শরীয়তপুরে ট্রাকচালকদের কাছ থেকে চাঁদা আদায় করার সময় দুজনকে আটক করা হয়েছে। স্থানীয় এক যুবদল নেতা আবদুর রশিদ হাওলাদার ও নারায়ণ পোদ্দার নামের দুই ব্যক্তিকে আটক করে পুলিশে দেওয়া হয়। আজ সোমবার মাদারীপুর-শরীয়তপুর সড়কের মনোহর বাজার মোড়ে এ ঘটনা ঘটেছে।

শরীয়তপুর সদরের পালং মডেল থানা সূত্র জানায়, শরীয়তপুর-মাদারীপুর সড়কের মনোহর বাজার মোড় হয়ে চট্টগ্রাম অঞ্চল ও জেলার বিভিন্ন অঞ্চলের যানবাহন চলাচল করে। কয়েক দিন ধরে সদর উপজেলার মনোহর বাজার মোড় এলাকায় কয়েক ব্যক্তি ট্রাক থেকে চাঁদা আদায় করছিলেন। শরীয়তপুর জেলা ট্রাক, ট্যাংকলরি, কাভার্ড ভ্যান ও পিকআপচালক শ্রমিক ইউনিয়নের নামে রসিদ ব্যবহার করে চালকদের কাছ থেকে ৫০০ টাকা করে চাঁদা নেওয়া হচ্ছিল।

চালকদের অভিযোগ, আজ ৮ থেকে ১০ জন মনোহার বাজার মোড় এলাকায় দাঁড়িয়ে বিভিন্ন গন্তব্যের পণ্যবাহী ট্রাক থেকে ৫০০ টাকা করে চাঁদা আদায় করছিলেন। যাঁরা টাকা দিতে অস্বীকার করেন, তাঁদের মারধর করা হয়। কয়েকজন ভুক্তভোগী ট্রাকচালক আজ মনোহর বাজারের গরুরহাটের ইজারাদার ও শরীয়তপুর জেলা যুবদলের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আতিক মোল্যাকে ঘটনাটি জানান।

ঘটনাটি পালং মডেল থানায় জানানো হয়। এর মধ্যে ট্রাকচালকদের সহায়তায় আবদুর রশিদ হাওলাদার ও নারায়ণ পোদ্দার নামে দুজনকে আটক করা হয়। আবদুর রশিদ শরীয়তপুর জেলা ট্রাক, ট্যাংকলরি, কাভার্ড ভ্যান ও পিকআপ চালক শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক। পরে দুপুরের দিকে ওই দুই ব্যক্তিকে পালং মডেল থানায় নিয়ে যায় পুলিশ।

শরীয়তপুর-মাদারীপুর সড়কে চলাচল করা ট্রাকের চালক জাকির মাতবর অভিযোগ করেন, ‘আমার মতো শত শত ট্রাকচালকের কাছ থেকে শ্রমিক কার্ডের নাম করে চক্রটি চাঁদা আদায় করা হচ্ছিল।’

ঘটনার বিষয়ে আতিক মোল্যা বলেন, কয়েকজনের একটি চক্র শরীয়তপুর জেলা ট্রাক, ট্যাংকলরি, কাভার্ড ভ্যান ও পিকআপভ্যানের চালক শ্রমিক ইউনিয়নের নাম করে ট্রাকচালকদের কাছ থেকে চাঁদা আদায় করছিল, এমন তথ্য তিনি কয়েক দিন ধরে পাচ্ছিলেন। আজ ট্রাকচালকের কাছ থেকে শ্রমিক কার্ড চেক করার নামে ৫০০ টাকা করে জোর করে আদায় করার অভিযোগ করেন ১০ থেকে ১২ জন চালক। তাঁরা ব্যানার টাঙিয়ে ট্রাক থামিয়ে টাকা তুলছিলেন। তিনি থানাকে ঘটনাটি জানালে পুলিশ দুজনকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।

পুলিশ থানায় নেওয়ার সময় শরীয়তপুর জেলা ট্রাক, ট্যাংকলরি, কাভার্ড ভ্যান ও পিকআপচালক শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আবদুর রশিদ দাবি করেন, চাঁদা নেওয়া হচ্ছিল না। যাঁরা শ্রমিক, তাঁদের কার্ড থাকতে হবে। ফেডারেশনের নিয়ম অনুযায়ী তাঁরা দেখছিলেন, সেই শ্রমিক কার্ড আছে কি না। যাঁদের নেই, তাঁদের জরিমানা করা হচ্ছিল।

পালং মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হেলাল উদ্দিন প্রথম আলোক বলেন, সড়কে দাঁড়িয়ে ট্রাকচালকদের কাছ থেকে চাঁদা নেওয়া হচ্ছিল, এমন অভিযোগে দুই ব্যক্তিকে জনতা আটক করে। তাঁদের থানা হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। ঘটনা তদন্ত করা হচ্ছে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: চ লকদ র ক ছ থ ক দ জনক

এছাড়াও পড়ুন:

ফখর জামানকে শাস্তি দিল আইসিসি

ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালে আচরণবিধি ভঙ্গের দায়ে পাকিস্তানি ব্যাটার ফখর জামানকে ম্যাচ ফির ১০ শতাংশ জরিমানা করেছে আইসিসি।

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে অনুষ্ঠিত ফাইনাল ম্যাচে ফখর ‘আইসিসি কোড অব কনডাক্টের ২.৮ ধারা’ লঙ্ঘন করেছেন বলে প্রমাণ পাওয়া যায়। এই ধারা আন্তর্জাতিক ম্যাচের সময় আম্পায়ারের সিদ্ধান্তে অসন্তোষ প্রকাশ বা প্রকাশ্য আপত্তি জানানোর সঙ্গে সম্পর্কিত।

আরো পড়ুন:

দুর্দান্ত বোলিংয়ে পাকিস্তানকে হারিয়ে সিরিজে ফিরল বাংলাদেশ

আইসিসির মাসসেরা খেলোয়াড় হওয়ার দৌড়ে তাইজুল

এ ঘটনার কারণে ফখরের শৃঙ্খলাভঙ্গের রেকর্ডে একটি ‘ডিমেরিট পয়েন্ট’ যোগ করা হয়েছে। গত ২৪ মাসে এটি ছিল তার প্রথম অপরাধ।

ঘটনাটি ঘটে পাকিস্তানের ইনিংসের ১৯তম ওভারে। সেই ওভারে আউট হওয়ার সিদ্ধান্তকে কেন্দ্র করে মাঠের আম্পায়ারদের সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ বিতর্কে জড়ান ফখর জামান।

এমিরেটস আইসিসি ইন্টারন্যাশনাল প্যানেলের ম্যাচ রেফারি রিয়ন কিং শাস্তির প্রস্তাব দেন। অভিযোগ তোলার দায়িত্বে ছিলেন অন-ফিল্ড আম্পায়ার আহসান রাজা ও আসিফ ইয়াকুব, থার্ড আম্পায়ার রশিদ রিয়াজ এবং ফোর্থ আম্পায়ার ফয়সাল আফ্রিদি।

ফখর নিজের অপরাধ স্বীকার করে শাস্তি মেনে নেওয়ায় আনুষ্ঠানিক শুনানির প্রয়োজন হয়নি।

আইসিসির নিয়ম অনুযায়ী, লেভেল-১ অপরাধে সর্বনিম্ন শাস্তি সতর্কবার্তা, আর সর্বোচ্চ শাস্তি খেলোয়াড়ের ম্যাচ ফির ৫০ শতাংশ পর্যন্ত জরিমানা এবং সাথে এক বা দুই ডিমেরিট পয়েন্ট।

উল্লেখ্য, সেই ম্যাচেই শ্রীলঙ্কাকে ছয় উইকেটে হারিয়ে ত্রিদেশীয় সিরিজের শিরোপা জিতে নেয় পাকিস্তান। 

ঢাকা/আমিনুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ