সিলেটের মুরারি চাঁদ (এমসি) কলেজ ছাত্রাবাসে গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ মামলার বাদী ও নির্যাতিতার স্বামীর সাক্ষ্যগ্রহন শেষ হয়েছে। সোমবার সিলেটের দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক স্বপন কুমার সরকারের আদালতে তিনি সাক্ষ্য দেন। এ দিন ক্যামেরা ট্রায়ালে ভুক্তভোগী তরুণীর সাক্ষ্যগ্রহনের কথা থাকলেও তা হয়নি। 

এ বিষয়ে ট্রাইব্যুনালের পিপি মো.

আবুল হোসেন জানান, পরবর্তী তারিখে ভুক্তভোগীর সাক্ষ্যগ্রহণ করা হবে। এর আগে ১৯ মে মামলার বাদীর আংশিক ও এমসি কলেজ ছাত্রাবাসের তৎকালীন দায়িত্বে থাকা সহযোগী অধ্যাপক জীবন কৃষ্ণ আচার্য্য সাক্ষ্য দেন।
 
২০২০ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে স্বামীকে আটকে রেখে স্ত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় সারা দেশে তোলপাড় সৃষ্টি হয়। পুলিশ ও র‌্যাব দ্রুত জড়িতদের গ্রেপ্তার করে। ঘটনার পর পৃথক দুটি মামলা হয়। একই বছরের ৩ ডিসেম্বর ছাত্রলীগের আট নেতাকর্মীকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দেন তদন্ত কর্মকর্তা।

২০২১ সালের ১২ জানুয়ারি সিলেটের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলার প্রথম বিচার শুরু হলেও ২০২৩ সালে বাদী মামলাটি দ্রুতবিচার ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তরের জন্য উচ্চ আদালতে আবেদন করেন। ফলে দীর্ঘসূত্রিতায় পড়ে মামলাটি। তৎকালীন রাষ্ট্রপক্ষও বিচারে গড়িমসি করে। সেসময় সরকারের পক্ষ থেকে লিভ টু আপিল করা হয়, যা নজিরবিহীন বলে মনে করেন আইনজীবীরা। অবশেষে সরকার লিভ টু আপিল তুলে নিলে চলতি বছরের ১৭ মার্চ উচ্চ আদালত মামলার বিচার ট্রাইব্যুনালে শুরুর আদেশ দেন। এরপর থেকে মামলাটি ট্রাইব্যুনালে চলছে। ইতোমধ্যে সাবেক শিক্ষার্থী ও শিক্ষকের সাক্ষ্যগ্রহন করেছেন আদালত। 

মামলায় অভিযুক্ত আসামিরা ঘটনার পর থেকে কারাগারে রয়েছেন। সাক্ষ্যগ্রহনকালে আজ তাদের আদালতে হাজির করা হয়। আসামিরা হলেন–সিলেটের বালাগঞ্জ উপজেলার চান্দাইপাড়ার তাহিদ মিয়ার ছেলে সাইফুর রহমান, হবিগঞ্জ সদরের বাগুনীপাড়ার শাহ জাহাঙ্গীর মিয়ার ছেলে শাহ মো. মাহবুবুর রহমান রনি, সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জের উমেদনগরের রফিকুল ইসলামের ছেলে তারেকুল ইসলাম তারেক, জকিগঞ্জের আটগ্রামের অমলেন্দু লস্কর ওরফে কানু লস্করের ছেলে অর্জুন লস্কর, দিরাই উপজেলার বড়নগদীপুরের দেলোয়ার হোসেনের ছেলে রবিউল ইসলাম ও কানাইঘাটের লামা দলইকান্দির (গাছবাড়ী) সালিক আহমদের ছেলে মাহফুজুর রহমান মাসুম। আসামিদের মধ্যে চারজন শিক্ষার্থী হওয়ায় সেসময় তাদের ছাত্রত্ব বাতিল করে কর্তৃপক্ষ।

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

বাংলাদেশ ক্রিকেটের সমস্যা কী, সমাধান কোথায়: শুনুন তামিমের মুখে

এই মুহূর্তে বাংলাদেশ ক্রিকেটে সবচেয়ে বড় সমস্যা কী? কোন বিষয়টি সবার আগে সমাধান করা উচিত?

দুটি প্রশ্নের উত্তরে অনেকেই অনেক কথাই বলবেন। বাংলাদেশ ক্রিকেটের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত কারও বিষয়টি ভালো জানার কথা। যেমন তামিম ইকবাল। প্রথম আলোর প্রধান ক্রীড়া সম্পাদক উৎপল শুভ্র তামিমের সামনে দুটি প্রশ্ন রেখেছিলেন। তামিমের উত্তর, ‘আমার কাছে মনে হয় যে আমাদের ফ্যাসিলিটিজ (অনুশীলনের পর্যাপ্ত সুযোগ–সুবিধা) নাই।’

প্রথম আলোর কার্যালয়ে উৎপল শুভ্রকে দেওয়া বিশেষ সাক্ষাৎকারে আড্ডার মেজাজে তামিম বাংলাদেশের ক্রিকেট নিয়ে অনেক কথাই বলেছেন। নিজের ক্যারিয়ার, ভবিষ্যৎ লক্ষ্য—এসব নিয়েও বেশ খোলামেলা কথা বলেন সাবেক এই ওপেনার।

আলাপচারিতার একপর্যায়েই বাংলাদেশ ক্রিকেটে এ মুহূর্তের সমস্যার প্রসঙ্গ উঠেছিল। অনুশীলনের পর্যাপ্ত সুযোগ–সুবিধার অভাবকে সামনে টেনে এনে তামিম বলেছেন, ‘একটা আন্তর্জাতিক ক্রিকেট দলের যে ফ্যাসিলিটিজ দরকার হয় কিংবা বাংলাদেশের মতো দেশে সবচেয়ে জনপ্রিয় খেলার একটি (ক্রিকেট), যে ফ্যাসিলিটিজ থাকা উচিত, তার আশপাশেও নেই। পৃথিবীর তৃতীয়, চতুর্থ ধনী বোর্ডের যে ফ্যাসিলিটিজ থাকা উচিত, আমরা এর আশপাশেও নেই।’

তামিম বিষয়টি ভালোভাবে ব্যাখ্যা করলেন, ‘ক্রিকেট দলের প্রতি ভক্তদের যে প্রত্যাশা, সেটা পূরণের জন্য যে ফ্যাসিলিটিজ দরকার, আমরা তার আশপাশেও নেই। আপনি মাঝারি মানের ক্রিকেটার হতে পারেন কিংবা মাঝারি মানের ব্যাটসম্যান হতে পারেন, সঠিক অনুশীলনের মাধ্যমে কিন্তু আপনি মাঝারি মান থেকে দুই ধাপ ওপরে উঠতে পারবেন।’

মুশফিকুর রহিম

সম্পর্কিত নিবন্ধ