কালুরঘাট সেতুতে আবার সংকেত অমান্য করলেন ট্রেনচালক
Published: 9th, June 2025 GMT
কালুরঘাট সেতুতে আবারও সংকেত মানেননি ট্রেনচালক। গতকাল রোববার বিকেল ৪টা ৫ মিনিটে এ ঘটনা ঘটেছে। চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে যাওয়া প্রবাল এক্সপ্রেসের চালক নির্ধারিত স্থানে না থেমে ও চৌকিদার বইয়ে সই না করেই সেতুতে প্রবেশ করেছেন। ওই সময় সেতুর ওপর কোনো গাড়ি না থাকায় বড় দুর্ঘটনা ঘটেনি।
এর আগে ৫ জুন সংকেত না মেনে কালুরঘাট সেতুতে ট্রেন উঠিয়ে দিয়েছিলেন চালক। এতে ট্রেনের ধাক্কায় শিশুসহ দুজন প্রাণ হারান।
ঘটনাটি রেলওয়ের চট্টগ্রাম বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা আনিসুর রহমানকে লিখিতভাবে জানিয়েছেন জান আলী হাট রেলস্টেশনের রিলিভিং মাস্টার তান্নি বড়ুয়া। তিনি লিখেছেন, ‘কর্তব্যরত গেটকিপার (অস্থায়ী) সাইফুল ইসলামের মাধ্যমে জানতে পারি, ট্রেনটি সেতুর ডেড স্টপে (দাঁড়ানোর নির্ধারিত স্থান) না দাঁড়িয়ে ও চৌকিদার বইয়ে সই না করে ইঞ্জিন ও দুটি বগিসহ সেতুতে প্রবেশ করেছে। এরপর চৌকিদার বইয়ে সই করা হয়েছে, যা খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। এ ধরনের ঘটনা নিরাপদ ট্রেন পরিচালনার পরিপন্থী।’
পরে এ বিষয়ে জান আলী রেলস্টেশনের স্টেশনমাস্টার নেজাম উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, কক্সবাজারগামী ট্রেন শহর থেকে ছেড়ে যাওয়ার পর কালুরঘাট সেতুর পশ্চিম প্রান্তে একটি নির্ধারিত স্থানে দাঁড়াতে হয়। এরপর চৌকিদার বইতে সই করতে হয়। এ নিয়ম মানা হয়নি। ট্রেনের চালককে লাল সংকেত দেখানো হয়েছিল। সেটি উপেক্ষা করা হয়েছে। ঘটনাটি লিখিতভাবে কর্তৃপক্ষের কাছে জানানো হয়েছে।
ঘটনার সময়কার একটি সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, ট্রেনটি সেতুর দিকে আসছে। তখন বিকেল ৪টা ৫ মিনিট। গেটম্যান সাইফুল ইসলাম হাতে লাল পতাকা নিয়ে ট্রেন থামার সংকেত দেন। ট্রেনটি আরও কয়েক সেকেন্ড পর সেতুর ওপর গিয়ে থামে।
৫ জুন রাত ১০টার দিকে কক্সবাজার থেকে ছেড়ে আসা পর্যটক এক্সপ্রেসের ক্ষেত্রেও একই ঘটনা ঘটে বলে জানান স্টেশনমাস্টার নেজাম উদ্দিন। তিনি বলেন, ট্রেন কক্সবাজার যাওয়ার সময় সেতুর পশ্চিম প্রান্তে থামতে হয়। আর কক্সবাজার থেকে চট্টগ্রামে আসার পথে থামতে হয় সেতুর পূর্ব প্রান্তে। সেদিন পর্যটক এক্সপ্রেসের চালক সেতুর পূর্ব প্রান্তের নির্ধারিত স্থানে দাঁড়াননি। সই করেননি চৌকিদার বইয়ে। লাল পতাকার সংকেতও মানেননি। এ কারণেই ঘটে দুর্ঘটনা।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: চ ক দ র বইয়
এছাড়াও পড়ুন:
‘নির্বাচনকালীন কিছু সংস্কার প্রয়োজন, এরপর এপ্রিলে নির্বাচন নিয়ে কোনো দ্বিমত থাকবে না’
জাতীয় নাগরিক পার্টির উত্তর অঞ্চলের মুখ্য সমন্বয়ক সারজিস আলম বলেছেন, নির্বাচনকালীন কিছু সংস্কার প্রয়োজন রয়েছে। বিচার বিভাগ, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও নির্বাচন কমিশনের সংস্কার প্রয়োজন। এগুলো সম্পন্ন হলে এপ্রিলে নির্বাচন নিয়ে আমাদের কোনো দ্বিমত নেই।’
আজ সোমবার দুপুরে পঞ্চগড় জেলা শহরের চৌরঙ্গী মোড়ে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় এনসিপির পঞ্চগড় সদর উপজেলার সমন্বয়ক তানভিরুল বারি নয়নসহ দলটির স্থানীয় নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। এর আগে তিনি হাসনাত আব্দুল্লাহসহ নেতাকর্মী ও সমর্থকদের সঙ্গে ঈদ পরবর্তী শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
সারজিস আলম বলেন, ‘আমরা দেখে এসেছি যে, নির্বাচনকালীন ক্ষমতার অপব্যবহার করা হয়, কালো টাকা, পেশি শক্তির অপব্যবহার করা হয়। অদ্ভুত্থান পরবর্তী বাংলাদেশের এই নির্বাচনে আমরা লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড দেখতে চাই। কেউ যেন কারো দ্বারা এখানে ক্ষমতার অপব্যবহারের শিকার না হয়। বিগত নির্বাচনে ভোটকেন্দ্র দখল, ব্যালট চুরির ঘটনা ঘটেছে। এমন ঘটনা আমরা আগামীর বাংলাদেশে কোনো নির্বাচনে দেখতে চাই না। সেক্ষেত্রে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে ততটুকু পেশাদারিত্বের পরিচয় দিতে হবে, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর মাধ্যমে নির্বাচন কমিশনের মাধ্যমে এবং বিচার বিভাগের মাধ্যমে। এই প্রক্রিয়াগুলো যদি একটি সুন্দর পর্যায়ে পৌঁছায়, তাহলে এপ্রিলে নির্বাচন নিয়ে আমাদের জায়গা থেকে দ্বিমত থাকবে না।’
সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের দেশে ফেরা নিয়ে সারজিস আলম বলেন, ‘যারা এতদিন ধরে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ, ফ্যাসিস্ট হাসিনা এবং তাদের যারা এমন দোসর ছিল, যারা তাদেরকে ফ্যাসিস্ট হয়ে ওঠায় সহযোগিতা করেছে এবং গুরুত্বপূর্ণ স্টেক হোল্ডার হিসেবে ছিল তাদের সামগ্রিক বিষয়ে আমরা চাই অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কঠোর হস্তক্ষেপ গ্রহণ করুক। এবং এটা যেন আইনগত প্রক্রিয়ায় হয়। এই বিষয়গুলোতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সামগ্রিকভাবে কি পদক্ষেপ নিচ্ছে, তা আমরা অবজার্ভ করছি।’