দাঁড়িয়ে থাকা বাসে মোটরসাইকেলের ধাক্কা, প্রাণ গেল ২ বন্ধুর
Published: 4th, June 2025 GMT
নওগাঁর পত্নীতলায় সড়কের পাশে দাঁড়িয়ে থাকা একটি বাসের সঙ্গে মোটরসাইকেলের ধাক্কায় দুই বন্ধু নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে আরও একজন। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মহাদেবপুর-পত্নীতলা আঞ্চলিক সড়কের পার্বতীপুর মোড়ে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলো- মহাদেবপুর উপজেলার মাস্টার পাড়া এলাকার বেথুল আশরাফের ছেলে সুনিধির আশরাফ (১৭) ও একই এলাকার আখতারুজ্জামানের ছেলে হৃদয় হোসেন (১৭)। আহত সাদনান সাকিব (১৭) একই এলাকার শাহাজান আলীর ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, তিন বন্ধু মোটরসাইকেল নিয়ে পত্নীতলা থেকে নজিপুর বাজারে বেড়াতে যায়। সন্ধ্যায় ফেরার পথে পার্বতীপুর মোড়ে দাঁড়িয়ে থাকা বাসে মোটরসাইকেলটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ধাক্কা দেয়। পরে ফায়ার অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের কর্মীরা তাদের উদ্ধার করে পত্নীতলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক আশরাফকে মৃত ঘোষণা করেন। গুরুতর অবস্থায় দুজনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হলে, পথে হৃদয় হোসেন মারা যায়।
পত্নীতলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এনায়েতুর রহমান জানান, বাসে ধাক্কা লেগে ঘটনাস্থলেই সুনিধির আশরাফ মারা যান। পরে হাসপাতালে নেওয়ার পথে হৃদয় হোসেনের মৃত্যু হয়। নিহতদের পরিবারের অভিযোগ না থাকায় মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: নওগ সড়ক দ র ঘটন আশর ফ
এছাড়াও পড়ুন:
আশ্বাসে আন্দোলন স্থগিত পল্লী বিদ্যুতের কর্মীদের, ফিরছেন কাজে
দাবি আদায়ে টানা ১৬ দিন শহীদ মিনারে অবস্থান কর্মসূচি পালনের পর সরকারের আশ্বাসে আন্দোলন স্থগিত করেছেন পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির (পবিস) কর্মীরা। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাতটার দিকে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয় থেকে দেওয়া এক প্রজ্ঞাপনের পরিপ্রেক্ষিতে আন্দোলন স্থগিতের ঘোষণা দেন তাঁরা।
মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপনে আন্দোলনরতদের দাবি ‘সংবেদনশীলতা এবং সহানুভূতির সাথে বিবেচনা’ এবং এ নিয়ে কমিটি গঠনের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুৎ অ্যাসোসিয়েশন ব্যানারে আন্দোলন করছেন পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মীরা। তাঁদের সাত দফা দাবির মধ্যে রয়েছে পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের (আরইবি) চেয়ারম্যানের পদত্যাগ; এক ও অভিন্ন চাকরিবিধি বাস্তবায়নের মাধ্যমে আরইবি ও পবিস একীভূত করে অন্য বিতরণ সংস্থার মতো পুনর্গঠন; মিটার রিডার, লাইন শ্রমিক এবং পোষ্য কর্মীদের চাকরি নিয়মিত করা।
এ আন্দোলনের নেতৃস্থানীয় একজন জামালপুর সদরের লাইনম্যান মো. নাইমুর রহমান। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমাদের দাবি পূরণের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। তার পরিপ্রেক্ষিতে আমরা আন্দোলন স্থগিত করেছি। আমরা কর্মস্থলে ফিরে যাচ্ছি।’
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের ন্যায় অভিন্ন চাকরিবিধি প্রণয়নসহ আরইবি ও পবিসের একীভূতকরণ অথবা অন্যান্য বিদ্যুৎ বিতরণী সংস্থার ন্যায় কোম্পানি গঠনের বিষয়ে উত্থাপিত দাবি পর্যালোচনার লক্ষ্যে একটি উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন কমিটি গঠন করা হবে। এই কমিটি বিশেষজ্ঞ কমিটির সুপারিশ বিবেচনাসহ অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনাক্রমে প্রতিবেদন দাখিল করবে। প্রতিবেদনের ভিত্তিতে সরকার সম্ভাব্য স্বল্পতম সময়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে।
প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়, সকল চুক্তিভিত্তিক ও অনিয়মিতদের চাকরি নিয়মিত করার বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য একটি কমিটি গঠন করা হবে। এই কমিটির প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সরকার সম্ভাব্য স্বল্পতম সময়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে।
এ ছাড়া সকল মামলা প্রত্যাহারপূর্বক চাকরিচ্যুতদের স্বপদে পুনর্বহাল এবং সংযুক্ত ও সাময়িক বরখাস্তকৃত এবং অন্যায়ভাবে বদলিকৃত কর্মীদের পদায়নের বিষয়টি সংবেদনশীলতা ও সহানুভূতির সঙ্গে বিবেচনা করা হবে বলেও মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়।
এরপর আন্দোলনকারীদের পক্ষ থেকে একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে আন্দোলন স্থগিতের ঘোষণা দেওয়া হয়।
আরও পড়ুনদাবি না মানলে ‘গণছুটি’তে যাওয়ার হুঁশিয়ারি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মীদের৫ ঘণ্টা আগে