জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় রাজধানীর উত্তর বাড্ডায় ফার্নিচার দোকানের কর্মচারী পারভেজ বেপারীকে হত্যার অভিযোগে শেখ হাসিনাসহ ৩১২ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। নিহতের বাবা মো. সবুজ গত সোমবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জশিতা ইসলামের আদালতে এ মামলা করেন।
ওইদিন আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে বাড্ডা থানা পুলিশকে অভিযোগটি এজাহার হিসেবে গ্রহণের নির্দেশ দেন। বৃহস্পতিবার বাদীপক্ষের আইনজীবী মকবুল হোসেন এ তথ্য জানান।
মামলার উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন সাবেক মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, আমির হোসেন আমু, আসাদুজ্জামান খান কামাল, শাজাহান খান, ফারুক খান, কামরুল ইসলাম, কাজী জাফর উল্লাহ, জাহাঙ্গীর কবির নানক, প্রাণ গোপাল দত্ত, খসরু চৌধুরী, এ এম নাঈমুর রহমান দুর্জয়, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, সালমা চৌধুরী, পুলিশের সাবেক কর্মকর্তা হারুন অর রশীদ, ছাত্রলীগ নেতা সাদ্দাম হোসেন ও অভিনেতা সিদ্দিকুর রহমান। এছাড়া মেঘনা গ্রুপ ও একাত্তর টিভির চেয়ারম্যান মোস্তফা কামালসহ বেশ কয়েকজন গণমাধ্যম কর্মীকে আসামি করা হয়েছে।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, গত বছরের ১৯ জুলাই বিকেলে বাড্ডা থানা এলাকার সুবাস্তু টাওয়ারের সামনে ছিলেন ৫০০-৭০০ জন আন্দোলনকারী। এ সময় তাদের ওপর গুলি চালানো হয়। এতে গুলিবিদ্ধ হন পারভেজ। পরে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
ঢাকায় আওয়ামী লীগের একাধিক ঝটিকা মিছিলে অংশ নেওয়া নেতা গ্রেপ্তার: পুলিশ
রাজধানীতে আওয়ামী লীগের (কার্যক্রমনিষিদ্ধ) একাধিক ঝটিকা মিছিলে অংশ নেওয়ার অভিযোগে দলটির এক নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
আজ সোমবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানায় ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। এতে বলা হয়, গ্রেপ্তার ব্যক্তির নাম আবু জাহের দুলাল। তিনি নোয়াখালীর কবিরহাট উপজেলা আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়াবিষয়ক সম্পাদক।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ডিএমপির সিটি ইন্টেলিজেন্স অ্যানালিসিস বিভাগ গতকাল রোববার রাতে রাজধানীর নবাবপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে আবু জাহেরকে গ্রেপ্তার করে। আবু জাহের গত কয়েক মাসে ঢাকার বিভিন্ন স্থানে আওয়ামী লীগের একাধিক ঝটিকা মিছিলে অংশ নিয়েছেন।
ডিএমপি বলছে, এসব ঝটিকা মিছিলে অংশ নেওয়ার দৃশ্য আবু জাহের নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে প্রচার করেছেন। তাঁর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।