কানাডায় পড়শোনা, যে নম্বরগুলো জানা জরুরী
Published: 1st, June 2025 GMT
কানাডা আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য একটি নিরাপদ ও গ্রহণযোগ্য দেশ হিসেবে খ্যাত। পড়াশোনার সময়ে নানা কারণে শিক্ষার্থীরা নানা সমস্যায় পড়তে পারেন দেশটিতে। এমন ক্ষেত্রে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হয়। এর জন্য কিছু প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ রয়েছে, যা শিক্ষার্থীদের জন্য তুলে ধরেছেন দ্যা ইকোনমিক টাইমস। শিক্ষার্থীদের জন্য সেগুলো তুলে ধরা হলো—
১.
জরুরি যোগাযোগের তালিকা রাখুন: নিজের মানসিক শান্তির জন্য কানাডায় থাকার সময়ে জরুরি যোগাযোগের একটি তালিকা নিজের থাকা অত্যাবশ্যক। ফোনে নিম্নলিখিত নম্বরগুলো টুকে রাখতে পারেন।
•পুলিশ: জরুরি পরিস্থিতিতে যেমন চুরি, দুর্ঘটনা বা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে, পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করতে ৯১১ ডায়াল করুন।
•ফায়ার সার্ভিস: অগ্নি-সম্পর্কিত জরুরি অবস্থায় ৯১১ ডায়াল করুন।
•অ্যাম্বুলেন্স: জরুরি পরিস্থিতিতে বা হাসপাতালে পরিবহনের প্রয়োজন হলে অ্যাম্বুলেন্সের জন্য ৯১১ নম্বরে কল করুন।
•ক্যাম্পাস নিরাপত্তা: আপনার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সম্ভবত নিজস্ব ক্যাম্পাস নিরাপত্তা পরিষেবা আছে। ক্যাম্পাসে নিরাপত্তাসংক্রান্ত যেকোনো সমস্যার জন্য জরুরি লাইনসহ তাদের যোগাযোগের তথ্য হাতে রাখুন।
•ইন্টারন্যাশনাল স্টুডেন্ট সার্ভিসেস: আপনার প্রতিষ্ঠানের ইন্টারন্যাশনাল স্টুডেন্ট অফিস ভিসাসংক্রান্ত সমস্যা, আবাসন সমস্যা এবং সাংস্কৃতিক সমন্বয়ের মতো বিষয়ে সাহায্য করতে পারে। তাদের যোগাযোগের তথ্য সহজেই পাওয়া যাবে, এমন নম্বর রাখুন।
•অটোয়াতে বাংলাদেশ হাইকমিশন: গুরুতর আইনি বা কনস্যুলার সমস্যার ক্ষেত্রে অটোয়াতে বাংলাদেশি হাইকমিশনের সঙ্গে যোগাযোগ করুন। তারা নানা বিষয়ে সহায়তা প্রদান করতে পারে।
• কনস্যুলেট জেনারেল: আপনার অবস্থানের ওপর নির্ভর করে বাংলাদেশি কনস্যুলেট জেনারেলে সুবিধা পেতে পারেন। তারা পাসপোর্ট নবায়ন এবং জরুরি ভ্রমণ নথিসহ বিভিন্ন কনস্যুলার পরিষেবাগুলোতে সহায়তা করতে পারে।
•বিমা প্রদানকারীর নম্বর: আপনার যদি স্বাস্থ্য বা ভ্রমণ বিমা থাকে, তাহলে নিশ্চিত করুন যে আপনার বিমা প্রদানকারীর যোগাযোগের তথ্য আছে। চিকিৎসা, জরুরি বা বিমাসম্পর্কিত অনুসন্ধানের ক্ষেত্রে এটি প্রয়োজন হবে।
• হাসপাতালের তথ্য: নিকটস্থ হাসপাতাল এবং ক্লিনিকগুলোর অবস্থান এবং যোগাযোগের বিশদ তথ্য জানুন, যাতে আপনি দ্রুত চিকিৎসার জরুরি অবস্থার ক্ষেত্রে চিকিৎসা সুবিধাগুলো পেতে পারেন।
আরও পড়ুনইংল্যান্ডে পড়াশোনা: খণ্ডকালীন চাকরি ও স্কলারশিপের সুযোগ, আইইএলটিএসে ৬.৫ স্কোর হলে আবেদন ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪২.
ক্রাইসিস হেল্পলাইন: কানাডায় বেশ কয়েকটি ক্রাইসিস হেল্পলাইন আছে, যা মানসিক স্বাস্থ্যসংকট, পারিবারিক সহিংসতাসহ বিভিন্ন পরিস্থিতিতে সহায়তা প্রদান করে। এ হেল্পলাইনগুলোর মধ্যে কয়েকটি নিচে দেওয়া হলো—
• মানসিক স্বাস্থ্য সংকট লাইন: ১–৮৮৮–৪৯৪–৩৮৮৮ (1-888-494-3888)
• নারী লাঞ্ছনার হেল্পলাইন: ১–৮৬৬–৮৬৩–০৫১১ (1-866-863-0511)
• ড্রাগ এবং অ্যালকোহল হেল্পলাইন: ১–৮০০–৫৬৫–৮৬০৩ (1-800-565-8603)
আরও পড়ুনঅস্ট্রিয়াতে উচ্চশিক্ষায় সুযোগ, স্নাতক ও পিএইচডিতে আছে স্কলারশিপ১১ আগস্ট ২০২৪আরও পড়ুনরোমানিয়ায় উচ্চশিক্ষায় খরচ, আছে বৃত্তিও, দরকার আইইএলটিএস স্কোর ৬ থেকে ৬.৫০৮ আগস্ট ২০২৪৩.
পাবলিক ট্রান্সপোর্টেশন: আপনি যদি নিয়মিত পাবলিক ট্রান্সপোর্ট ব্যবহার করেন, তাহলে আপনার কাছে বাস, সাবওয়ে বা ট্যাক্সি পরিষেবার মতো স্থানীয় পরিবহন পরিষেবাগুলোর যোগাযোগের তথ্য থাকতে হবে।
৪.
বিশ্বস্ত বন্ধুর নম্বর: আপনার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মধ্যে এবং বাইরে উভয় জায়গার বিশ্বস্ত বন্ধু এবং পরিচিতিজনের নম্বর ও একটি তালিকা রাখুন। তারা বিভিন্ন পরিস্থিতিতে সহায়তা করতে পারেন।
৫.
পরবাষ্ট্র মন্ত্রণালয়: যে ক্ষেত্রে আপনি গুরুত্বপূর্ণ সমস্যার সম্মুখীন হলে যদি আপনার দেশের হস্তক্ষেপের প্রয়োজন হয়, বাংলাদেশের পরবাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নির্দেশিকা এবং সহায়তা প্রদান করতে পারে।
আরও পড়ুনপোল্যান্ডে উচ্চশিক্ষায় স্কলারশিপ, সপ্তাহে ২০ ঘণ্টা কাজ, আইইএলটিএসে ৬ হলেই আবেদন০২ সেপ্টেম্বর ২০২৪আরও পড়ুনআয়ারল্যান্ডে উচ্চশিক্ষা: আবেদনের পদ্ধতি, খরচ, বৃত্তিসহ সুযোগ-সুবিধা কেমন০৫ আগস্ট ২০২৪উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: পর স থ ত ত কনস য ল পর ষ ব সহ য ত সমস য আপন র অবস থ
এছাড়াও পড়ুন:
ফেসবুকে বিদ্বেষপূর্ণ মন্তব্য না করার নির্দেশনা সিলেট জেলা বিএনপির
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দায়িত্বহীন, অশালীন বা বিদ্বেষপূর্ণ পোস্ট, মন্তব্য কিংবা তথ্য শেয়ার থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে সিলেট জেলা বিএনপি। দলের কেউ এ নির্দেশনা লঙ্ঘন করলে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানানো হয়েছে।
গতকাল রোববার রাতে জেলা বিএনপির সভাপতি আবদুল কাইয়ুম চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক এমরান আহমদ চৌধুরী স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিবৃতিটি গণমাধ্যমে পাঠিয়েছেন জেলা বিএনপির সহদপ্তর সম্পাদক মাহবুব আলম।
এদিকে দলের একজন জ্যেষ্ঠ নেতার বিরুদ্ধে ফেসবুকে কুরুচিপূর্ণ ও শিষ্টাচার–বহিভূর্ত মন্তব্য করায় গতকাল রাতে বিশ্বনাথ উপজেলার লামাকাজী ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আবেদুর রহমানকে (আছকির) সাময়িক বহিষ্কারের পাশাপাশি সাত দিনের মধ্যে কারণ দর্শাতে বলেছে জেলা বিএনপি। এ ছাড়া অনলাইন গণমাধ্যমে দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থী বক্তব্য দেওয়ার জন্য জেলা বিএনপির সহসভাপতি ফখরুল ইসলামকে (ফারুক) সতর্কীকরণ নোটিশ দেওয়া হয়েছে।
জেলা বিএনপির বিবৃতিতে বলা হয়, সাম্প্রতিক সময়ে সিলেট জেলা বিএনপির আওতাধীন কিছু ইউনিটের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম কার্যক্রমে অনভিপ্রেত ও পরস্পরবিরোধী বক্তব্য পরিলক্ষিত হয়েছে। বিশেষ করে বিশ্বনাথ উপজেলা, বিশ্বনাথ পৌরসভা ও ওসমানীনগর উপজেলা বিএনপি এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের কিছু নেতা-কর্মীর মধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিদ্বেষমূলক মন্তব্য, কটূক্তি ও বিভাজন সৃষ্টিকারী পোস্ট প্রচারিত হয়েছে। যা দলীয় শৃঙ্খলা ও ঐক্যের পরিপন্থী।
বিএনপি সব সময় সংগঠনের ঐক্য, শালীনতা ও পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধের রাজনীতি বিশ্বাস করে উল্লেখ করে বিবৃতিতে আরও বলা হয়, দলের কোনো পর্যায়ের নেতা বা কর্মীর কাছ থেকে বিভেদমূলক আচরণ, বিদ্বেষ ছড়ানো বা প্রকাশ্যে অপপ্রচার কখনোই কাম্য নয়। অতএব জেলা বিএনপির পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্ট সব ইউনিটের নেতা-কর্মীদের কঠোরভাবে সতর্ক করা হচ্ছে, যেন ভবিষ্যতে তাঁরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দায়িত্বহীন, অশালীন বা বিদ্বেষপূর্ণ পোস্ট, মন্তব্য বা শেয়ার থেকে সম্পূর্ণ বিরত থাকেন।
যোগাযোগ করলে জেলা বিএনপির সভাপতি আবদুল কাইয়ুম চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, সম্প্রতি ফেসবুকে কিছু নেতা-কর্মীকে একে অন্যের বিরুদ্ধে বিষোদ্গার করতে দেখা গেছে। এ অবস্থায় জেলা বিএনপি একটি নির্দেশনা দিয়েছে। তা অমান্যকারী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।