‘মুক্তিযোদ্ধা’ সংক্রান্ত যে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে, তা নিরসনে সরকারের কাছে দ্রুত ব্যাখ্যা দাবি করেছে বাম গণতান্ত্রিক জোট। তারা বলেছে, সরকারের এমন কোনো পদক্ষেপ নেওয়া উচিত হবে না, যা মুক্তিযুদ্ধ এবং এর চেতনাকে প্রশ্নবিদ্ধ ও বিতর্কিত করে।

গতকাল বুধবার রাজধানীর পুরানা পল্টনে সিপিবি কার্যালয়ে বাম গণতান্ত্রিক জোটের কেন্দ্রীয় পরিচালনা পরিষদের সভায় এ দাবি জানানো হয়। বাম গণতান্ত্রিক জোটের সমন্বয়ক রুহিন হোসেন প্রিন্সের সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন বজলুর রশিদ ফিরোজ, আব্দুস সাত্তার প্রমুখ।

সভায় সাম্প্রদায়িক শক্তির চাপে নরসিংদীর কলেজ শিক্ষক নাদিরা ইয়াসমিনকে বদলির নামে হয়রানির প্রতিবাদ জানান হয়। এ সময় রাখাইনের ‘করিডোর’ ও চট্টগ্রাম বন্দর বিদেশিদের লিজ প্রদান বন্ধের দাবিতে জুন মাসের শেষ সপ্তাহে অনুষ্ঠিতব্য ‘রোড মার্চ’ কর্মসূচি সফল করার লক্ষ্যে আলোচনা হয়। একই সঙ্গে জনমত উপেক্ষা করে করিডোর ও চট্টগ্রাম বন্দর লিজ দেওয়ার ক্ষেত্রে ডিপি ওয়ার্ল্ড ও সরকারের তৎপরতায় উদ্বেগ প্রকাশ করে অবিলম্বে বন্ধের দাবি জানানো হয়।
 

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

ইরানে ট্রাকচালকদের ধর্মঘট, কয়েক ডজন গ্রেপ্তার

ইরান সরকার ৪০ জনেরও বেশি ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে, যার মধ্যে ট্রাকচালক এবং ইরানজুড়ে ক্রমবর্ধমান ট্রাকচালকদের ধর্মঘটের সমর্থক রয়েছেন।

হিউম্যান রাইটস অ্যাক্টিভিস্টস নিউজ এজেন্সির বরাত দিয়ে আজ শুক্রবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ইরান ইন্টারন্যাশনাল।  

প্রতিবেদনে বলা হয়, কুর্দিস্তান, কেরমানশাহ, গিলান, ফারস, কাজভিন এবং কেরমানশাহসহ বেশ কয়েকটি প্রদেশে আটকের ঘটনা ঘটেছে। ধর্মঘটকারী চালক এবং নাগরিক উভয়কেই অনলাইনে বিক্ষোভ প্রচার বা সরাসরি ধর্মঘটের অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়েছে।

আরো পড়ুন:

পরমাণু আলোচনায় ‘স্পষ্টতা’ চায় ইরান

ইরানের কাছে পরমাণু চুক্তির প্রস্তাব পাঠিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র

জীবনযাত্রার উচ্চব্যয়, পরিবহন ফি হ্রাস, জ্বালানি নিষেধাজ্ঞা এবং রাষ্ট্রীয় সহায়তার অভাবের কারণে ক্রমবর্ধমান হতাশার ফলে ২২ মে দক্ষিণ বন্দর শহর বন্দর আব্বাসে ট্রাকচালকদের ধর্মঘট শুরু হয়েছিল। বিক্ষোভটি দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। ইরানে ট্রাকচালক ও ট্রাকচালক ইউনিয়নের জোট বলছে, কমপক্ষে ১৫৫টি শহরের ট্রাকচালকরা ধর্মঘটে অংশগ্রহণ করছেন।

গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে রয়েছেন ফারজাদ রেজাই, জানকো রোস্তামি, রেজগার মোরাদি, সেদিক মোহাম্মদী, আতা আজিরি, আলিরেজা ফাঘফুরি এবং শাহাব দারাবির মতো নামধারী ব্যক্তিরা—যাদের মুক্তি দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। কাজভিনের কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, যান চলাচলে বিঘ্ন ঘটানো এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় ধর্মঘটের ভিডিও পোস্ট করার অভিযোগে নয়জনকে আটক করা হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে যে, কিছুক্ষেত্রে রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম জোর করে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রচার করেছে।

ইরানের মানবাধিকার কেন্দ্র (সিএইচআরআই) ট্রাকচালকদের ধর্মঘটকে ‘সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বৃহত্তম শ্রমিক বিক্ষোভ’ বলে অভিহিত করেছে। সংস্থাটি বলছে, তিন সপ্তাহ ধরে চলা এই ধর্মঘট তেহরানের গভীর অর্থনৈতিক সংকটের উপর ক্রমবর্ধমান অসন্তোষের প্রমাণ।

ঢাকা/ফিরোজ

সম্পর্কিত নিবন্ধ