প্রীতিকে কাঁদিয়ে অবশেষে কোহলির স্বপ্নপূরণ
Published: 3rd, June 2025 GMT
বিরাট কোহলির স্বপ্ন পূরণ হলো। কোহলি আইপিএল জিতলেন। যতটা সহজে বলে ফেলা গেল, স্বপ্ন এত সহজে পূরণ হয়নি। জশ হ্যাজলউড ফাইনালের শেষ বলা করতেই কোহলির দুচোখ ছলছল করতে লাগল। দেখে বোঝা যাচ্ছিল, এই অর্জন তাঁর কাছে কতটা বিশেষ।
কোহলি অবশেষে আইপিএল শিরোপা জিতলেন ১৮ বারের চেষ্টায়। চতুর্থ আইপিএল ফাইনালে এসে। তবে প্রথম আইপিএল ফাইনাল জয়টা তুলনামূলক সহজেই এসেছে। কোহলির বেঙ্গালুরু আগে ব্যাটিং করে ৯ উইকেটে তুলেছিল ১৯০ রান। জবাবে পাঞ্জাব করতে পেরেছে ৭ উইকেটে ১৮৪ রান।
১৯০ রান আইপিএলে অনেক বড় কোনো সংগ্রহ নয়। এবারের আইপিএলে আহমেদাবাদে প্রথম ইনিংসে এটিই সর্বনিম্ন সংগ্রহ। তবে স্পিনার ক্রুনাল পান্ডিয়ার ৪ ওভারে ১৭ রানে ২ উইকেট আর ফাইনালের চাপেই যেন হেরে গেছে পাঞ্জাব।
ওপেনার প্রভসিমরান সিং, প্রিয়াংশ আর্য থেকে শুরু করে নেহাল ওয়াধেরা—সবাই যেন খোলসবন্দী ছিলেন। প্রিয়াংশ করেন ১৯ বলে ২৪, প্রভসিমরান ২২ বলে ২৬। তবে পাঞ্জাবের সবচেয়ে বড় ক্ষতিটা করেছেন ওয়াধেরা। ১৮ বলে তাঁর ১৫ রানের মন্থর ইনিংসেই পাঞ্জাব অনেকটা পিছিয়ে পড়ে।
ব্যতিক্রম ছিলেন জশ ইংলিস। ২৩ বলে ৩৯ রান করে পান্ডিয়ার বলে যখন তিনি আউট হন তখন পাঞ্জাবের দরকার ৪৭ বলে ৯৩। ভুবনেশ্বর কুমার, জশ হ্যাজলউডদের বিপক্ষে এই রান করা সহজ ছিল না। সেটা তারা পারেওনি।
এর আগে টসে হেরে ব্যাটিং করতে নামা বেঙ্গালুরুও বিধ্বংসী শুরু করতে পারেনি। কোহলির ১২৩ স্ট্রাইকরেট দেখেই কিছুটা তা আন্দাজ করা যায়। এদিন কোহলিকে একের পর এক বাউন্সার আর স্লোয়ারে আটকে রাখতে পেরেছেন পাঞ্জাবের বোলাররা। কোহলির ব্যাট থেকে অবশ্য ইনিংস সর্বোচ্চ ৪৩ রান এসেছে।
বেঙ্গালুরু ১৯০ রান তুলেছে আসলে বাকি ব্যাটসম্যানদের সমন্বিত প্রচেষ্টায়। রজত পতিদার, লিয়াম লিভিংস্টোন, মায়াঙ্ক আগারওয়াল ও জিতেশ শর্মা—সবাই ২০ রানের বেশি করেছেন। এঁদের মধ্যে জিতেশ শর্মার ২৪ রানের ইনিংসটি ছিল সবচেয়ে বেশি ইমপ্যাক্ট ফুল। তাঁর ১০ বলে ২৪ রানের ইনিংসের ২০০ রানের বেশি সংগ্রহ তোলার সম্ভাবনা জাগে বেঙ্গালুরুর। তবে শেষ ওভার বাঁহাতি পেসার অর্শদীপ সিং মাত্র ৩ রান দিলে সেটি আর হয়নি। তিনটি করে উইকেট নিয়েছেন অর্শদীপ ও কাইল জেমিসন। অর্শদীপ খরচ করেছেন ৪০ রান, জেমিসন ৪৮ রান।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ক হল র ফ ইন ল উইক ট
এছাড়াও পড়ুন:
টেকনাফ সীমান্ত দিয়ে নতুন করে আসা ১৪ রোহিঙ্গা বিজিবির হেফাজতে
কক্সবাজারের টেকনাফ সীমান্ত দিয়ে নতুন করে মিয়ানমার থেকে ২২ জন রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ করেছেন। এর মধ্যে ১৪ জনকে আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে টেকনাফ বাসস্টেশন–সংলগ্ন আবু ছিদ্দিক মার্কেট এলাকা থেকে আটকের পর বিজিবির হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
আটক ব্যক্তিরা সবাই মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের বুচিডং এলাকার লম্বাবিল গ্রামের মোহাম্মদ আমিন ও মোস্তফা কামালের পরিবারের সদস্য। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন ২ জন নারী, ২ জন পুরুষ ও ১০ জন শিশু।
পরিবারের গৃহবধূ আমিনা খাতুন বলেন, ‘১৩ দিন আগে পাহাড়ে অবস্থানকালে একটি ছেলেসন্তানের জন্ম হয়। পরে দালালের মাধ্যমে টাকার বিনিময়ে নৌকায় করে টেকনাফে আসি।’
মোহাম্মদ আমিন ও মোস্তফা কামাল জানান, তাঁরা নৌকায় করে মিয়ানমার থেকে সেন্ট মার্টিনের কাছাকাছি এলাকা হয়ে বঙ্গোপসাগর পাড়ি দিয়ে টেকনাফ সদরের মহেশখালীয়াপাড়া উপকূলে ওঠেন। তাঁদের নৌকায় ২২ জন রোহিঙ্গা ছিলেন। এর মধ্যে অন্য ৮ জন একই এলাকার শফিউল্লাহ পরিবারের সদস্য। তাঁরা নৌকা থেকে নামার পরই অন্যত্র চলে যান।
বাকি ১৪ জন অটোরিকশায় করে টেকনাফ বাসস্টেশন এলাকায় এসে আশ্রয় নেন একটি মার্কেটের সামনে। সেখানে অবস্থানকালে একটি গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা তাঁদের আটক করেন।
গোয়েন্দা সংস্থার এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, বিষয়টি জানতে পেরে বিজিবিকে জানানো হয়। পরে বিজিবি ওই ১৪ রোহিঙ্গাকে হেফাজতে নেয়।
এ বিষয়ে টেকনাফ-২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. আশিকুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ‘১৪ রোহিঙ্গাকে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। তাঁদের মিয়ানমারে ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।’