বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস লিমিটেড জনবল নিয়োগে আবেদন চলছে। একটি শূন্য পদে মোট ৪৬ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে। নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, পদের নাম সিকিউরিটি অ্যাসিস্ট্যান্ট। আবেদনের প্রক্রিয়া শেষ হবে আগামীকাল মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর)।
চাকরির বিবরণ
পদের নাম: সিকিউরিটি অ্যাসিস্ট্যান্ট
পদসংখ্যা: ৪৬
বেতন: ১২,৫০০–৩০,২৩০ টাকা
আবেদনে শিক্ষাগত যোগ্যতা
১.

যেকোনো বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রি, সিজিপিএ ২.৮ (৪.০০–এর মধ্যে)। এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষায় প্রতিটিতে কমপক্ষে জিপিএ ৩.০০ (৫.০০–এর মধ্যে) অথবা ডিপ্লোমা ডিগ্রিধারীদের ক্ষেত্রে ২.৮০ (৪.০০–এর মধ্যে) থাকতে হবে। ‘ও’ লেভেলে গড়ে যেকোনো পাঁচটি বিষয়ে এবং ‘এ’ লেভেলে গড়ে যেকোনো দুটি বিষয়ে ন্যূনতম ‘ডি’ থাকতে হবে।
অথবা স্নাতক ডিগ্রি। শিক্ষাজীবনে কমপক্ষে একটি পরীক্ষায় প্রথম শ্রেণি বা বিভাগ থাকতে হবে। কোনো তৃতীয় বিভাগ গ্রহণযোগ্য নয় (অভিজ্ঞ প্রার্থীদের ক্ষেত্রে)।

আরও পড়ুনবিমানবাহিনীতে বেসামরিক পদে বিশাল নিয়োগ, পদ ৩০৮৬ ঘণ্টা আগে

২. অপারেটিং সিস্টেম ও ইন্টারনেট ব্রাউজিংসহ কম্পিউটার জ্ঞান অবশ্যই থাকতে হবে।
৩. বিদেশি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে অর্জিত শিক্ষা বা ডিগ্রি অথবা অন্য কোনো ডিগ্রি, যা নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ নেই, সেসব ক্ষেত্রে এ দেশীয় সংশ্লিষ্ট শিক্ষা বোর্ড/বিশ্ববিদ্যালয়/বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন কর্তৃক ইস্যুকৃত সমমান সার্টিফিকেট (Equivalence Certificate) অনুযায়ী ডিগ্রি ও ফলাফলের তথ্য প্রদান করতে হবে।
৪. জিইডি (GED) ডিগ্রি গ্রহণযোগ্য নয়।
৫. উচ্চতা: পুরুষ প্রার্থীদের ক্ষেত্রে ৫ ফুট ৬ ইঞ্চি এবং নারী প্রার্থীদের ক্ষেত্রে ৫ ফুট ৪ ইঞ্চি থাকতে হবে।
৬. স্নাতক ডিগ্রি ও পরিচ্ছন্ন সার্ভিস রেকর্ডধারী সশস্ত্র বাহিনী থেকে অবসরপ্রাপ্ত এনসিও বা জেসিওদের অগ্রাধিকার প্রদান করা হবে।
৭. সাবলীলভাবে বাংলা ও ইংরেজি বলা ও লেখার দক্ষতা থাকতে হবে।

আরও পড়ুনপ্রাথমিকে প্রধান শিক্ষক নিয়োগ, পরীক্ষা ১০০ নম্বরে৫ ঘণ্টা আগে

আবেদনের বয়সসীমা
অনূর্ধ্ব ৩২ বছর। (অবসরপ্রাপ্ত এনসিও বা জেসিও প্রার্থীদের ক্ষেত্রে বয়সসীমা ৪০ বছর)।
আবেদনের পদ্ধতি
আগ্রহী প্রার্থীরা অনলাইনে আবেদনের বিস্তারিত জানতে ও আবেদন করতে এখানে ক্লিক করুন
আবেদন ফি
৩৩৫ টাকা। আবেদন জমার ৭২ ঘণ্টার মধ্যে আবেদন ফি জমা দিতে হবে।
আবেদনের শেষ সময়: ২১ অক্টোবর ২০২৫।

আরও পড়ুনজাপানে মেক্সট স্কলারশিপে উচ্চশিক্ষা, জিপিএ ২.৩০ হলে আবেদন ১৯ অক্টোবর ২০২৫

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

কোন সঞ্চয়পত্রে কত মুনাফা

সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ করা সবচেয়ে নিরাপদ। সুদের হারও বেশ ভালো। মধ্যবিত্তের সবচেয়ে নিরাপদ সঞ্চয় মাধ্যম হলো সঞ্চয়পত্র। এমন চিন্তা থেকে অনেকেই সঞ্চয়পত্র কেনেন।

অন্যদিকে ব্যাংক খাতের পরিস্থিতি ভালো নয়। ব্যাংক খাতের এমন দুরবস্থার মধ্যে সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ করা অনেক বেশি নিরাপদ। আসল তো পাবেনই, মুনাফার নিশ্চয়তাও আছে। পেনশনার সঞ্চয়পত্রে সবচেয়ে বেশি মুনাফা পাওয়া যায়।

বর্তমানে জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তরের চার ধরনের সঞ্চয় আছে। এগুলো হলো পরিবার সঞ্চয়পত্র, পেনশনার সঞ্চয়পত্র, পাঁচ বছর মেয়াদি বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্র ও তিন মাস অন্তর মুনাফাভিত্তিক সঞ্চয়পত্র। পরিবার সঞ্চয়পত্র ছাড়া বাকি সব সঞ্চয়পত্রে ব্যক্তির পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানও বিনিয়োগ করতে পারে।

প্রতিবছর জুলাই ও জানুয়ারি মাসে সঞ্চয়পত্রের মুনাফার হার পর্যালোচনা করা হয়। প্রয়োজন অনুসারে, মুনাফার হার কম বেশি করা হয়। আগামী জানুয়ারি মাসেও মুনাফার হার পর্যালোচনা করা হবে। তাই জানুয়ারির আগে সঞ্চয়পত্র কিনলে বর্তমান মুনাফার হারেই টাকা পাবেন।

এবার দেখা যাক, একজন ব্যক্তি কোন সঞ্চয়পত্রে মুনাফার হার কত।

মুনাফা কত

সবচেয়ে বেশি মুনাফা পাওয়া যায় পেনশনার সঞ্চয়পত্রে। পেনশনার সঞ্চয়পত্রে সাড়ে ৭ লাখ টাকার কম বিনিয়োগে ৫ম বছর শেষে (অর্থাৎ মেয়াদ পূর্তির পর) মুনাফা ১১ দশমিক ৯৮ শতাংশ। এই সঞ্চয়পত্রে যদি সাড়ে ৭ লাখ টাকার বেশি বিনিয়োগ করেন, তাহলে মেয়াদপূর্তির পর মুনাফার হার ১১ দশমিক ৮০ শতাংশ।

অবসরপ্রাপ্ত সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত, আধা স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারী, সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি, সশস্ত্র বাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত সদস্য ও মৃত চাকরিজীবীর পারিবারিক পেনশন সুবিধাভোগী স্বামী বা স্ত্রী বা সন্তান কিনতে পারবেন।

পেনশনার সঞ্চয়পত্রের পর সবচেয়ে বেশি মুনাফা পাওয়া যায় পরিবার সঞ্চয়পত্রে। এই সঞ্চয়পত্রে সাড়ে ৭ লাখ টাকার কম বিনিয়োগ করা হলে মেয়াদ পূর্তিতে মুনাফার হার ১১ দশমিক ৯৩ শতাংশ। আর সাড়ে ৭ লাখ টাকার বেশি বিনিয়োগ করলে এই হার ১১ দশমিক ৮০ শতাংশ। শুধু প্রাপ্তবয়স্ক নারীরাই কিনতে পারবেন।

৫ বছর মেয়াদি বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্রের মুনাফার হার সাড়ে ৭ লাখ টাকার কম বিনিয়োগে ১১ দশমিক ৮৩ শতাংশ। সাড়ে ৭ লাখ টাকার বেশি বিনিয়োগ হলে মুনাফার হার ১১ দশমিক ৮০ শতাংশ।

এ ছাড়া ১১ দশমিক ৮২ শতাংশ শতাংশ হারে মুনাফা পাওয়া যাবে ৩ মাস অন্তর মুনাফাভিত্তিক সঞ্চয়পত্রে। মনে রাখবেন, এই হার সাড়ে ৭ লাখ টাকার কম বিনিয়োগ হলে আর সাড়ে ৭ লাখ টাকার বেশি বিনিয়োগের ক্ষেত্রে এ মুনাফার হার ১১ দশমিক ৭৭ শতাংশ।

মেয়াদ পূর্তির আগে সঞ্চয়পত্র ভাঙলে মুনাফা কমে যায়। তাই জরুরি প্রয়োজন ছাড়া মেয়াদ পূর্তির আগে সঞ্চয়পত্র না ভাঙাই ভালো।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • নামমাত্র ক্ষমতা নিয়ে গঠিত হচ্ছে পুলিশ কমিশন
  • খুলনা মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরির সুযোগ
  • চুয়েটের ভর্তি পরীক্ষা ১৭ জানুয়ারি, জেনে নিন আবেদনে যোগ্যতা
  • পুলিশ কমিশন গঠন হচ্ছে, অধ্যাদেশ অনুমোদন
  • ঢাকা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিতে চাকরির সুযোগ
  • কোন সঞ্চয়পত্রে কত মুনাফা
  • বন্দরে ককশিটের গোডাউনে অগ্নিকান্ড