নিজেকে দীপিকার প্রেমিক দাবি করে আলোচনায় মুজম্মেল
Published: 9th, June 2025 GMT
বলিউডের ‘মস্তানি গার্ল’- খ্যাত অভিনেত্রী দীপিকা পাড়ুকোন। একাধিক প্রেম করেছেন। বলিউডের এক রণবীরের সঙ্গে প্রেমে ব্যর্থ হয়ে ঘর বেঁধেছেন আরেক রণবীরের সঙ্গে। রণবীর সিংয়ের ঘরণী এখন এক কন্যার মা। বলিউডের নামী এই অভিনেত্রী নাকি ক্যারিয়ারের শুরুতে এক মুসলিম যুবকের প্রেমে পড়েছিলেন।
দীপিকার প্রেমিক ছিলেন বলে এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন মডেল, অভিনেতা মুজম্মেল ইব্রাহিম। ওই সাক্ষাৎকারে দীপিকার সঙ্গে তার প্রেম কাহিনীর নানা গল্পও বলেছেন মুজম্মেল। এও জানিয়েছেন যে, তিনি এখনও ভালোবাসেন দীপিকাকে।
মুজম্মেলের দাবি,দীপিকা যখন প্রথম মুম্বাইতে এসেছিলেন, তখন অভিনেত্রী তার সঙ্গেই ‘ডেট’ করেছিলেন। দীপিকার সঙ্গে তার প্রকৃত প্রেমের সম্পর্ক ছিল। নায়িকাই নাকি মুজম্মেলকে প্রথম প্রেমের প্রস্তাব দিয়েছিলেন।
আরো পড়ুন:
ঈদের তৃতীয় দিন ছোট পর্দার নাটক-টেলিফিল্ম
‘ছুটির দিন যেন অন্যরকম ঈদ’
মুজম্মেল বলেন, ‘‘মুম্বাইয়ের বৃষ্টিতে অটোরিকশায় দুইজনে ঘুরতাম। একে অপরের সঙ্গে সময় কাটাতাম।’’
এই মডেল এবং অভিনেতা আরও বলেন, ‘‘একবার আমি অটোরিকশার চালককে অনুরোধ করি যে দীপিকার পছন্দের গান বাজানোর জন্য। সেই চালক দেড় ঘণ্টা ধরে গান বাজিয়েছিলেন। দীপিকা সেদিন দারুণ খুশি হয়েছিল।’’
মুজম্মেল ইব্রাহিমের দাবি, যে সময় তাদের প্রেম হয়েছিলো সে সময় দীপিকা ছিলেন উঠতি মডেল আর তিনি ছিলেন প্রতিষ্ঠিত মডেল। দুজনের এক ফ্যাশন শোতে প্রথম দেখা হয়েছিলো। এরপর বন্ধুত্ব হয়েছিল। গ্ল্যাড্রাগসের মতো শোতে আমি অংশগ্রহণ করেছিলেন তারা। আর সেই শোর মাধ্যমে মুজম্মেল জনপ্রিয়তা পেয়েছিলেন। এরপরে দীপিকার নজরে পড়েছিলেন তিনি। দুই বছর সম্পর্ক ছিল তাদের। এরপর তাদের প্রেমে ভাঙন ধরেছিল।
ব্রেকআপের প্রসঙ্গে এই মডেল বলেন, ‘‘ব্রেকআপের পরে আমরা একে অপরের সঙ্গে কথা বলা বন্ধ রেখেছিলাম। কিন্তু পরে দুজনে আবার কথা বলতে শুরু করি। এরপর একে অপরের সফলতাকে সব সময় অভিনন্দন জানাতাম।’ ’
মুজম্মেল জানান, তিনি দীপিকাকে নিয়ে তিনি রীতিমতো গর্ববোধ করেন। তিনি বলেন, ‘‘দীপিকা এখন এক সুপারস্টার। ওকে দেখে গর্ব হয়।’’
মুজম্মেল এখন দীপিকার কাজের ভক্ত বলে দাবি করেন। এই সাক্ষাৎকার প্রদানের পর থেকে বলিউডে মুজম্মেল ইব্রাহিমকে নিয়ে তুমুল আলোচনা শুরু হয়েছে।
ঢাকা/লিপি
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
কাদের জন্য নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়া হচ্ছে, প্রশ্ন বিএনপি নেতা আমীর খসরুর
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, ‘কাদের জন্য নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়া হচ্ছে? কাদের জন্য এ সুবিধা সৃষ্টি করা হচ্ছে? এতে লাভবান কারা হচ্ছে? তাহলে আগামী নির্বাচনও কি যারা আছে, তারা প্রভাবিত করে তাদের দিকে নিয়ে যাবে বা তাদের মতো করে নির্বাচন করবে? প্রশ্নগুলো উঠে আসছে।’
আজ রোববার দুপুরে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী চট্টগ্রাম নগরে তাঁর মেহেদীবাগের বাসভবনে সাংবাদিকদের এ কথাগুলো বলেন। ঈদ উপলক্ষে নেতা-কর্মীদের সঙ্গে কুশলবিনিময় করার এক ফাঁকে সাংবাদিকদের সঙ্গেও কথা বলেন তিনি।
বিএনপির এই নেতা বলেন, সিংহভাগ রাজনৈতিক দল ডিসেম্বরে নির্বাচন চেয়েছে। ঐকমত্যের বিষয়টিও একেবারে শেষ পর্যায়ে আছে। ইতিমধ্যে বিচারকার্য শুরু হয়েছে। বিচার নিজের গতিতে চলবে। কোনো সরকার বিচার চালাবে না। সুতরাং এসব সিদ্ধান্ত যখন পরিষ্কার, তখন হঠাৎ করে এপ্রিলে নির্বাচন নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। কিন্তু নির্বাচন তারও আগে করা সম্ভব। সেপ্টেম্বর, অক্টোবর, নভেম্বরে নির্বাচন করা সম্ভব।
আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, অনেক ভেবেচিন্তে সবাই মিলে ডিসেম্বরে নির্বাচনের বিষয়টি বলা হয়েছে। কেননা, এরপর পবিত্র রমজান মাস শুরু হবে। রমজান মাসে নির্বাচনী কর্মকাণ্ড করার সুযোগ থাকে না। এরপর আবার পরীক্ষা, আবহাওয়া, কালবৈশাখী মিলিয়ে সম্ভব (নির্বাচনী কর্মকাণ্ড পরিচালনা) হবে না। ফলে এ সময়ে (এপ্রিলে) নির্বাচনী দিনক্ষণ ঠিক করার পেছনে কী কারণ, সেটা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
এপ্রিলে নির্বাচন কাদের স্বার্থে, সে প্রশ্ন তুলে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘দেশে যখন একটা নির্বাচিত সরকার থাকে, তখন একটা বিশেষ সময়ে নির্বাচন হয়। একটা সময়সীমার মধ্যে নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা করা হয়। এখন নির্বাচিত সরকার নেই। সংসদ নেই। সে ক্ষেত্রে আপনার এটা (নির্বাচনের পথনকশা ঘোষণা) করতে হলে সবার ঐকমত্যে ও মতামতের ভিত্তিতে করতে হবে। মতামত সৃষ্টি হয়েছে ডিসেম্বরের পক্ষে। সুতরাং যে মতামত সৃষ্টি হয়েছে, সেটির বাইরে গিয়ে এপ্রিলে নির্বাচন কেন—এটিই এখন প্রশ্ন। এটি কাদের স্বার্থে, অন্য কোনো চিন্তা আছে নাকি?’