এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে ধর্ষণ মামলায় সাক্ষ্য দিলেন বাদী
Published: 26th, May 2025 GMT
সিলেটের এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় ভুক্তভোগীর স্বামী ও মামলার বাদীর পূর্ণ স্বাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে। সোমবার (২৬ মে) দুপুরে সিলেটের দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক স্বপন কুমার সরকারের আদালতে সাক্ষ্য দেন বাদী।
আদালতে ক্যামেরা ট্রায়ালে ভুক্তভোগীর সাক্ষ্যগ্রহণের কথা থাকলেও তা হয়নি। আগামী তারিখে ভুুক্তভোগীর সাক্ষ্যগ্রহণ হবে। সিলেটের দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) আবুল হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
পিপি আবুল হোসেন জানান, আদালতে মামলার বাদীর পূর্ণ সাক্ষ্যগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। এর আগের তারিখে তিনি আংশিক সাক্ষ্য দিয়েছেন।
আরো পড়ুন:
ঢাবি উপাচার্যের হাতে সাম্য হত্যার তদন্ত প্রতিবেদন
নরসিংদীতে ডিবি পুলিশের ওপর হামলা, আহত ৬
তিনি বলেন, “আজ ক্যামেরা ট্রায়ালে ভুক্তভোগীর সাক্ষ্য নেওয়ার কথা থাকলেও তা হয়নি। আগামী সপ্তাহে ভুক্তভোগীর সাক্ষ্য নেওয়া হবে। আগামী সপ্তাহের যেকোনো দিন মামলার পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের তারিখ নির্ধারণ করা হবে।”
আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০২০ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর রাতে সিলেটের এমসি কলেজের ছাত্রাবাসে স্বামীকে আটকে রেখে এক তরুণীকে (২০) সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করা হয়। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর স্বামী বাদী হয়ে মহানগর পুলিশের শাহপরান থানায় ছয়জনের নাম উল্লেখ এবং দুইজনকে নাম না জানা আসামি করে মামলা করেন। ঘটনার পর আসামিরা পালিয়ে গেলেও তিনদিনের মধ্যে ছয় আসামি ও সন্দেহভাজন দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ ও র্যাব। পরবর্তীতে আদালতে তারা স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
গ্রেপ্তারের পর আসামিদের ডিএনএ নমুনা পরীক্ষায় আটজন আসামির মধ্যে ছয়জনের ডিএনএর মিল পাওয়া যায়। ২০২১ সালের ৩ ডিসেম্বর আটজনের বিরুদ্ধে মামলার অভিযোগপত্র আদালতে জমা দেন তদন্ত কর্মকর্তা ও মহানগর পুলিশের শাহপরান থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ইন্দ্রনীল ভট্টাচার্য।
অভিযুক্তরা হলেন- সাইফুর রহমান, শাহ মাহবুবুর রহমান ওরফে রনি, তারেকুল ইসলাম ওরফে তারেক, অর্জুন লস্কর, আইনুদ্দিন ওরফে আইনুল, মিসবাউল ইসলাম ওরফে রাজন রবিউল ও মাহফুজুর। আট আসামিই বর্তমানে কারাগারে আছেন। তারা সবাই নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের টিলাগড় কেন্দ্রীক রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন।
ঢাকা/নূর/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
ময়মনসিংহে বিআরটিসির বাসের ধাক্কায় নিহত ৩
ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্পোরেশনের (বিআরটিসি) বাসের ধাক্কায় মাহেন্দ্রের তিন যাত্রী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন ছয়জন। তাদের মধ্যে গুরুতর দুইজনকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে।
বুধবার (২৮ মে) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ মহাসড়কের ঈশ্বরগঞ্জ পৌর শহরের দত্তপাড়া এলাকায় ঘটনাটি ঘটে। ময়মনসিংহ ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারি পরিচালক মো. আতিকুর রহমান নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
নিহতদের মধ্যে দুইজন পুরুষ ও একজন নারী। তাৎক্ষণিকভাবে তাদের পরিচয় শনাক্ত করতে পারেনি পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস।
আরো পড়ুন:
চক্ষু বিজ্ঞানের কর্মচারীদের সঙ্গে জুলাইয়ের আহতদের ধাক্কাধাক্কি
বরিশালে মেডিকেল ছাত্রের আত্মহত্যা, চিরকুট উদ্ধার
প্রত্যক্ষদর্শী জানান, একটি সিএনজি চালিত অটোরিকশা ঘটনাস্থলে যাত্রী নামাচ্ছিল। পেছন থেকে আসা একটি মাহেন্দ্র অটোরিকশাটিকে ওভারটেক করার চেষ্টা করে। এসময় বিপরীত দিক থেকে আসা বিআরটিসির একটি বাস মাহেন্দ্রটিকে ধাক্কা দেয়। ঘটনাস্থলেই তিনজন মারা যান। আহত হন ছয়জন।
ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সাদিয়া তামনিম মুনমুন বলেন, “উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ছয়জনকে আনা হয়েছিল। গুরুতর দুইজনকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে।”
ঈশ্বরগঞ্জ থানার ওসি মো. ওবায়দুর রহমান বলেন, “মারা যাওয়াদের পরিচয় শনাক্তের চেষ্টা চলছে। পরে বিস্তারিত জানানো হবে।”
ঢাকা/মিলন/মাসুদ