নতুন পরিচয়ে শ্রীলঙ্কা সফরে গেলেন মেহেদী হাসান মিরাজ। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) তাকে এক বছরের জন্য ওয়ানডে দলের অধিনায়ক হিসেবে ঘোষণা করেছে। দায়িত্ব পাওয়ার পর আজ সকালে মিরপুরে সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত হয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন মিরাজ। এরপর দুপুরে বিমানে চড়ে বিকেলেই স্থানীয় সময় শ্রীলঙ্কায় পৌঁছেছেন এই অলরাউন্ডার।
দ্বিতীয় বহরে মিরাজের সঙ্গে গেছেন টেস্ট অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত, সৈয়দ খালেদ আহমেদ, মুমিনুল হক, জাকের আলী অনিক ও এনামুল হক বিজয়। এর আগে প্রথম বহরে লঙ্কার উদ্দেশে দেশ ছেড়েছেন স্পিন বোলিং কোচ মুশতাক আহমেদ, পেস বোলিং কোচ শন টেইট এবং ক্রিকেটার মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন ও নাহিদ রানা।
শ্রীলঙ্কার গলে আগামী ১৭ জুন শুরু হবে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ দিয়ে দ্বিপাক্ষিক সিরিজের সূচনা। এরপর তিনটি করে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি খেলবে বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কা। তিন সংস্করণে তিন অধিনায়কের নেতৃত্বে এই সিরিজে অংশ নিচ্ছে বাংলাদেশ। টেস্টে শান্ত, ওয়ানডেতে মিরাজ এবং টি-টোয়েন্টিতে মিরাজই থাকছেন নেতৃত্বে।
সম্প্রতি বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের পারফরম্যান্স খুব একটা ভালো যাচ্ছে না, যার স্পষ্ট প্রতিফলন দেখা যাচ্ছে আইসিসি র্যাঙ্কিংয়ে। টেস্টে দলটির অবস্থান ৯ নম্বরে, ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টিতে অবস্থান ১০ নম্বরে। দেশের মাটিতে জিম্বাবুয়ের কাছে টেস্ট হারা ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ হারের মতো হতাশাজনক ফলাফল এসেছে লিটনের নেতৃত্বে। ৬ টি-টোয়েন্টির মধ্যে জিতেছে কেবল একটি।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
বন্দীদের ফুল দিয়ে বরণ, চালু হলো ফেনীর দ্বিতীয় কারাগার
সংস্কার শেষে ফেনীর দ্বিতীয় কারাগার চালু হয়েছে। আজ শনিবার সকালে বন্দীদের ফুল দিয়ে বরণ করার মধ্য দিয়ে এ কারার যাত্রা শুরু হয়। এতে চট্টগ্রাম বিভাগের আটটি কারাগারের সাজাপ্রাপ্ত আসামিদের ও ফেনী জজ আদালতে বিচারাধীন মামলার আসামিদের রাখা হবে।
কারা সূত্র জানায়, দেশের পুরোনো চারটি কারাগারের মধ্যে ফেনী-২ কারাগার একটি। শত বছরের পুরোনো এ কারাগার ভবন ছিল জরাজীর্ণ। এ কারণে ২০১৯ সালে ১২ জানুয়ারি এ কারাগার থেকে বন্দীদের ফেনীর শহরতলির রানীরহাট এলাকার নতুন কারাগারে স্থানান্তর করা হয়। এরপর থেকে কারাগারটি অনেকটা ‘পরিত্যক্ত’ অবস্থায় ছিল।
নতুন করে চালু হওয়া কারাগারটির অবস্থান ফেনী শহরের মাস্টারপাড়ায়। এটি ১৯১৫ সালে সাবজেল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। এরপর ১৯৯৮ সালে জেলা এটিকে কারাগারে উন্নীত হয়। এ কারাগারের বর্তমান ধারণক্ষমতা ১৭২ জন। এর মধ্যে ১৭০ জন পুরুষ ও ২ জন নারী। কারাগার চালু করার জন্য গতকাল কুমিল্লা জেলা কারাগার থেকে ২৪ জন ও চট্টগ্রাম থেকে চারজন বন্দীকে আনা হয়েছিল। তাঁরা সবাই সশ্রম সাজাপ্রাপ্ত। এ কারাগারে তাঁরা রান্নার দায়িত্বে থাকবেন।
কারা কর্তৃপক্ষ জানায়, ধাপে ধাপে সাজাপ্রাপ্ত ও বিচারাধীন বন্দীদের ফেনীর দ্বিতীয় কারাগারে আনা হবে। আপাতত এতে কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে ২৬ জন, কুমিল্লা থেকে ৭৪ জন, নোয়াখালী থেকে ১৫ জন, লক্ষ্মীপুর থেকে ৪ জন এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে ৩৩ জন বন্দী এখানে স্থানান্তর করা হবে। এতে সেল, রান্নাঘর, কিশোর ওয়ার্ড, মসজিদসহ প্রয়োজনীয় সুবিধা রয়েছে। এ কারাগার নিয়ে বর্তমানে দেশে কারার সংখ্যা ৭১।
জানতে চাইলে ফেনী-২–এর জেল সুপার মো. দিদারুল আলম বলেন, ‘রাষ্ট্র চায়, কারাগার শুধু শাস্তির জায়গা নয়, সংশোধনের কেন্দ্র হোক। এরই অংশ হিসেবে সংস্কার শেষে ফেনী কারাগার-২ চালু হয়েছে।’
কারাগারের ভারপ্রাপ্ত জেলার ফেরদৌস মিয়া প্রথম আলোকে বলেন, ‘এ কারাগারে স্থানান্তরিত বন্দীদের সব সুযোগ-সুবিধা ইতিমধ্যে নিশ্চিত করা হয়েছে। চিকিৎসক ও প্রশিক্ষিত নার্সও যোগদান করেছেন। বেশির ভাগ পদে কর্মচারীরাও কাজ শুরু করেছেন।’