অন্তর্বর্তী সরকারে ছাত্রদের প্রতিনিধি হিসেবে থাকা উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ও মাহফুজ আলম জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কেউ নয় বলে জানিয়েছেন দলটির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম।

অন্তর্বর্তী সরকারের দুই উপদেষ্টা হিসেবে এই দুইজনের ব্যাপারে বিএনপির আপত্তির পরিপ্রেক্ষিতে একথা বলেন নাহিদ।

আজ শনিবার দুপুরে রাজধানীর বাংলামটরে দলীয় কার্যালয়ে নাহিদ ইসলাম বলেন, তারা গণঅভ্যুত্থানের প্রতিনিধি হিসেবে সরকারে আছেন। আমিও তাদের মধ্যে একজন ছিলাম। তারা রাজনীতি বা নির্বাচন করতে চাইলে সরকারে থেকে তা পারবে না। সরকার থেকে বের হয়ে তাদের মতো সিদ্ধান্ত নেবে। কিন্তু উদ্দেশ্যমূলকভাবে তাদেরকে এনসিপির সঙ্গে সংযুক্ত করে অপপ্রচার ও হেয় করার চেষ্টা করা হচ্ছে।

এই দুজনের সরকারে থাকা প্রসঙ্গে নাহিদ আরও বলেন, গণঅভ্যুত্থানের প্রতিনিধি হিসেবে তারা সরকারে রয়েছেন। শহীদ পরিবার এবং আহতদের পুনর্বাসন, অপরাধীদের বিচার এবং সংস্কারের আকাঙ্ক্ষাগুলো তদারকি করার জন্য তারা অন্তর্বর্তী সরকারে গিয়েছিলেন। ফলে তারা সরকার থেকে কখন বের হবেন বা আদৌ বের হবেন কি না, সেটা তাদেরই সিদ্ধান্ত।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ন হ দ ইসল ম এনস প সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

‘প্রধান উপদেষ্টা পদত্যাগ করবেন না’

দেশব্যাপী অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের পদত্যাগের আলোচনা নিয়ে নানা জল্পনা-কল্পনা চলছে। এরই মধ্যে এ বিষয়ে একটি ফেসবুক পোস্ট দিয়েছেন তার বিশেষ সহকারী (ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক মন্ত্রণালয়) ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব। 

পোস্টে তিনি জানিয়েছেন, প্রধান উপদেষ্টা পদত্যাগ করবেন না। শুক্রবার (২৩ মে) নিজের ফেসবুক পেজে ওই পোস্ট দিয়ে তৈয়্যব এ কথা জানান।

পোস্টে তিনি বলেন, ‘‘অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের ক্ষমতা প্রয়োজন নেই, কিন্তু বাংলাদেশের জন্য, বাংলাদেশের শান্তিপূর্ণ ডেমোক্রেটিক ট্রানজিশনের (গণতান্ত্রিক রূপান্তর) জন্য ড. ইউনূস স্যারের দরকার আছে।’’

ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, ‘‘বরং ক্যাবিনেটকে আরও গতিশীল হতে হবে। সরকারকে আরও বেশি ফাংশনাল হতে হবে, উপদেষ্টাদের আরও বেশি কাজ করতে হবে, দৃশ্যমান অগ্রগতি জনতার সামনে উপস্থাপন করতে হবে- এ ব্যাপারে কোনো দ্বিমত থাকতে পারে না। আমাদের দেখাতে হবে যে, গণঅভ্যুত্থান পরবর্তীতে জনতার সম্মতিতে ক্ষমতায় এসে প্রফেসর সাফল্য দেখিয়েছেন।’’

বিশেষ সহকারী বলেন, ‘‘বিশ্ব সম্প্রদায়ের কাছে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সম্মান আছে, এটা রক্ষা করা আমাদের দায়িত্ব। আমি মনে করি, সরকারকে এখন থেকে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আরও নিবিড়ভাবে আলোচনায় বসতে হবে, নিয়মিত বসে এবং বিভিন্ন বিষয়ে তাদের মতামত চাইতে হবে। কোনো ধরনের বিচ্ছিন্নতা কাম্য নয়।”

ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব আরও বলেন, ‘‘দরকারি প্রস্তুতি শেষ করে নির্বাচন এপ্রিল-মে’র কোনো সময়ে অনুষ্ঠিত হবে বলেই আশা করি, তবে এটা আমার ব্যক্তিগত মতামত। এসময়ে সব যৌক্তিক সংস্কার সম্পন্ন করতে হবে, করতে হবে জুলাই সনদ। তবে ডিসেম্বর থেকে জুনে দেওয়া রোডম্যাপ মতে নির্বাচনের এক্সাক্ট ডেট (সুনির্দিষ্ট তারিখ) ঘোষণার এখতিয়ার শুধুমাত্র স্যারের। স্যারের এখতিয়ার অন্য কেউ হাইজ্যাক করতে পারবে না।”

তিনি বলেন, ‘‘জুলাই-আগস্ট-২৫-এ আমরা জাতীয়ভাবে দুই মাস জুলাই গণঅভ্যুত্থানের এক বছর পূর্তি উদযাপন করব, ইনশাল্লাহ। এবং আগস্টের মধ্যেই স্বৈরাচারী খুনি হাসিনার বিচারের প্রথম রায়টি আলোর মুখ দেখতে পাবে বলেও আশা প্রকাশ করি। ইনশাআল্লাহ আমরা হারবো না, আমাদের হারানো যাবে না। ইনকিলাব জিন্দাবাদ। প্রফেসর ইউনূস জিন্দাবাদ। বাংলাদেশ জিন্দাবাদ।’’

ঢাকা/তারা/এস

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • জুলাই শহীদ হাসানের মরদেহ গ্রহণ করবেন মুক্তিযুদ্ধ উপদেষ্টা
  • সংস্কার, বিচার ও নির্বাচনের রোডম্যাপ চায় এনসিপি
  • দুই ছাত্র উপদেষ্টার সঙ্গে এনসিপির কোনো সম্পর্ক নেই: নাহিদ
  • মহাসড়কের ওপর সমাবেশ গণঅধিকার পরিষদের
  • পদত্যাগ হবে ড. ইউনূসের জন্য আত্মঘাতী: ফরহাদ মজহার
  • ‘প্রধান উপদেষ্টা পদত্যাগ করবেন না’
  • ক্ষমতা দখলের পাঁয়তারা করছে বিএনপি
  • অধ্যাপক ইউনূস পদত্যাগের বিষয়ে ভাবছেন: বিবিসি বাংলাকে নাহিদ
  • ডিসেম্বরে নির্বাচন না দিলে সহযোগিতা অব্যাহত রাখা কঠিন হবে