একজন ছাত্রী হিসেবে আমি শুধু পড়তেই বিশ্ববিদ্যালয়ে আসিনি, একজন পূর্ণাঙ্গ মানুষ হয়ে উঠতে এসেছি। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে প্রতিদিন আমার চিন্তা করতে হয় যে পরের দিন কী খাব, কীভাবে অন্যান্য ব্যয় নির্বাহ করব, সেগুলো নিয়ে। শিক্ষা খাতে পর্যাপ্ত বরাদ্দ বাড়িয়ে শিক্ষার মান, শিক্ষার্থীদের অর্থসহায়তা ও প্রয়োজনীয় অবকাঠামো উন্নয়নের ব্যবস্থা নেওয়া এখন সময়ের দাবি।

উন্নত বিশ্বের তুলনায় গবেষণা খাতে আমরা যোজন যোজন পিছিয়ে রয়েছি। উন্নত দেশগুলোতে শিক্ষার্থীরা আনন্দের সঙ্গে গবেষণাকাজে যুক্ত হন। আমাদের সেই সুযোগ হয় না। কারণ, এ বাবদ তহবিল বা অর্থায়নের সংকট। পর্যাপ্ত অর্থায়ন পেলে দেশেই অনেকে উচ্চতর গবেষণার সুযোগ নেবেন। প্রাথমিক থেকে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত সব স্তরে শিক্ষাবৃত্তি বাড়ানো দরকার। বর্তমানে সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রায় অর্ধেক সংখ্যক শিক্ষার্থীকে বছরে ছয় হাজার টাকা করে বৃত্তি দেওয়া হয়। প্রতি মাসে ৫০০ টাকা করে পান এসব শিক্ষার্থী। এই অর্থ দিয়ে এক সপ্তাহের খাবার ব্যয়ই পূরণ হয় না।

বর্তমানে শুধু বাসে চলাচলের ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের অর্ধেক ভাড়ার সুবিধা রয়েছে। দেশের আর্থসামাজিক বাস্তবতা বিবেচনায় নিয়ে এ ধরনের সুবিধা আরও কিছু ক্ষেত্রে দেওয়া প্রয়োজন। আমার প্রস্তাব হচ্ছে, শিক্ষার্থীদের জন্য একটি নির্দিষ্ট মেয়াদি স্মার্ট কার্ড করা যেতে পারে। এই কার্ড দিয়ে স্বাস্থ্য পরীক্ষা, ওষুধ, বিভিন্ন প্রশিক্ষণে অংশ নেওয়াসহ প্রয়োজনীয় সেবা সাশ্রয়ী মূল্যে (ভর্তুকি) নেওয়ার সুযোগ তৈরি হবে।

দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর বেশির ভাগ হলের অবস্থা মানসম্মত নয়। হলগুলো উন্নত করা প্রয়োজন। শুধু অবকাঠামো নয়, হলে খাবারের মান, ইন্টারনেটসহ অন্যান্য সেবাও উন্নত করা দরকার। দেশে শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে খুব বেশি কাজ করা হয় না। অথচ এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আমার মনে হয় শিক্ষা খাতের বাজেটেও এ বিষয়ে নির্দেশনা থাকা উচিত। আমাদের শিক্ষাপদ্ধতি খুব বেশি কর্মসংস্থান সহায়ক নয়। চীন, জাপানের মতো দেশ কারিগরি বা ভোকেশনাল শিক্ষার ওপর বেশি গুরুত্ব দেয়। আমাদেরও এ-সংক্রান্ত নীতিকাঠামো তৈরি করা দরকার।

জুলাই আন্দোলনটা হয়েছে মূলত বৈষম্য সামনে রেখে। ফলে এই বাজেট যেন আবার বৈষম্য বাড়িয়ে না দেয়, সেটি মনে রাখা জরুরি। এ জন্য শিক্ষার্থীদের পর্যাপ্ত কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা, পিছিয়ে পড়া নারীদের জন্য বরাদ্দ বাড়ানোর উদ্যোগ নিতে হবে। জুলাই-পরবর্তী সময়ের এই বাজেটে যেন একটা সরকারি দলিল হয়ে থাকে, সেটি নিশ্চিত করতে হবে। জুলাই আন্দোলন সরকার কাঠামোর কাছে অনেক প্রশ্ন ছুড়ে দিয়েছিল। এই বাজেটে যেন সেসব প্রশ্নের উত্তর থাকে। ভবিষ্যতে আবার যেন শিক্ষার্থীদের দাবিদাওয়া নিয়ে রাস্তায় নামতে না হয়।

সুমাইয়া তাবাসসুম, শিক্ষার্থী, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: শ বব দ য ল ব শ বব দ য দরক র

এছাড়াও পড়ুন:

গোপনে বাগদান সারলেন শ্রীলীলা?

‘পুষ্পা টু’ সিনেমার আইটেম কন্যা শ্রীলীলার পরনে চমৎকার একটি শাড়ি। দেখে মনে হচ্ছে, কনে। আরেকটি ছবিতে উচ্ছ্বসিত শ্রীলীলা। তার চিবুকে একজন হলুদ মাখিয়ে দিচ্ছেন। সিঁথিতে লাল রঙের কিছু একটা দেখা যাচ্ছে। আরো একাধিক ছবিতে দেখা যায়, শাড়িতে সেজেছেন শ্রীলীলা। তার চোখে-মুখে বাঁধভাঙা হাসি। গলায় ভারী গহনা, মাথায় টিকলি।

কয়েক দিন আগে শ্রীলীলা তার ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে এসব ছবি শেয়ার করেন। তারপর শ্রীলীলার বিয়ের চর্চা শুরু হয়। ছবিগুলো দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে সোশ্যাল মিডিয়ায়। নেটিজেনদের দাবি— হঠাৎ বিয়ে করতে যাচ্ছেন শ্রীলীলা। এসব ছবি তার গোপন বাগদান ও গায়েহলুদ অনুষ্ঠানের। সত্যি কী বিয়ে করছেন শ্রীলীলা? 

তেলেগুভিত্তিক গণমাধ্যম গ্রেটঅন্ধ্র এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, শ্রীলীলার যেসব ছবি ছড়িয়েছে, এগুলো তার বাগদান অনুষ্ঠানের নয়। বরং তার জন্মদিন উপলক্ষে ঐতিহ্য মেনে জন্মদিনের অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন শ্রীলীলার মা। আর সেই মুহূর্তের ছবি অন্তর্জালে ছড়িয়েছে। 

তবে কোনোভাবেই থামছিল না শ্রীলীলার বাগদান-গায়েহলুদের চর্চা। সর্বশেষ বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেছেন এই অভিনেত্রী। এসব ছবি নিজের ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করে শ্রীলীলা লেখেন—“আগের দিনে বাড়িতে আমরা এভাবেই জন্মদিন উদযাপন করতাম। পরিকল্পনা কৃতিত্ব: আম্মা। এগুলো জন্মদিনের আগের অনুষ্ঠানের অংশ।”

বেশ কিছুদিন ধরে গুঞ্জন উড়ছে, বলিউড অভিনেতা কার্তিক আরিয়ানের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়েছেন শ্রীলীলা। গত মার্চ মাসে, এ গুঞ্জনের আগুনে ঘি ঢালেন অভিনেতার মা। আইফা অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানে কার্তিক আরিয়ানের মা মালা তিওয়ারি উপস্থিত ছিলেন। 

জাকজমকপূর্ণ এ মঞ্চে পরিচালক-সঞ্চালক করন জোহর কার্তিকের মায়ের কাছে জানতে চান, পুত্রবধূ হিসেবে কাকে আপনার পছন্দ? এ প্রশ্ন শোনার পরই দর্শক সারি থেকে সমস্বরে বলতে থাকেন— ‘অনন্যা।’ কিন্তু কার্তিকের মা বলেন, “না না। সে (কার্তিক) একজন ডাক্তারের কথা বলেছে।” 

এ কথা শোনার পরই করন জোহর চলে যান কার্তিকের কাছে। তার কাছে জানতে চান, “তুমি একজন ডাক্তারের সঙ্গে কাজ করছো?” জবাবে কার্তিক আরিয়ান বলেন, “না না, সত্যিকারের ডাক্তারের কথা বলেছি।”

অনুরাগ বসু পরিচালিত নাম ঠিক না হওয়া একটি সিনেমায় অভিনয় করছেন শ্রীলীলা ও কার্তিক আরিয়ান। সিনেমাটির নাম ‘আশিকি থ্রি’। নেটিজেনরাও দুইয়ে দুইয়ে চার মেলাতে ভুল করেননি

২০০১ সালের ১৪ জুলাই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগানে জন্মগ্রহণ করেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত শ্রীলীলা। সেখানে চিকিৎসা বিজ্ঞানে পড়াশোনা করেন তিনি। ২০১৯ সালে ‘কিস’ সিনেমার মাধ্যমে বড় পর্দায় পা রাখেন।

২০২১ সালে ‘পেলি সানড়া ডি’ সিনেমায় অভিনয় করেন শ্রীলীলা। এ সিনেমায় অভিনয় করে দর্শকদের নজর কাড়েন এই অভিনেত্রী। এতে তার বিপরীতে অভিনয় করেন রোশান মেকা। বর্তমানে শ্রীলীলার হাতে বিভিন্ন ভাষার পাঁচটি সিনেমার কাজ রয়েছে।

ঢাকা/শান্ত

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ক্রীড়াঙ্গনে ৮৪২ কোটি টাকা বাজেট বেড়েছে, একজন সাকিব কিংবা সিদ্দিকুর কি বেরিয়ে আসবে
  • ক্রিকেটারদের মনোবিদের কাছে পাঠানোর পরামর্শ নান্নুর
  • ভারতে যেভাবে কাউকে ‘রাষ্ট্রবিরোধী’ বানানো হয়
  • রাজশাহীতে এক দিনে ১৫ নমুনা পরীক্ষায় ৯ জনের করোনা শনাক্ত, অধিকাংশ চিকিৎসক
  • মাদকসেবী ছেলেকে শ্বাসরোধে হত্যার অভিযোগে মা আটক, বাবা-ভাই পলাতক
  • ফতুল্লা থানা শিল্পাঞ্চল শ্রমিক দলের দোয়া ও তবারক বিতরণ
  • ইন্টারের জন্য বিমানবন্দরে মাত্র একজন সমর্থক, বললেন, ‘আমিই একমাত্র আহম্মক’
  • দিনাজপুরে ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর একজনের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার
  • রেকর্ড গড়া অ্যাথলেট থেকে ভয়ংকর ডাকাত হওয়ার গল্প
  • গোপনে বাগদান সারলেন শ্রীলীলা?