গত কিছুদিন ধরে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) হট সিটে রদবদলের খবর শোনা যাচ্ছিল। নানা কারণে প্রবল সমালোচিত হয়ে আসছিলেন বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ। সমালোচনার ব্যাখ্যা প্রতিবার দিলেও আশাব্যঞ্জক উন্নতি হচ্ছিল না। যার কারণে সরকারও তাকে নিয়ে ভাবতে শুরু করেছে।

সেই সূত্রেই গতকাল রাতে যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়ার বাসভবনে দেখা করেছেন ফারুক। দুজনের আলোচনায় বিসিবির আগামী নির্বাচন প্রসঙ্গ উঠে আসলেও ক্রীড়া উপদেষ্টা ফারুককে বার্তা দিয়েছেন বিসিবির শীর্ষ পদে তারা পরিবর্তনের কথা ভাবছে।

যে কারণে পদত্যাগের সিদ্ধান্তকে বেছে নিতে যাচ্ছেন ফারুক। সরকার সামনে এসে তাকে সরিয়ে দিলে আইসিসির নজরে আসবে। দেশের ক্রিকেটের ওপর সরকারের প্রভাবের প্রমাণ পেলে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নিষিদ্ধও হতে পারে বাংলাদেশ। বিশ্বস্ত সূত্র নিশ্চিত করেছে, এ জন‌্য ফারুক নিজ থেকে সরে যেতে চাচ্ছেন। দুয়েক দিনের মধ্যেই ফারুক নিজের পদত্যাগপত্র বোর্ডকে দেবেন। এ ব্যাপারে ফারুকের সঙ্গে রাতেই রাইজিংবিডির পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হয়েছিল কিন্তু কোনো সাড়া মেলেনি।

গত বছরের ৫ আগস্ট দেশে ক্ষমতার পরিবর্তনের পর বিসিবি সভাপতির পদ থেকে পদত‌্যাগ করেন নাজমুল হাসান পাপন। এছাড়া ক্ষমতাসীন দলের যোগসাজশে আরো কয়েকজন পরিচালক নির্বাচিত হন। রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ বিসিবির জন‌্য ফারুক আহমেদ ও নাজমুল আবেদীন ফাহিমকে পরিচালক হিসেবে নিয়োগ দেয়। পরবর্তীতে ফারুক বিসিবির সভাপতি নিয়োগপ্রাপ্ত হন।

কিন্তু শুরু থেকে তার কাজ নিয়ে প্রবল সমালোচনা হচ্ছিল। ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ এসেছে তার বিরুদ্ধে। এছাড়া মাঠের ক্রিকেটেও নেই কোনো সুখবর। যার কারণে বিসিবি সভাপতি হিসেবে প্রবল সমালোচিত হচ্ছিলেন তিনি।
 
সরকার মনোনীত প্রতিনিধি হওয়ায় ফারুককে সরাতে খুব বেশি জটিলতার মধ‌্যে পড়বে না সরকার। ফারুককে নিজেদের ভাবনা পরিস্কার করে বলে দেওয়ায় তার পদত‌্যাগ করাটা সময়ের ব‌্যাপার মাত্র।

এদিকে হঠাৎ ঢাকায় এসে আলোচনা তুঙ্গে তুলেছেন আমিনুল ইসলাম বুলবুল। শুরুতে শোনা গিয়েছিল, জরুরী পারিবারিক কাজেই ঢাকা পা পড়েছে আমিনুল। আইসিসির চাকুরী করায় বিভিন্ন দেশে যেতে হয় তাকে। ছুটি নিয়ে ঢাকায় এসেছেন তিনি। কিন্তু এখন শোরগোল শুরু হয়েছে, আমিনুল হতে যাচ্ছেন পরবর্তী বিসিবি সভাপতি। যদিও এখনও কিছুই চূড়ান্ত হয়নি।

ফারুকের পদত‌্যাগ, আমিনুলের নিয়োগ সবকিছু হতেই সময়ের প্রয়োজন। আগামী কয়েক দিন ক্রিকেটাঙ্গন মাঠের ক্রিকেটকে পাশ কাটিয়ে বিসিবির হট চেয়ার নিয়ে ব‌্যস্ত থাকবে তা বোঝাই যাচ্ছে।

ঢাকা/ইয়াসিন

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর য গ কর আম ন ল সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

বিশ্ববিদ্যালয়ে পদার্থবিজ্ঞানে গবেষণা পুরস্কার এবং লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ডের আবেদন করুন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) পদার্থবিজ্ঞান বিভাগ ‘রাজ্জাক শামসুন নাহার গবেষণা পুরস্কার’ ও ‘রাজ্জাক শামসুন নাহার লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড ইন ফিজিক্স’ প্রদানের জন্য দেশের পদার্থবিজ্ঞানী ও গবেষকদের কাছ থেকে আবেদনপত্র আহ্বান করা হয়েছে।

কোন সালের জন্য পুরস্কার —

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পদার্থবিজ্ঞান বিভাগে প্রতিষ্ঠিত ট্রাস্ট ফান্ড থেকে ২০১৭, ২০১৮, ২০১৯, ২০২০ ও ২০২১ সালের গবেষণা কাজের জন্য এই অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হবে।

পুরস্কার মল্যমান কত —

১. পদার্থবিজ্ঞান বিষয়ে মৌলিক গবেষণার জন্য পুরস্কার পাওয়া গবেষককে রাজ্জাক শামসুন নাহার গবেষণা পুরস্কার হিসেবে নগদ ২০ হাজার টাকা প্রদান করা হবে।

২. পদার্থবিজ্ঞান বিষয়ে আজীবন অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে একজন বিজ্ঞানী বা গবেষককে নগদ ৫০ হাজার টাকা মূল্যের রাজ্জাক শামসুন নাহার লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হবে।

আবেদনের শেষ তারিখ —

আগ্রহী প্রার্থীদের আগামী ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫ সালের মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-উপাচার্য (শিক্ষা) বরাবর আবেদনপত্র জমা দিতে হবে।

আবেদনের সঙ্গে জমা দিতে—

আবেদনকারীদের যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে তিন কপি আবেদনপত্র, তিন প্রস্থ জীবনবৃত্তান্ত, তিন প্রস্থ গবেষণাকর্ম এবং তিন কপি ছবি আবেদনপত্রের সঙ্গে জমা দিতে হবে।

দরকারি তথ্য—

১. জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর মাসের মধ্যে প্রকাশিত গবেষণাকর্ম পুরস্কারের জন্য বিবেচিত হবে।

২. যৌথ গবেষণা কাজের ক্ষেত্রে গবেষণা পুরস্কারের অর্থ সমান হারে বণ্টন করা হবে। এ ক্ষেত্রে সহযোগী গবেষক বা গবেষকের অনুমতি নিয়ে আবেদন করতে হবে।

৩. আবেদনকারী যে বছরের জন্য আবেদন করবেন পাবলিকেশন ওই বছরের হতে হবে।

৪. একই পাবলিকেশন দিয়ে পরবর্তী বছরের জন্য আবেদন করা যাবে না।

৫. কোন কারণে একজন প্রার্থী পুরস্কারের জন্য আবেদন করলে প্রার্থিতার স্বল্পতা বিবেচনা করে তাঁর আবেদন বিবেচনা করা হবে।

৬. পরীক্ষক তাঁর গবেষণা কাজের পুরস্কারের জন্য সুপারিশ না করলে তাঁকে পুরস্কারের বিষয়ে বিবেচনা করা হবে না।

৭. পদার্থবিজ্ঞানে রাজ্জাক শামসুন নাহার গবেষণা পুরস্কার একবার প্রাপ্ত গবেষকও পরবর্তী সময়ে আবেদন করতে পারবেন।

৮. নতুন গবেষককে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।

৯. যদি মানসম্মত গবেষণা কাজ না পাওয়া যায়, সে ক্ষেত্রে পূর্বের পুরস্কার পাওয়া গবেষকের নতুন গবেষণা কাজের পুরস্কারের জন্য পরীক্ষকের সুপারিশের ভিত্তিতে বিবেচনা করা হবে।

# আবেদন জমা দেওয়ার ঠিকানা: প্রো-উপাচার্য (শিক্ষা), ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • খুলনায় বিএনপির সদস্য সচিব মনিরুল, ভোলা সদরে কার্যক্রম স্থগিত
  • জুলাই সনদ নিয়ে রাজনৈতিক সংকট তৈরি হলো কেন
  • বিশ্ববিদ্যালয়ে পদার্থবিজ্ঞানে গবেষণা পুরস্কার এবং লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ডের আবেদন করুন
  • নোবিপ্রবিসাসের বর্ষসেরা সাংবাদিক রাইজিংবিডি ডটকমের শফিউল্লাহ
  • এবারও কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে নেই বাংলাদেশ
  • ১০০ কোটির সম্পদ, স্বামীর প্রতারণা, ৪৭ বছর বয়সেই মারা যান এই নায়িকা
  • তানজানিয়ায় ‘সহিংস’ প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ৯৮ শতাংশ ভোট পেয়ে জয়ী সামিয়া
  • শিল্পের আয়নায় অতীতের ছবি