ঈদের রাতে ঝিনাইদহের সড়কে ঝরল কিশোরের প্রাণ
Published: 8th, June 2025 GMT
গতকাল সারা দেশে পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপন হয়েছে। পরিবার-স্বজন ও বন্ধুদের সঙ্গে আনন্দে মেতে ছিল পুরো দেশ। এরই মধ্যে ঝিনাইদহের শৈলকূপায় দুই মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে তামিম হোসেন (১৬) নামে এক কিশোরের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন আরো ছয়জন।
শনিবার (৭ জুন) রাত ৯টার দিকে উপজেলার যাদবপুর গ্রামে দুর্ঘটনাটি ঘটে। মারা যাওয়া তামিম হরিণাকুন্ডু উপজেলার চরপাড়া গ্রামের তৈয়ব আলীর ছেলে।
আহতরা হলেন- হরিনাকুন্ডু উপজেলা পুরাহাটি গ্রামের আহাতাব মন্ডলের ছেলে মারুফ (১৫), লাভলু মন্ডলের ছেলে রাজিব মন্ডল (২৪) ও একই গ্রামের রিংকু (১৮), জাহিদুল ইসলামের ছেলে সাগর (১৫) ও শুকুর আলীর ছেলে গিয়াসউদ্দিন (১৬)।
আরো পড়ুন:
আর ঈদের নামাজে যাওয়া হবে না বাবা-ছেলের
মোটরসাইকেলে মাইক্রোবাসের ধাক্কা, নিহত ২
রামচন্দ্রপুর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই আমিরুল ইসলাম জানান, একটি মোটরসাইকেলে তিনজন এবং অপর মোটরসাইকেলে চারজন আরোহী ছিলেন। যাদবপুর গ্রামে পৌঁছলে মোটরসাইকেল দুইটির সংঘর্ষ হয়। স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার পথে তামিম হোসেন মারা যান।
তিনি আরো জানান, আহতদের ঝিনাইদহ ও ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তাদের মধ্যে দুইজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
ঢাকা/শাহরিয়ার/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর সড়ক দ র ঘটন ন হত আহত
এছাড়াও পড়ুন:
গাইবান্ধায় ২৪ ঘণ্টায় সড়কে ঝরল ৮ প্রাণ
গতকাল বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টা। আনোয়ার হোসেন ও শারমিন খাতুন দম্পতি মোটরসাইকেলে ঢাকা থেকে গ্রামের বাড়ি কুড়িগ্রাম যাচ্ছিলেন। পথে গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার ঢাকা-রংপুর মহাসড়কের চাঁপড়ীগঞ্জ এলাকায় পৌঁছালে রোড ডিভাইডারের সঙ্গে ধাক্কা লেগে মোটরসাইকেল আরোহী স্বামী-স্ত্রী রাস্তায় ছিটকে পড়ে যান। এ সময় পেছনে থাকা দ্রুতগতির একটি ট্রাক তাদেরকে চাপা দেয়। ঘটনাস্থলেই স্বামী-স্ত্রীর মৃত্যু হয়।
ঘটনার পর ফাঁসিতলা থেকে চাঁপড়ীগঞ্জ পর্যন্ত প্রায় ১ কিলোমিটার অংশের অপরিকল্পিত রাবারের ওই রোড ডিভাইডার তুলে নেওয়ার দাবিতে স্থানীয়রা ঘণ্টাব্যাপী মহাসড়ক অবরোধ করে রাখেন। খবর পেয়ে সেনাবাহিনী, থানা পুলিশ ও হাইওয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ডিভাইডার অপসারণ করার আশ্বাস দিলে যান-চলাচল স্বাভাবিক হয়। নিহতদের বাড়ি কুড়িগ্রাম জেলার ভুরুঙ্গামারি উপজেলার কাটবির গ্রামে। তারা দু’জন পেশায় গার্মেন্টস কর্মী ছিলেন।
পরদিন শুক্রবার ৬ জুন সকাল সাড়ে ৮টার দিকে গোবিন্দগঞ্জ পৌর শহরের চারমাথা এলাকায় ঢাকাগামী একটি যাত্রীবাহী বাসের ধাক্কায় রইচ উদ্দিন (৬০) নামে এক ব্যক্তি নিহত হন। গুরুতর আহত হন আরও দুইজন। আহতদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে। রইচ উদ্দিন গোবিন্দগঞ্জ পৌরসভার বুজরুক বোয়ালিয়া এলাকার বাসিন্দা এবং পেশায় গাড়ির চেইন মাস্টার ছিলেন।
একইদিন দুপুর ৩টার দিকে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার দিনাজপুর আঞ্চলিক মহাসড়কের বাগদা কলোনী এলাকায় ট্রাক চাপায় সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালকসহ দুই জন নিহত হয়েছেন।। নিহতদের একজন শিশু। এ ঘটনায় শিশুর বাবা-মাসহ অন্তত চারজন আহত হন। তাদের নাম, পরিচয় পাওয়া যায়নি।
একদিনে ৫ জন নিহত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে গোবিন্দগঞ্জ হাইওয়ে পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোজাফ্ফর হোসেন বলেন, ‘গতকাল রাত থেকে গোবিন্দগঞ্জ এলাকায় এ পর্যন্ত ৫ জন মারা গেছে। সর্বশেষ ট্রাক চাপায় সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালকসহ এক শিশু মারা গেছে। প্রতিটি ঘটনায় গাড়ি আটকসহ মামলা করার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।
এদিকে শুক্রবার বিকেল ৪টার দিকে গাইবান্ধা থেকে ঢাকাগামী রিতু পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাস পলাশবাড়ী উপজেলার ঢোলভাঙ্গা বাজারের পশ্চিমে দোকানঘর নামক স্থানে পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি যাত্রীবাহী বাস ব্যাটারিচালিত একটি ইজিবাইককে চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই তিনজন ইজিবাইক যাত্রী নিহত হন। এ ঘটনায় দু'জন আহত হন। আহতদের উদ্ধার করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।
নিহতরা হলেন, পলাশবাড়ী উপজেলার বেতকাপা ইউনিয়নের খামার নড়াইল গ্রামের নাছির উদ্দীনের ছেলে অটো চালক গনি মিয়া (৪০), সাজ্জাদ মিয়ার ছেলে লিয়াকত (১৮) ও ওয়াদুদ মিয়ার ছেলে ইবনুল (১৮)।
পলাশবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বলেন, মরদেহগুলো উদ্ধার করে থানায় আনা হয়েছে। আহতদের উদ্ধার করে গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বাসটি স্থানীয়রা আটক করে আমাদের হেফাজতে দিয়েছেন। মামলার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।