গাজায় নিহতের সংখ্যা ৫৪ হাজার ৬০০ ছাড়াল
Published: 5th, June 2025 GMT
গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহতের মোট সংখ্যা ৫৪ হাজার ৬০০ ছাড়িয়ে গেছে। বুধবার (৪ জুন) গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানিয়েছে। খবর তুরস্কের বার্তা সংস্থা আনাদোলুর।
মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি হামলায় ৯৭ ফিলিস্তিনি নিহত এবং ৪৪০ জন আহত হয়েছেন। এর ফলে গাজায় ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া ইসরায়েলি হামলায় নিহত মোট ফিলিস্তিনির সংখ্যা ৫৪ হাজার ৬০৭ জনে পৌঁছেছে। একইসঙ্গে অবরুদ্ধ নগরীতে আহতের সংখ্যা এখন ১ লাখ ২৫ হাজার ৩৪১ জনে পৌঁছেছে।
মন্ত্রণালয় আরো জানিয়েছে, নিহত ও আহতের প্রকৃত সংখ্যা আরো অনেক বেশি। কারণ অনেক মানুষ এখনও ধ্বংসস্তূপের নিচে এবং রাস্তায় পড়ে থাকলেও উদ্ধারকারীরা তাদের কাছে পৌঁছাতে পারেননি।
আরো পড়ুন:
জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের সভাপতি গায়ানা, যা বললেন রাষ্ট্রদূত
ত্রাণ বিতরণের সময় ফিলিস্তিনিদের হত্যা: স্বাধীন তদন্তের আহ্বান জাতিসংঘের
উল্লেখ্য, ইসরায়েলি আগ্রাসনের প্রতিবাদে ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে বড় ধরনের হামলা চালায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষের দাবি, এই হামলায় প্রায় ১২০০ নিহত ও দুই শতাধিক ইসরায়েলিকে জিম্মি করে গাজায় নিয়ে গেছে হামাস যোদ্ধারা। এর জবাবে ওই দিনই গাজায় বিমান হামলা ও পরে স্থল অভিযান শুরু করে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী।
দীর্ঘ ১৫ মাস ইসরায়েলি সামরিক অভিযানের পর যুক্তরাষ্ট্র ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের চাপে চলতি বছরের ১৯ জানুয়ারি যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয় হামাস ও ইসরায়েল। তবে এই যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করে গত ১৮ মার্চ থেকে গাজায় ফের তীব্র হামলা শুরু করে ইসরায়েল।
জাতিসংঘ বলছে, ইসরায়েলের ব্যাপক সামরিক অভিযানের ফলে ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকা ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে এবং প্রায় ৮৫ শতাংশ জনসংখ্যা অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত হয়েছে।
জাতিসংঘের মতে, দীর্ঘ এ সময় ধরে চলা সংঘাতের কারণে মানবিক সংকটে দিন পার করছেন ফিলিস্তিনিরা। খাবার, পানি, ওষুধ ও প্রয়োজনীয় মানবিক সহায়তার অভাবে উপত্যকাটির ২৩ লাখেরও বেশি বাসিন্দা চরম ক্ষুধা ও ভয়াবহ অপুষ্টিতে ভুগছেন।
গাজায় ইসরায়েলি হামলা নিহত ফিলিস্তিনিদের মধ্যে ৭০ শতাংশই নারী ও শিশু বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ।
আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে। জানুয়ারিতে একটি অন্তর্বর্তীকালীন রায়ে তেল আবিবকে গণহত্যা বন্ধ করতে এবং গাজার বেসামরিক নাগরিকদের মানবিক সহায়তা প্রদান নিশ্চিত করার জন্য ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। তবে রায় উপেক্ষা করে আগ্রাসন চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল।
ঢাকা/ফিরোজ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ইসর য় ল ইসর য় ল
এছাড়াও পড়ুন:
দুই বছর পর টেস্ট দলে ফিরলেন ইবাদত
২০২৩ সালে বাংলাদেশ-আফগানিস্তানের মিরপুর টেস্ট শেষ হয়েছিল ১৭ জুন। সেটিই ছিল বাংলাদেশের হয়ে ইবাদত হোসেনের সর্বশেষ টেস্ট। সব ঠিক থাকলে দুই বছর পর আরেকটি ১৭ জুন দেশের জার্সিতে আবার খেলতে চলেছেন এই পেসার। শ্রীলঙ্কা সফরে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজের ১৬ সদস্যের দলে রাখা হয়েছে ইবাদতকে।
দুই সপ্তাহ বাদে শুরু হতে যাওয়া বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা সিরিজই ২০২৫-২৭ বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ চক্রের প্রথম সিরিজ। এই সিরিজে বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দেবেন নাজমুল হোসেন, সহ-অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ।
বাংলাদেশ দল সর্বশেষ টেস্ট খেলেছে এপ্রিলে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে। চট্টগ্রামে অনুষ্ঠিত সেই ম্যাচের দল থেকে তিনটি পরিবর্তন এসেছে। বাদ পড়েছেন টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান মাহমুদুল হাসান, পেসার তানজিম হাসান ও বাঁহাতি স্পিনার তানভীর ইসলাম। তাঁদের জায়গায় এসেছেন ইবাদত, নাহিদ রানা ও লিটন দাস।
লিটন জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজ থেকে ছুটি নিয়েছিলেন। রানা প্রথম টেস্ট খেলে পাকিস্তানে চলে গিয়েছিলেন পিএসএল খেলতে। আর ইবাদত ফিরেছেন দীর্ঘ চোট ও পুনর্বাসন শেষে।
৩১ বছর বয়সী এই পেসার ২০২৩ সালের জুলাইয়ে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের সময় চোটে পড়েন। এ কারণে বিশ্বকাপসহ এক বছরের বেশি সময় সব ধরনের খেলাই মিস করেন। গত বছর নভেম্বরে জাতীয় ক্রিকেট লিগ (এনসিএল) দিয়ে মাঠে ফেরেন ১৬ মাস পর। এরপর বিপিএল, ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ এবং বাংলাদেশ ‘এ’ দলের হয়ে খেলেছেন।
দল ঘোষণার সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিসিবি জানিয়েছে, ১৩ জুন শ্রীলঙ্কায় রওনা দেবে বাংলাদেশ দল। ১৭ জুন শুরু গল টেস্টের পর কলম্বোয় দ্বিতীয় টেস্ট শুরু হবে ২৫ জুন। টেস্ট সিরিজের পর তিনটি করে ওয়ানডে ও টি–টোয়েন্টিও খেলবে দুই দল।
বাংলাদেশ টেস্ট দল:
নাজমুল হোসেন (অধিনায়ক), সাদমান ইসলাম, এনামুল হক, মুমিনুল হক, মুশফিকুর রহিম, লিটন দাস, মাহিদুল ইসলাম, জাকের আলী, মেহেদী হাসান মিরাজ (সহ-অধিনায়ক), তাইজুল ইসলাম, নাঈম হাসান, হাসান মুরাদ, ইবাদত হোসেন, হাসান মাহমুদ, নাহিদ রানা ও খালেদ আহমেদ।