সিলেটের এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় ভুক্তভোগীর স্বামী ও মামলার বাদীর পূর্ণ স্বাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে। সোমবার (২৬ মে) দুপুরে সিলেটের দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক স্বপন কুমার সরকারের আদালতে সাক্ষ্য দেন বাদী। 

আদালতে ক্যামেরা ট্রায়ালে ভুক্তভোগীর সাক্ষ্যগ্রহণের কথা থাকলেও তা হয়নি। আগামী তারিখে ভুুক্তভোগীর সাক্ষ্যগ্রহণ হবে। সিলেটের দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) আবুল হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।  

পিপি আবুল হোসেন জানান, আদালতে মামলার বাদীর পূর্ণ সাক্ষ্যগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। এর আগের তারিখে তিনি আংশিক সাক্ষ্য দিয়েছেন। 

আরো পড়ুন:

ঢাবি উপাচার্যের হাতে সাম্য হত্যার তদন্ত প্রতিবেদন 

নরসিংদীতে ডিবি পুলিশের ওপর হামলা, আহত ৬

তিনি বলেন, “আজ ক্যামেরা ট্রায়ালে ভুক্তভোগীর সাক্ষ্য নেওয়ার কথা থাকলেও তা হয়নি। আগামী সপ্তাহে ভুক্তভোগীর সাক্ষ্য নেওয়া হবে। আগামী সপ্তাহের যেকোনো দিন মামলার পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের তারিখ নির্ধারণ করা হবে।”

আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০২০ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর রাতে সিলেটের এমসি কলেজের ছাত্রাবাসে স্বামীকে আটকে রেখে এক তরুণীকে (২০) সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করা হয়। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর স্বামী বাদী হয়ে মহানগর পুলিশের শাহপরান থানায় ছয়জনের নাম উল্লেখ এবং দুইজনকে নাম না জানা আসামি করে মামলা করেন। ঘটনার পর আসামিরা পালিয়ে গেলেও তিনদিনের মধ্যে ছয় আসামি ও সন্দেহভাজন দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ ও র‌্যাব। পরবর্তীতে আদালতে তারা স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। 

গ্রেপ্তারের পর আসামিদের ডিএনএ নমুনা পরীক্ষায় আটজন আসামির মধ্যে ছয়জনের ডিএনএর মিল পাওয়া যায়। ২০২১ সালের ৩ ডিসেম্বর আটজনের বিরুদ্ধে মামলার অভিযোগপত্র আদালতে জমা দেন তদন্ত কর্মকর্তা ও মহানগর পুলিশের শাহপরান থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ইন্দ্রনীল ভট্টাচার্য।

অভিযুক্তরা হলেন- সাইফুর রহমান, শাহ মাহবুবুর রহমান ওরফে রনি, তারেকুল ইসলাম ওরফে তারেক, অর্জুন লস্কর, আইনুদ্দিন ওরফে আইনুল, মিসবাউল ইসলাম ওরফে রাজন রবিউল ও মাহফুজুর। আট আসামিই বর্তমানে কারাগারে আছেন। তারা সবাই নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের টিলাগড় কেন্দ্রীক রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন।

ঢাকা/নূর/মাসুদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

দিনাজপুরে শিয়ালের কামড়ে আহত ৮

দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ উপজেলায় শিয়ালের কামড়ে আটজন আহত হয়েছেন। গতকাল শুক্রবার রাত আটটা থেকে নয়টার মধ্যে উপজেলার পুঁটিমারা ইউনিয়নের আন্দলগ্রাম সারাইপাড়া, নয়াপাড়া, চণ্ডীপুর ও বেড়ামাইল গ্রামে এসব ঘটনা ঘটে।

আহত ব্যক্তিরা হলেন আন্দলগ্রাম সারাইপাড়া এলাকার রকিব মিয়া (৬২), চড়ারহাট এলাকার এনামুল হক (৪৬) ও তাঁর স্ত্রী মরিয়ম বেগম (৩৫), ইসাহাক আলী (৪৫), আবদুল হক (৫০), হীরা (২৬), চণ্ডীপুর গ্রামের ফসি উদ্দিন (৪৫) ও বেড়ামাইল গ্রামের সাজ্জাদ হোসেন (২৫)।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, শিয়ালের কামড়ে আহত আটজনের মধ্যে পাঁচজন গতকাল রাতেই বিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন।

প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি (ইউপি সদস্য) শেফালী বেগম ও আহত রকিব মিয়া বলেন, শুক্রবার রাত আটটার দিকে নবাবগঞ্জের চড়ারহাট বাজার থেকে কয়েকজন পথচারী হেঁটে বাড়ি ফিরছিলেন। পথে নয়াপাড়া গ্রামে ঢোকার সময় রাস্তায় একটি শিয়াল অস্বাভাবিক আচরণ করতে থাকে। কিছুক্ষণ পর হঠাৎ শিয়ালটি দৌড়ে এসে পথচারীদের পায়ে ও হাঁটুর নিচে কামড় দেয়। এ সময় কেউ কেউ শিয়ালটিকে তাড়ানোর চেষ্টা করলে সেটির সঙ্গে ধস্তাধস্তিও হয়। পরে শিয়ালটি পালিয়ে যায়।

শেফালী বেগম বলেন, ওই রাতেই নয়াপাড়া গ্রামে মরিয়ম বেগম নামের এক নারী বাড়ির দরজার সামনে দাঁড়িয়ে ছিলেন। হঠাৎ একটি শিয়াল এসে তাঁর পায়ে কামড় দিয়ে পালিয়ে যায়। প্রায় এক ঘণ্টার মধ্যে সারাইপাড়া, নয়াপাড়া, বেড়ামাইল ও চণ্ডীপুর গ্রামের আটজনকে শিয়াল কামড় দেয়।

বিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক তাহাজুল ইসলাম বলেন, শুক্রবার রাত ১০টার দিকে শিয়ালের কামড়ে আহত পাঁচজন রোগী হাসপাতালে আসেন। তাঁরা সবাই চিকিৎসা নিয়ে রাতেই বাড়ি ফিরে গেছেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • শরীয়তপুরে দু’পক্ষের সংঘর্ষ, শতাধিক হাতবোমা বিস্ফোরণ
  • দিনাজপুরে শিয়ালের কামড়ে আহত ৮