পাকিস্তানে টি-টোয়েন্টি সিরিজের শুরুটা ভালো হয়নি বাংলাদেশের। সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ ২-১ ব‌্যবধানে হারের পর পাকিস্তানে ভালো করতে মরিয়া ছিল বাংলাদেশ। কিন্তু লাহোরে তিন ম‌্যাচের সিরিজে শুরুতে বিপর্যয়। ৩৭ রানের হারে সিরিজে ১-০ ব‌্যবধানে পিছিয়ে বাংলাদেশ।

একদিনের বিরতির পরই দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি আগামীকাল। নিজেদের ভুল শুধরানোর খুব একটা সুযোগ নেই। তবুও শক্তভাবে ঘুরে দাঁড়াতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ বাংলাদেশ।

দলের অধিনায়ক লিটন দাস জানিয়েছেন, সিরিজে ঘুরে দাঁড়াতে তারা আত্মবিশ্বাসী। পুরস্কার বিতরণী মঞ্চে লিটন বলেছেন, ‘‘২০০ রান এই মাঠে তাড়া করা উচিত ছিল। কারণ আউটফিল্ড খুব ফাস্ট ছিল এবং উইকেট ভালো ছিল ব‌্যাটিং করার জন‌্য। আমরা ইনিংসের মধ‌্যভাগে ভালো ব‌্যাটিং করতে পারিনি। এজন‌্য বলছি, আমাদেরকে শক্তভাবে ফিরে আসতে হবে। ’’

নিজেদের পারফরম‌্যান্স নিয়ে লিটন যোগ করেন, ‘‘পুরো ম‌্যাচেই আমরা ভালো বোলিং করতে পারিনি। ভালো ব‌্যাটিং করতে পারিনি। ভালো ফিল্ডিং করতে পারিনি। কোনো কিছুতেই সন্তোষজনক নয়। তবে আমাদেরকে শক্তভাবে ঘুরে দাঁড়াতে হবে। এখনো দুইটি ম‌্যাচ আছে।’’

টস জিতে আগে ব‌্যাটিং করতে নেমে পাকিস্তান ৭ উইকেটে ২০১ রান করে। জবাব দিতে নেমে বাংলাদেশ ১৬৪ রানে গুটিয়ে যায়। নির্বিষ বোলিংয়ের পর বিবর্ণ ব‌্যাটিং চিত্র। শরীরি ভাষায় ছিল না জয়ের তীব্র ক্ষুধা। পরাজয়কে এক প্রকার আলিঙ্গন করে নিয়েছে বাংলাদেশ। 

এমন হারের ব‌্যাখ‌্যা লিটন দিতে পারেনি। তবে অনুশীলনই যে সব নয় তা বুঝিয়ে দিয়েছেন, ‘‘শুধু অনুশীলন করলেই হবে না। মানসিকভাবেও শক্ত হতে হবে। আমি যেটা অনুভব করি, ক্রিকেটে অনুশীলনই সব নয়। আপনি কখন সুযোগটি কাজে লাগাতে পারবেন সেটাই মূখ‌্য বিষয়।’’

শেষ এক বছরে জাতীয় দলে নিয়মিত পারফর্মার জাকের আলী। এই ম‌্যাচেও মান রেখেছেন। ২০ বলে ৩৬ রান করেছেন ১ চার ও ৩ ছক্কায়। জাকেরের জন‌্য আফসোস ঝরল লিটনের কণ্ঠে, ‘‘জাকের আলী শেষ এক বছরে ভালো ক্রিকেট খেলেছে। এই মুহূর্তে আমাদের মূল‌্যবান ক্রিকেটার। কিন্তু একজন খেলোয়াড় একা ম‌্যাচ জেতাতে পারে না। দলের প্রত‌্যেককে অবদান রাখতে হবে। ’’

ঢাকা/ইয়াসিন

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে বংশে তিনি প্রথম, তাই এত আয়োজন

চীনে উচ্চশিক্ষার জন্য অভিজাত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে প্রথম সারিতে রয়েছে বেইজিংয়ের পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়। সেখানে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাওয়া দেশটির যেকোনো শিক্ষার্থীর জন্য দারুণ সম্মানের। এ বছর পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন লি গুওইয়াও।

লির বাড়ি জেজিয়াং প্রদেশের ওয়েনজউ শহরে। এর আগে তাঁর বংশে শত বছরের ইতিহাসে কেউ পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পাননি। এত বড় সম্মানের উপলক্ষ উদ্‌যাপন করতে তাই বিন্দুমাত্র কার্পণ্য করেননি লির পরিবার ও গ্রামের বাসিন্দারা। রীতিমতো লালগালিচা বিছিয়ে, মোটর শোভাযাত্রা করে, ব্যান্ড বাজিয়ে পরিবার ও গ্রামের মুখ উজ্জ্বল করা লিকে সংবর্ধনা দেন তাঁরা, সঙ্গে ছিল ভূরিভোজের ব্যবস্থা। চীনের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম উইবোতে এই সংবর্ধনার ছবি ও ভিডিও রীতিমতো ভাইরাল হয়ে যায়।

চীনে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য জাতীয় পর্যায়ে একটি পরীক্ষা নেওয়া হয়। যেটি ‘গাওকাও’ নামে পরিচিত। তীব্র প্রতিযোগিতাপূর্ণ এই পরীক্ষা বেশ কঠিন। পরীক্ষায় মোট ৭৫০ নম্বরের মধ্যে লি পেয়েছেন ৬৯১।

লির গ্রামের এক প্রতিবেশী জানান, লির বাবা নির্মাণশ্রমিক। লির মা মাত্র ২ হাজার ৮০০ ইউয়ান বেতনে একটি সুপারশপে কাজ করেন। সত্যি বলতে, ছেলেটি সম্পূর্ণ নিজের চেষ্টা আর পরিশ্রমে এটা অর্জন করেছেন।

প্রতিবেশী আরেক গ্রামবাসী বলেন, লি তাঁর বাবার কাছ থেকে পাওয়া একটি পুরোনো মুঠোফোন দিয়ে প্রশ্নোত্তর অনুশীলন করতেন। সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোয় গ্রামের গ্রন্থাগারে বসে পরীক্ষার প্রশ্নপত্র হাতে লিখে তারপর সেগুলো অনুশীলন করতেন। মাধ্যমিকে তিনি কখনো কোনো প্রাইভেট শিক্ষকের কাছে পড়েননি।

লিকে সংবর্ধনা দিতে শতাব্দীপ্রাচীন ঐতিহ্য ভেঙে তাঁদের গ্রামের পূর্বপুরুষদের মন্দিরের প্রধান ফটক খোলা হয়, যা একটি বিশেষ সম্মানের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত।

লিকে সংবর্ধনা দেওয়ার ছবি ও ভিডিও চীনজুড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

অনলাইনে একজন লেখেন, ‘পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে ৬৯১ নম্বর! এটা অবিশ্বাস্য। সত্যিই পুরো পরিবারের মুখ উজ্জ্বল করেছে!’

তবে কেউ কেউ এই জমকালো উদ্‌যাপন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

তাঁরা বলেছেন, এটা কি একটু বাড়াবাড়ি নয়? উৎসবটা খুবই জাঁকজমকপূর্ণ, এতে ছেলেটার ওপর অকারণ চাপ তৈরি হতে পারে। স্নাতক হওয়ার পর কি পরিবার তাঁর কাছ থেকে অনেক বেশি কিছু প্রত্যাশা করবে না?

সম্পর্কিত নিবন্ধ