নবীগঞ্জ পৌর শহরের নির্ধারিত স্থানের পাশাপাশি নবীগঞ্জ-শেরপুর সড়ক এলাকায় বসানো হয়েছে পশুর হাট। এতে যানজটের কবলে পড়েছেন পথচারীরা। দীর্ঘ যানজটের কারণে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন মানুষ।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছর পৌর এলাকার ছালামতপুরে নবীগঞ্জ পৌর পশুর হাট ইজারা না দিয়ে নিজ দায়িত্বে হাট বসিয়ে টোল আদায় করে আসছে পৌর কর্তৃপক্ষ। সম্প্রতি পবিত্র ঈদুল আযহাকে সামনে রেখে এক মাসের জন্য প্রকাশ্যে নিলামের মাধ্যমে পশুর হাট ইজারা দেওয়ার উদ্যোগ নেয়। প্রথম দিন ইজারায় অংশ গ্রহণকারীরা সিন্ডিকেট করে ইজারা নেননি। পরবর্তীতে ১৫ লাখ টাকায় ভ্যাটসহ ১৯ লাখ টাকায় এক মাসের জন্য বাজারটি ইজারা দেন পৌর কর্তৃপক্ষ।

হাট সূত্রে জানা গেছে, গত শুক্রবার ছিল ইজারাদারদের প্রথম বাজার। কোরবানির জন্য ওই হাটে বিপুল সংখ্যক গরু-ছাগল উঠেছে। কিন্তু নির্ধারিত মাঠে স্থান সংকুলান না হওয়ায় ইজারাদাররা বাজার বৃদ্ধি করে নবীগঞ্জ-শেরপুর সড়কের পাশে পর্যন্ত গরু-ছাগলের হাট বসায়। এতে ওই সড়কের উভয় পাশে গরু পরিবহনের পিকআপ গাড়ি দাঁড় করিয়ে রাখা হয়। অন্যদিকে এর কাছাকাছি স্থানে গরু-ছাগল বিক্রির জন্য রাখা হয়। ফলে সড়ক তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়।

যানজটের ফলে শুভেচ্ছা কমিউনিটি সেন্টারের সামনে থেকে ছালামতপুর বাস টার্মিনালে যেতে ৫ মিনিটের স্থানে সময় লাগছে এক ঘণ্টা। চরম ভোগান্তি ও দুর্ভোগের ফলে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েন সাধারণ মানুষ। ভুক্তভোগীরা কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানান, আগামী দিনগুলোতে যেন এমনটা আর না ঘটে তার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: য নজট র র জন য

এছাড়াও পড়ুন:

গণভোট নিয়ে মতভেদে উপদেষ্টা পরিষদের উদ্বেগ

জুলাই জাতীয় সনদ বা সংস্কার প্রস্তাব বাস্তবায়নের বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে যে মতভেদ দেখা দিয়েছে, তাতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ। এ বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোকে নিজ উদ্যোগে নিজেদের মধ্যে আলাপ-আলোচনা করে সম্ভাব্য দ্রুতত সময়ে অন্তর্বর্তী সরকারকে ঐক্যবদ্ধ দিকনির্দেশনা দেওয়ার জন্য আহ্বান জানানো হয়েছে।

সোমবার (৩ নভেম্বর) দুপুরে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে এ তথ্য জানানো হয়। যদিও এর আগেই এক সংবাদ সম্মেলনে এমন কথায় জানান আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল।

প্রেস উইং জানায়, জাতীয় ঐক্যমত কমিশন থেকে প্রণীত জুলাই সনদ এবং এর বাস্তবায়ন সংক্রান্ত বিষয়ে উপদেষ্টা পরিষদের একটি জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সংস্কার বিষয়ে ঐকমত্য স্থাপনের প্রচেষ্টার জন্য এবং বহু বিষয়ে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠার জন্য ঐকমত্য কমিশন ও রাজনৈতিক দলগুলির প্রতি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করা হয়।  

এতে বলা হয়, উপদেষ্টা পরিষদের সভায় জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের প্রস্তাবিত জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) আদেশ চূড়ান্তকরণ এবং এতে উল্লেখিত গণভোট আয়োজন ও গণভোটের বিষয়বস্তু নিয়ে আলোচনা করা হয়। এতে লক্ষ্য করা হয় যে, ঐকমত্য কমিশনে দীর্ঘদিন আলোচনার পরও কয়েকটি সংস্কারের সুপারিশ বিষয়ে ভিন্ন মত রয়েছে। এছাড়া, গণভোট কবে অনুষ্ঠিত হবে ও এর বিষয়বস্তু কী হবে এসব প্রশ্নে রাজনৈতিক দলগুলোর  মধ্যে যে মতভেদ দেখা দিয়েছে সে জন্য সভায় উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। এই পরিপ্রেক্ষিতে গণভোটের সময় কখন হবে, গণভোটের বিষয়বস্তু কী হবে, জুলাই সনদে বর্ণিত ভিন্নমতগুলো প্রসঙ্গে কী পদক্ষেপ নেওয়া হবে তা নিয়ে ঐক্যমত কমিশনের প্রস্তাবগুলোর আলোকে জরুরী ভিত্তিতে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা প্রয়োজন বলে সভা অভিমত ব্যক্ত করে।

এসব ক্ষেত্রে ফ্যসিবাদবিরোধী আন্দোলনের দীর্ঘদিনের মিত্র রাজনৈতিক দলগুলোকে স্বীয় উদ্যোগে নিজেদের মধ্যে আলাপ আলোচনা করে দ্রুততম সময়ে ( সম্ভব  হলে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে) সরকারকে ঐক্যবদ্ধ দিকনির্দেশনা প্রদান করার আহ্বান জানানো হয়। এমন নির্দেশনা পেলে সরকারের পক্ষে সিদ্ধান্ত গ্রহণ অনেক সহজ হবে। বলেও উল্লেখ করা হয়। পরিস্থিতিতে কালক্ষেপণের যেকোনো সুযোগ নাই সেটাও সবার বিবেচনায় রাখার জন্য বলা হয়।

সভায় ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্থে আগামী সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিষয়ে সরকারের সংকল্প পুনর্ব্যক্ত করা হয়।

রাজনৈতিক দলগুলোর কাছ থেকে ঐক্যবদ্ধ নির্দেশনা না পেলে কী হবে এমন প্রশ্নের জবাবে আইন উপদেষ্টা বলেন, “রাজনৈতিক দলগুলো নিজেরা আলাপ-আলোচনা করে এই বিষয়েও আমাদের একটি ঐক্যবদ্ধ নির্দেশনা দেবে—এ প্রত্যাশা করছি। ওনারা যদি আলাপ-আলোচনা করেন, আমাদের জন্য কাজটি অত্যন্ত সহজ হয়। ওনারা যদি ঐক্যবদ্ধ সিদ্ধান্ত দিতে না পারে, অবশ্যই সরকার সরকারের মতো সিদ্ধান্ত নেবে।” 

ঢাকা/ইভা 

সম্পর্কিত নিবন্ধ