ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের পর্দা নেমেছে মঙ্গলবার। প্রথমবারের মতো শিরোপা জিতেছেন বিরাট কোহলি। রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুও প্রথমবার শিরোপা উঁচিয়ে ধরেছে।
বেঙ্গালুরু চ্যাম্পিয়ন হয়ে ২০ কোটি রুপি প্রাইজমানি জিতেছে। রানার্সআপ হয়ে ১৩ কোটি রুপি পেয়েছে পাঞ্জাব কিংস। এছাড়া তৃতীয় দল মুম্বাই ৭ কোটি ও চতুর্থ হওয়া গুজরাট টাইটান্স পেয়েছে ৬ কোটি রুপি।
গতকাল পুরস্কার বিতরণী মঞ্চে ছিল পুরস্কারের ছড়াছড়ি। কে কোন পুরস্কার পেলেন এক নজরে তা দেখে নেওয়া যাক,
আরো পড়ুন:
অপেক্ষার অবসান বিরাট-বেঙ্গালুরুর, প্রীতির পাঞ্জাবকে হারিয়ে জিতল আইপিএল শিরোপা
১১ বছরের অপেক্ষার অবসান, ফাইনালে প্রীতির পাঞ্জাব
প্লেয়ার অব দ্য ম্যাচ: কোহলিকে আইপিএল ট্রফি জেতাতে কাল সবচেয়ে বড় ভূমিকা রেখেছেন বাঁহাতি স্পিনার ক্রুনাল পান্ডিয়া। ৪ ওভারে মাত্র ১৭ রান দেন এই স্পিনার, উইকেট ২টি। ম্যাচসেরার পুরস্কার তাই ক্রুনালের হাতেই উঠেছে।
প্লেয়ার অব দ্য টুর্নামেন্ট: মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের সুরিয়াকুমার যাদব ৭১৭ রান করে পেয়েছেন টুর্নামেন্ট সেরার পুরস্কার।
অরেঞ্জ ক্যাপ বা সবচেয়ে বেশি রান: গুজরাট টাইটান্সের সাই সুদর্শন ১৫ ইনিংসে ৭৫৯ রান করেছেন যা এবারের আসরে সর্বোচ্চ রান।
পার্পল ক্যাপ বা সবচেয়ে বেশি উইকেট: প্রাসিধ কৃষ্ণা ১৫ ইনিংসে সর্বোচ্চ ২৫ উইকেট পেয়েছেন।
ইমার্জিং প্লেয়ার: সাই সুদার্শান ১৫ ইনিংসে ৭৫৯ রান।
সুপার স্ট্রাইকার অব দা সিজন: বৈভাব সুরিয়াভানশি, ৭ ইনিংসে ২৫২ রান ২০৬.
সুপার সিক্সার অব দা সিজন: নিকোলাস পুরান, ৪০ ছক্কা।
ডট বলস অব দা সিজন: মোহাম্মদ সিরাজ, ১৪৪ ডট বল।
ক্যাচ অব দা সিজন: কামিন্দু মেন্ডিস, চেন্নাইয়ের বিপক্ষে ব্রেভিসের ক্যাচ।
ফেয়ার প্লে অ্যাওয়ার্ড: চেন্নাই সুপার কিংস
ঢাকা/ইয়াসিন
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর প রস ক র র অব দ
এছাড়াও পড়ুন:
অস্ট্রেলিয়ায় নারী এশিয়া কাপ: শক্তিশালী গ্রুপে বাংলাদেশ
বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল ইতিহাসের এক নতুন অধ্যায়ে প্রবেশ করেছে। এশিয়ান কাপের মূল পর্বে জায়গা করে নিয়েছে।
আগামী বছরের ১-২৩ মার্চ অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠিত হবে নারী এশিয়া কাপ। ১২ দলের এই টুর্নামেন্টের ড্র সিডনিতে অনুষ্ঠিত হয়েছে আজ দুপুরে। যেখানে শক্তিশালী গ্রুপে পড়েছে বাংলাদেশ।
‘বি’ গ্রুপে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ উজবেকিস্তান, চীন ও উত্তর কোরিয়া। জাঁকজমকপূর্ণ ড্রতে বাংলাদেশ ছিল চার নম্বর প্লটে। সঙ্গী ছিল ইরান ও ভারত। গ্রুপিং ড্রতে টুর্নামেন্টের একমাত্র অভিষিক্ত দল বাংলাদেশ ‘বি’ গ্রুপের তৃতীয় দল নির্বাচিত হয়।
পরের রাউন্ডে ‘বি’ গ্রুপের চতুর্থ দল হয় উজবেকিস্তান। এরপর ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন চীন বাংলাদেশের গ্রুপের দ্বিতীয় দল হয়। সবশেষ দল হিসেবে এই গ্রুপে যুক্ত হয় উত্তর কোরিয়া। যারা ২০১০ সালে প্রতিযোগিতায় রানার্সআপ হয়েছিল।
ড্র অনুষ্ঠানে স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়া ও এএফসি অংশগ্রহণকারী সকল দেশের অধিনায়ক ও কোচকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিল। প্রথমবার নারী এশিয়া কাপে সুযোগ পাওয়া বাংলাদেশের কেউ এই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেনি। গতকাল অংশগ্রহণকারী দলগুলোর কোচ, খেলোয়াড়রা ট্রফি নিয়ে ফটোসেশন করে হারবার ব্রিজের সামনে। সেখানে স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়া ছাড়া, তাইওয়ান,ভারত, চীন, দক্ষিণ কোরিয়া, উজবেকিস্তান ও ভিয়েতনামের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
বাছাইপর্বে বাংলাদেশের পারফরম্যান্স ছিল দুর্বার। ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে ১২৮ নম্বরে থাকা বাংলাদেশ পড়েছিল কঠিন ‘সি’ গ্রুপে, যেখানে প্রতিপক্ষ ছিল বাহরাইন (র্যাঙ্কিং ৯২), তুর্কমেনিস্তান এবং স্বাগতিক মিয়ানমার (র্যাঙ্কিং ৫৫)। র্যাঙ্কিংয়ের বিচারে পিছিয়ে থাকলেও মাঠের পারফরম্যান্সে বোঝার উপায় ছিল না।
প্রথম ম্যাচেই বাহরাইনকে ৭-০ গোলে উড়িয়ে দেয় বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ম্যাচে ঋতুপর্ণার জোড়া গোলের নৈপুণ্যে ২-১ ব্যবধানে হারায় মিয়ানমারকে। শেষ ম্যাচে তুর্কমেনিস্তানকেও ছাড়েনি মেয়েরা। ৭-০ গোলের দাপুটে জয় তুলে নেয় তারা।
এই জয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে প্রথমবারের মতো এএফসি নারী এশিয়ান কাপের মূল পর্বে জায়গা করে নেয় বাংলাদেশ। আগামী বছর মার্চে বসবে টুর্নামেন্টের ২১তম আসর, যেখানে খেলবে ১২টি দেশ।
ঢাকা/ইয়াসিন