নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (নোবিপ্রবি) নানা আয়োজনে বিশ্ব পরিসংখ্যান দিবস ২০২৫ উদযাপন করা হয়েছে।

সোমবার (২০ অক্টোবর) বিশ্ববিদ্যালয়ে দিবসটি উপলক্ষে বর্ণাঢ্য র‌্যালির আয়োজন করা হয়।

আরো পড়ুন:

নোবিপ্রবিতে তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের দাবিতে মানববন্ধন

নোবিপ্রবি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ছাত্রীদের নিয়ে কটূক্তি করার অভিযোগ, শাস্তি দাবি

এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড.

মুহাম্মদ ইসমাইল।

র‌্যালি শেষে তিনি বলেন, “জাতীয় উন্নয়নে পরিসংখ্যানের ভূমিকা অপরিসীম। ‘কোয়ালিটি স্ট্যাটিস্টিক্স অ্যান্ড ডেটা ফর এভরিওয়ান’ প্রতিপাদ্যে সারা বিশ্বে আজ এ দিবসটি পালিত হচ্ছে। বর্তমান যুগে সাইবার সিকিউরিটি ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সঠিক ব্যবহারে নির্ভুল ডেটা বিশ্লেষণের বিকল্প নেই।”

তিনি আরো বলেন, “আমাদের শিক্ষকরা তাদের জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা দিয়ে শিক্ষার্থীদের পাশে থাকবেন, আর শিক্ষার্থীরা সেই জ্ঞান কাজে লাগিয়ে নিজেদের ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুত করবে।” এ সময় তিনি পরিসংখ্যান দিবসের সফলতা কামনা করেন।

র‌্যালিতে অন্যদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রেজওয়ানুল হক, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ হানিফ মুরাদ, বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মহিনুজ্জামান, পরিসংখ্যান বিভাগের চেয়ারম্যান ড. নাজমা বেগম প্রমুখ।

ঢাকা/শফিউল্লাহ/মেহেদী

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর দ বস পর স খ য ন ম হ ম মদ ন ব প রব

এছাড়াও পড়ুন:

নোয়াখালীর মসজিদে হামলার ছবি দাবি করে আফগানিস্তানের ছবিও প্রচার

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সম্প্রতি চারটি ছবি ছড়িয়ে দাবি করা হচ্ছে, ‘এটা ফিলিস্তিন নয়, নোয়াখালী সদর উপজেলার একটি মসজিদে বিএনপি ও জামায়াতের দ্বীনি ভাইদের ইবাদতের প্রতিচ্ছবি। এটাই আমাদের নতুন বাংলাদেশ।’

ছবিগুলোতে দেখা যায়—মসজিদের ভেতরে ভাঙচুর, ভেঙেচুরে পড়া আসবাব এবং দেয়ালে ধ্বংসযজ্ঞের চিহ্ন। অনেকেই এগুলোকে নোয়াখালীর সাম্প্রতিক সংঘর্ষের সঙ্গে যুক্ত করে প্রচার করছেন।

লিংক: এখানে, এখানে, এখানে

তবে ছবিগুলো রিভার্স ইমেজে সার্চ করে এগুলোর সঙ্গে নোয়াখালীর সাম্প্রতিক ঘটনার কোনো সম্পর্ক পাওয়া যায়নি।

লিংক এখানে...

নোয়াখালী সদর উপজেলার নেয়াজপুর ইউনিয়নের কাশেমবাজার জামে মসজিদের সামনে ১৮ অক্টোবর যুবদল ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের নেতা-কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।

সেই ঘটনাকেই কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে চারটি পুরোনো ছবি ব্যবহার করে বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে।

প্রথম ছবি:

এই ছবি ২০২১ সালের ৮ অক্টোবর জার্মান গণমাধ্যম ডয়েচে ভেলে প্রকাশ করে। ছবিটি আফগানিস্তানের কুন্দুজ প্রদেশের একটি শিয়া মসজিদে আত্মঘাতী হামলার পর তোলা হয়েছিল, যেখানে অন্তত ৫০ জন নিহত হন।

লিংক এখানে...

দ্বিতীয় ছবি:

২০২০ সালের ২০ সেপ্টেম্বর দ্য ডেইলি স্টার প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে ছবিটি পাওয়া যায়। ছবিটি নারায়ণগঞ্জের বাইতুস সালাত জামে মসজিদের গ্যাস বিস্ফোরণের ঘটনার।

লিংক এখানে...

তৃতীয় ছবি:

নারায়ণগঞ্জের ঘটনার আরেকটি ছবি দৈনিক যুগান্তর ২০২০ সালের ৬ সেপ্টেম্বর প্রকাশ করে। এটিও নোয়াখালীর ঘটনার দাবি করে ছড়ানো হচ্ছে।

লিংক এখানে...

চতুর্থ ছবি:

দৈনিক ইত্তেফাক ২০২০ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর তাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করে। এতে নারায়ণগঞ্জের বাইতুস সালাত মসজিদে বিস্ফোরণের পর ভেতরের দৃশ্য দেখা যায়।

লিংক এখানে...

নোয়াখালীর নেয়াজপুর ইউনিয়নের যুবদল ও ছাত্রশিবিরেরর সংঘের্ষ কাশেমবাজার জামে মসজিদের কিছু অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয় বলে বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে এসেছে। সেই ছবি দেখে কাশেমবাজার জামে মসজিদের সঙ্গে ছড়ানো ছবিগুলোর কোনো মিল পাওয়া যায় না।

সুতরাং নোয়াখালীর মসজিদে হামলার ছবি বলে যে চারটি ছবি ছড়ানো হচ্ছে, সেগুলো আসলে নোয়াখালীর নয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ