চট্টগ্রামে গণতান্ত্রিক জোটের কর্মসূচিতে হামলার ঘটনায় দু’জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বুধবার নগরের জামালখানে ঘটনাস্থল থেকে তাদের আটক করা হয়। এ ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। 

গ্রেপ্তার দুইজন হলেন- বিজিসি ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী ওবায়দুর রহমান ও হকার মো. সেলিম। এর আগে বুধবার রাতে তাদের ছাড়িয়ে নিতে নগরের কোতোয়ালি থানার সামনে আড়াই ঘণ্টা বিক্ষোভ করে ‘এন্টি শাহবাগ মুভমেন্ট’। হামলার সময় গণতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিলের এক নারী নেত্রীকে লাথি দেওয়া যুবককে শনাক্তে কাজ করছে পুলিশ।

কোতোয়ালি থানার ওসি আবদুল করিম বলেন, ‘দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মামলা দায়ের করা হয়েছে। তদন্ত করে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় জামায়াত নেতা এটিএম আজহারুল ইসলামের মুক্তি ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে বামপন্থি ছাত্র সংগঠনগুলোর মোর্চা গণতান্ত্রিক ছাত্র জোটের নেতাকর্মীদের ওপর ‘হামলার’ প্রতিবাদে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সামনে সমাবেশ আহ্বান করে গণতান্ত্রিক ছাত্র জোট। বিকেল তিনটায় তারা সেখানে জড়ো হলে এন্টি শাহবাগ মুভমেন্টের ব্যানারে একদল যুবক হামলা চালায়। এতে ১৫ জন আহত হন।

হামলার একটি ভিডিওতে নগরের জামালখান চিটাগং ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটির সামনে এক যুবক শুরুতে এক যুবককে লাথি মারেন। পরে গণতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিলের সহ-সভাপতি অ্যানি চৌধুরীকে লাথি মেরে ফেলে দেন। 

একজন নারীকে এভাবে লাথি মারার ঘটনায় দেশজুড়ে সমালোচনা তৈরি হয়। অপরাধীদের গ্রেপ্তারের দাবি জানানো হয়।

হামলার জন্য ছাত্রশিবিরকে দায়ী করেছে গণতান্ত্রিক ছাত্রজোট। তবে ওই ঘটনায় তাদের কেউ ছিল না বলে বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছেন ইসলামী ছাত্রশিবিরের চট্টগ্রাম মহানগর উত্তর শাখার সভাপতি মো.

তানজীর হোসেন ও সেক্রেটারি মুমিনুল হক।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: গণত ন ত র ক ছ ত র ঘটন য়

এছাড়াও পড়ুন:

সাগরে নিম্নচাপ: বিদ্যুৎ না থাকায় মোবাইল সেবা বিঘ্নিত

সাগরে নিম্নচাপের প্রভাবে দেশের বিভিন্ন স্থানে অতি ভারী বৃষ্টিপাত হচ্ছে। বৃষ্টিপাতের ফলে দেশের অনেক জেলা প্লাবিত হয়ে গেছে। ‍বিদ্যুৎহীন হয়ে বিভিন্ন স্থানে মোবাইল যোগাযোগ ব্যাহত হচ্ছে।

শুক্রবার (৩০ মে) প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব ফেসবুকে পোস্টে ৫ হাজারের বেশি টাওয়ার বা সাইট অচল হওয়ার তথ্য দিয়েছেন।

মোবাইল অপারেটর সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছে, অচল হওয়া টাওয়ারের সংখ্যা অন্তত ১৩ হাজার। এর মধ্যে গ্রামীণফোনের ৪ হাজার ৪৭৪টি, বাংলালিংকের ৩ হাজার ২০টি এবং রবির ৫ হাজার ৫০০টি সাইট রয়েছে।

ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব ফেসবুক লিখেছেন, ‘নিম্নচাপজনিত ঝড়-জলোচ্ছ্বাস ও বিদ্যুৎহীন পরিস্থিতির কারণে সারা দেশে টেলিযোগাযোগ সেবা বিঘ্নিত হচ্ছে। টেলিযোগাযোগ নেটওয়ার্ক পুনরুদ্ধার করতে নিরলসভাবে কাজ করছেন পল্লী বিদ্যুৎসহ টেলিযোগাযোগ সেবার কর্মীরা।’

তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক বিশেষ সহকারী লিখেছেন, দুর্যোগের প্রভাব সবচেয়ে বেশি পড়েছে বরিশাল, দক্ষিণ সিলেট, টাঙ্গাইল, চাঁদপুর, ময়মনসিংহ, ঢাকা উত্তর, কুমিল্লা, নোয়াখালী ও দক্ষিণ চট্টগ্রামে। এসব এলাকায় বিদ্যুৎসেবা বিঘ্নিত হচ্ছে।

ঢাকা/এসবি

সম্পর্কিত নিবন্ধ