এমসি কলেজ: ছাত্রাবাসে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ মামলায় বাদীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ
Published: 26th, May 2025 GMT
সিলেটের মুরারি চাঁদ (এমসি) কলেজ ছাত্রাবাসে গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ মামলার বাদী ও নির্যাতিতার স্বামীর সাক্ষ্যগ্রহন শেষ হয়েছে। সোমবার সিলেটের দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক স্বপন কুমার সরকারের আদালতে তিনি সাক্ষ্য দেন। এ দিন ক্যামেরা ট্রায়ালে ভুক্তভোগী তরুণীর সাক্ষ্যগ্রহনের কথা থাকলেও তা হয়নি।
এ বিষয়ে ট্রাইব্যুনালের পিপি মো.
২০২০ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে স্বামীকে আটকে রেখে স্ত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় সারা দেশে তোলপাড় সৃষ্টি হয়। পুলিশ ও র্যাব দ্রুত জড়িতদের গ্রেপ্তার করে। ঘটনার পর পৃথক দুটি মামলা হয়। একই বছরের ৩ ডিসেম্বর ছাত্রলীগের আট নেতাকর্মীকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দেন তদন্ত কর্মকর্তা।
২০২১ সালের ১২ জানুয়ারি সিলেটের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলার প্রথম বিচার শুরু হলেও ২০২৩ সালে বাদী মামলাটি দ্রুতবিচার ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তরের জন্য উচ্চ আদালতে আবেদন করেন। ফলে দীর্ঘসূত্রিতায় পড়ে মামলাটি। তৎকালীন রাষ্ট্রপক্ষও বিচারে গড়িমসি করে। সেসময় সরকারের পক্ষ থেকে লিভ টু আপিল করা হয়, যা নজিরবিহীন বলে মনে করেন আইনজীবীরা। অবশেষে সরকার লিভ টু আপিল তুলে নিলে চলতি বছরের ১৭ মার্চ উচ্চ আদালত মামলার বিচার ট্রাইব্যুনালে শুরুর আদেশ দেন। এরপর থেকে মামলাটি ট্রাইব্যুনালে চলছে। ইতোমধ্যে সাবেক শিক্ষার্থী ও শিক্ষকের সাক্ষ্যগ্রহন করেছেন আদালত।
মামলায় অভিযুক্ত আসামিরা ঘটনার পর থেকে কারাগারে রয়েছেন। সাক্ষ্যগ্রহনকালে আজ তাদের আদালতে হাজির করা হয়। আসামিরা হলেন–সিলেটের বালাগঞ্জ উপজেলার চান্দাইপাড়ার তাহিদ মিয়ার ছেলে সাইফুর রহমান, হবিগঞ্জ সদরের বাগুনীপাড়ার শাহ জাহাঙ্গীর মিয়ার ছেলে শাহ মো. মাহবুবুর রহমান রনি, সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জের উমেদনগরের রফিকুল ইসলামের ছেলে তারেকুল ইসলাম তারেক, জকিগঞ্জের আটগ্রামের অমলেন্দু লস্কর ওরফে কানু লস্করের ছেলে অর্জুন লস্কর, দিরাই উপজেলার বড়নগদীপুরের দেলোয়ার হোসেনের ছেলে রবিউল ইসলাম ও কানাইঘাটের লামা দলইকান্দির (গাছবাড়ী) সালিক আহমদের ছেলে মাহফুজুর রহমান মাসুম। আসামিদের মধ্যে চারজন শিক্ষার্থী হওয়ায় সেসময় তাদের ছাত্রত্ব বাতিল করে কর্তৃপক্ষ।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
কেইনের জোড়া গোলে চেলসিকে হারাল বায়ার্ন, চ্যাম্পিয়ন পিএসজির গোল উৎসব
বায়ার্ন মিউনিখ ৩–১ চেলসি
২০১২ সালে আলিয়াঞ্জ অ্যারেনায় ইতিহাস গড়েছিল চেলসি। ফাইনালে বায়ার্ন মিউনিখকে টাইব্রেকারে হারিয়ে প্রথমবারের মতো পরেছিল ইউরোপসেরার মুকুট।
তবে এরপর থেকে বায়ার্নের সঙ্গে মুখোমুখি সব ম্যাচেই হেরেছে চেলসি। লন্ডনের ক্লাবটি পারল না আজও। হ্যারি কেইনের জোড়া গোলে চেলসিকে ৩–১ ব্যবধানে হারিয়েছে বায়ার্ন।
আলিয়াঞ্জ অ্যারেনায় ম্যাচের ২০ মিনিটে বায়ার্ন প্রথম গোলটা পেয়েছে উপহারসূচক। চেলসির সেন্টার–ব্যাক ট্রেভোহ চালোবাহ নিজেদের জালে বল জড়ালে এগিয়ে যায় বাভারিয়ানরা।
কিছুক্ষণ পরেই ব্যবধান দ্বিগুণ করেন কেইন। এবার ভুল করে বসেন চেলসির মইসেস কাইসেদো। নিজেদের বক্সে কেইনকে কাইসেদো অযথা ট্যাকল করলে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি।
নতুন মৌসুমে গোলের পর গোল করেই চলেছেন হ্যারি কেইন