন্তে দেখেছি যে, ইসলাম ধর্ম হল একটি পূর্ণাঙ্গ ইহকাল ও পরকালের ধর্ম ইসলাম ধর্মের মধ্যে পার্থিব শান্তি ও কল্যাণ রয়েছে।’

ধ্রুব নিজের দীর্ঘ আত্মঅনুসন্ধান ও মানসিক সংগ্রামের কথা তুলে ধরে বলেন, তিনি ঢাকা দায়রা জজ আদালত থেকে এ বছরের ফেব্রুয়ারি মাসের ২৩ তারিখে ইসলাম গ্রহণের বিষয়ে প্রয়োজনীয় আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছেন। তার এই সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের সংবিধানসম্মত অধিকার বলেও তিনি জানিয়েছেন।  সবার প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘যারা সত্য খুঁজছেন, আমি শুধু বলব—একবার কুরআন পড়ুন খোলা মন নিয়ে। সত্য চাইলে, নিশ্চয়ই আল্লাহ পথ দেখাবেন। আমি সেই পথেই শান্তি পেয়েছি।’

ধ্রুব জানান, বহুদিন ধরে তিনি মানসিক বিষণ্ণতায় ভুগছিলেন এবং জীবনের নানা সংকটে পড়েছিলেন। সেই সময়গুলোতে তিনি একাধিকবার জীবনের আশা হারিয়ে ফেললেও, প্রতিবারই এক অদৃশ্য শক্তি তাকে রক্ষা করেছে বলে জানান তিনি। সেই অভিজ্ঞতার আলোকে তিনি ধর্ম ও সৃষ্টিকর্তার উদ্দেশ্যে প্রশ্ন করতে শুরু করেন, যার উত্তর তিনি খুঁজে পান ইসলাম ধর্মে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ম গ রহণ

এছাড়াও পড়ুন:

ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পে গুণগত মান নিশ্চিতে অ্যাক্রেডিটেশন জরুরি : শিল্প উপদেষ্টা

নিরাপদ খাদ্য ও মানসম্পন্ন স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে হলে কঠোর মান নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা অপরিহার্য- এমন মন্তব্য করেছেন শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান। 

তিনি বলেন, ‘‘বাংলাদেশ অ্যাক্রেডিটেশন বোর্ড (বিএবি) ইতোমধ্যে বিভিন্ন খাতে কার্যরত প্রতিষ্ঠানগুলোকে অ্যাক্রেডিটেশন সনদ দিয়ে ভোক্তার আস্থা অর্জনের কাজ করছে।’’

বৃহস্পতিবার রাজধানীর বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ম্যানেজমেন্ট (বিআইএম) মিলনায়তনে বিশ্ব অ্যাক্রেডিটেশন দিবস ২০২৫ উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

শিল্প উপদেষ্টা বলেন, ‘‘ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প (এসএমই) খাতই দেশের অর্থনীতির মেরুদণ্ড এবং অগ্রগতির মূল চালিকাশক্তি। কর্মসংস্থান সৃষ্টির পাশাপাশি জিডিপিতে এই খাতের অবদান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। অ্যাক্রেডিটেশন সনদ এসএমই খাতের সক্ষমতা বৃদ্ধি, গুণগত মান নিশ্চিত এবং বৈশ্বিক বাজারে প্রতিযোগিতা শক্তিশালী করতে কার্যকর ভূমিকা রাখছে।’’

তিনি আরও জানান, বিএবি এখন পর্যন্ত ৯০টি পরীক্ষাগার, ২২টি মান নির্ধারণ পরীক্ষাগার, ৯টি চিকিৎসা পরীক্ষাগার, ৩০টি পরিদর্শন সংস্থা এবং ৪টি সনদ প্রদানকারী সংস্থাসহ মোট ১৫৫টি প্রতিষ্ঠানকে অ্যাক্রেডিটেশন সনদ দিয়েছে। এছাড়া, বিভিন্ন সংস্থায় গুণগত মান ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠায় ২ হাজার ৮৯৩ জনকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।

আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন শিল্প মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ওবায়দুর রহমান। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআই-এর প্রশাসক মো. হাফিজুর রহমান, বিআইএমের মহাপরিচালক ড. খন্দকার আজিজুল ইসলাম এবং এসএমই ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আনোয়ার হোসেন চৌধুরী। স্বাগত বক্তব্য দেন বিএবির মহাপরিচালক এম এ কামাল বিল্লাহ।

চলতি বছরের বিশ্ব অ্যাক্রেডিটেশন দিবসের প্রতিপাদ্য ‘অ্যাক্রেডিটেশন: ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পকে ক্ষমতায়ন’। এ বিষয়ে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন এসএমই ফাউন্ডেশনের উপমহাব্যবস্থাপক ফাহিম বিন আসমত।

অনুষ্ঠানে শিল্প মন্ত্রণালয়, সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, গুণগত মান ও অ্যাক্রেডিটেশন খাতের বিশেষজ্ঞ, বাণিজ্য সংগঠন ও শিল্প-ব্যবসায়ী প্রতিনিধিরা অংশ নেন।

ঢাকা/এএএম//

সম্পর্কিত নিবন্ধ