কুমিল্লার দাউদকান্দিতে মাদক বিক্রির প্রতিবাদ করায় ট্রাকচালক আলামিন মিয়াকে হত্যার অভিযোগে দায়ের করা মামলার প্রধান আসামি দ্বীন ইসলাম ডালিমকে (২৮) গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব-১১।

রবিবার (১৯ অক্টোবর) রাতে ঢাকার বনানী থানাধীন কাকলী এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়। ডালিমের বাড়ি দাউদকান্দি উপজেলার পূর্ব হাউষদি গ্রামের পাঁচগাছিয়া এলাকায়।

আরো পড়ুন:

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে হত্যার বিচার হবে দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে

ভারতে হত্যার শিকার ৩ বাংলাদেশির লাশ ফেরত

সোমবার (২০ অক্টোবর) সকালে কুমিল্লা নগরীর শাকতলায় র‍্যাব কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে র‍্যাব-১১, সিপিসি-২, কুমিল্লার কোম্পানি কমান্ডার মেজর সাদমান ইবনে আলম এসব তথ্য জানিয়েছেন।

র‍্যাব জানায়, গত ৯ অক্টোবর সকাল সাড়ে ১১টার দিকে পূর্ব হাউষদি গ্রামে মাদক বিক্রির প্রতিবাদ করায় আলামিন মিয়াকে (৩৫) হত্যা করা হয়। প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, দ্বীন ইসলাম ডালিম দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। আলামিন মিয়া মাদক বিক্রির প্রতিবাদ করায় ডালিমের সঙ্গে তার বিরোধ হয়। এর জের ধরেই আলামিনকে হত্যা করা হয়।

পরিকল্পনা অনুযায়ী, ৯ অক্টোবর সকালে পূর্ব হাউষদি গ্রামে আল মদিনা মসজিদের সামনে ডালিম ও তার সহযোগীরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আলামিনের ওপর হামলা চালায়। তারা এলোপাতাড়ি মারধর করে আলামিনকে গুরুতর আহত করে পালিয়ে যায়। স্থানীয়রা আলামিনকে উদ্ধার করে দাউদকান্দি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

পরদিন নিহতের স্ত্রী দাউদকান্দি থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। হত্যাকারীরা এলাকায় থেকে পালিয়েছে।

পরে র‍্যাব-১১ গোয়েন্দা নজরদারি ও ছায়া তদন্ত শুরু করে। তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায় রবিবার রাতে কাকলীতে অভিযান চালিয়ে ডালিমকে গ্রেপ্তার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে হত্যাকাণ্ডে নিজের সম্পৃক্ততা স্বীকার করেছে। তাকে দাউদকান্দি থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

ঢাকা/রুবেল/রফিক

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর হত য দ উদক ন দ আল ম ন

এছাড়াও পড়ুন:

নোয়াখালীর মসজিদে হামলার ছবি দাবি করে আফগানিস্তানের ছবিও প্রচার

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সম্প্রতি চারটি ছবি ছড়িয়ে দাবি করা হচ্ছে, ‘এটা ফিলিস্তিন নয়, নোয়াখালী সদর উপজেলার একটি মসজিদে বিএনপি ও জামায়াতের দ্বীনি ভাইদের ইবাদতের প্রতিচ্ছবি। এটাই আমাদের নতুন বাংলাদেশ।’

ছবিগুলোতে দেখা যায়—মসজিদের ভেতরে ভাঙচুর, ভেঙেচুরে পড়া আসবাব এবং দেয়ালে ধ্বংসযজ্ঞের চিহ্ন। অনেকেই এগুলোকে নোয়াখালীর সাম্প্রতিক সংঘর্ষের সঙ্গে যুক্ত করে প্রচার করছেন।

লিংক: এখানে, এখানে, এখানে

তবে ছবিগুলো রিভার্স ইমেজে সার্চ করে এগুলোর সঙ্গে নোয়াখালীর সাম্প্রতিক ঘটনার কোনো সম্পর্ক পাওয়া যায়নি।

লিংক এখানে...

নোয়াখালী সদর উপজেলার নেয়াজপুর ইউনিয়নের কাশেমবাজার জামে মসজিদের সামনে ১৮ অক্টোবর যুবদল ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের নেতা-কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।

সেই ঘটনাকেই কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে চারটি পুরোনো ছবি ব্যবহার করে বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে।

প্রথম ছবি:

এই ছবি ২০২১ সালের ৮ অক্টোবর জার্মান গণমাধ্যম ডয়েচে ভেলে প্রকাশ করে। ছবিটি আফগানিস্তানের কুন্দুজ প্রদেশের একটি শিয়া মসজিদে আত্মঘাতী হামলার পর তোলা হয়েছিল, যেখানে অন্তত ৫০ জন নিহত হন।

লিংক এখানে...

দ্বিতীয় ছবি:

২০২০ সালের ২০ সেপ্টেম্বর দ্য ডেইলি স্টার প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে ছবিটি পাওয়া যায়। ছবিটি নারায়ণগঞ্জের বাইতুস সালাত জামে মসজিদের গ্যাস বিস্ফোরণের ঘটনার।

লিংক এখানে...

তৃতীয় ছবি:

নারায়ণগঞ্জের ঘটনার আরেকটি ছবি দৈনিক যুগান্তর ২০২০ সালের ৬ সেপ্টেম্বর প্রকাশ করে। এটিও নোয়াখালীর ঘটনার দাবি করে ছড়ানো হচ্ছে।

লিংক এখানে...

চতুর্থ ছবি:

দৈনিক ইত্তেফাক ২০২০ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর তাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করে। এতে নারায়ণগঞ্জের বাইতুস সালাত মসজিদে বিস্ফোরণের পর ভেতরের দৃশ্য দেখা যায়।

লিংক এখানে...

নোয়াখালীর নেয়াজপুর ইউনিয়নের যুবদল ও ছাত্রশিবিরেরর সংঘের্ষ কাশেমবাজার জামে মসজিদের কিছু অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয় বলে বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে এসেছে। সেই ছবি দেখে কাশেমবাজার জামে মসজিদের সঙ্গে ছড়ানো ছবিগুলোর কোনো মিল পাওয়া যায় না।

সুতরাং নোয়াখালীর মসজিদে হামলার ছবি বলে যে চারটি ছবি ছড়ানো হচ্ছে, সেগুলো আসলে নোয়াখালীর নয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ