বাবা দিবসের গানের মডেল আবুল হায়াত ও রিচি
Published: 13th, June 2025 GMT
বাবা দিবসের বিশেষ গানচিত্রে হাজির হচ্ছেন বরেণ্য অভিনেতা আবুল হায়াত ও তারকা অভিনেত্রী রিচি সোলায়মান। এমন কাজে দু’জনে এবারই প্রথম একসঙ্গে। দুই গুণীকে এক করে গানচিত্রটি নির্মাণ করেছেন চয়নিকা চৌধুরী।
‘বাবা শুনতে কি পাও’ শিরোনামের এই গানটি তৈরি করেছেন প্রান্তিক সুর। আর তাতে কণ্ঠ দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী গজল ঘরানার শিল্পী শিরিন চৌধুরী। গানটির কথাও লিখেছেন শিল্পী নিজেই। গানের কথার সূত্র ধরে গল্পনির্ভর ভিডিওটিতে আবুল হায়াত অভিনয় করেছেন বাবার চরিত্রে। আর রিচিকে দেখা যাবে মেয়ের চরিত্রে। এতে আরও একটি চরিত্রে অভিনয় করেছেন হুমায়ুন চৌধুরী।
এতে অভিনয় প্রসঙ্গে আবুল হায়াত বলেন, ‘সাধারণত গানচিত্রে কমই কাজ করেছি। এটি বাবা দিবসের কাজ। এ কারণে এতে অভিনয়ে আগ্রহী হয়েছি। গানটিতে বক্তব্য আছে। সহশিল্পী রিচির পারফরম্যান্সও অসাধারণ ছিল। আশা করছি, গানটি দর্শকের হৃদয় ছুঁয়ে যাবে।’
চয়নিকা চৌধুরী বলেন, ‘গানটির যখন শুটিংয়ের পরিকল্পনা করি তখন হায়াত আংকেল [আবুল হায়াত] খানিকটা অসুস্থ ছিলেন। তবুও আমার অনুরোধে এবং গানের গল্প শুনে তিনি সময় দিয়েছেন আমাকে। রিচিও বেশ আগ্রহ নিয়ে কাজটি করেছে। গানচিত্রে একটি সুন্দর সামাজিক বার্তা পৌঁছে দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বিয়ের পর একটা মেয়ের স্বপ্ন যেন মরে না যায়– এবং শুধু মানুষটাকে নয়, তার স্বপ্নকেও ভালোবাসার সংবেদনশীল এবং হৃদয়স্পর্শী বাবার অনুরোধের বার্তা থাকছে এতে। আমার বিশ্বাস এই গানের গল্প দর্শকদের কাঁদাবে, ভাবাবে।’
গানটি প্রকাশ পাবে এবারের বাবা দিবসে ১৫ জুন সিংগিস্টিক-এর ব্যানারে প্রতিষ্ঠানটির ইউটিউব চ্যানেলে।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: কর ছ ন
এছাড়াও পড়ুন:
পরিবেশবান্ধব পর্যটনে সমন্বিত মহাপরিকল্পনা প্রণয়ন করা হবে: পরিবেশ উপদেষ্টা
সিলেটের জাফলংসহ দেশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যবাহী এলাকাগুলোতে পরিবেশবান্ধব পর্যটন (ইকো-ট্যুরিজম) উন্নয়নে একটি সমন্বিত মহাপরিকল্পনা প্রণয়ন করা হবে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। তিনি বলেন, পাথর উত্তোলনের সঙ্গে জড়িত শ্রমজীবী মানুষের বিকল্প কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করাই এই মহাপরিকল্পনার অন্যতম লক্ষ্য।
আজ শনিবার দুপুরে জাফলং এলাকা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে তিনি কথা বলেন। এ সময় পাথর কোয়ারির শ্রমিকরা তাদের বিকল্প কর্মসংস্থানের দাবি জানান।
পরিবেশ উপদেষ্টা বলেন, মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নে পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের পাশাপাশি বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় যৌথভাবে কাজ করবে। এ লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগসমূহের মধ্যে সমন্বয় করে প্রকল্প হাতে নেওয়া হবে।
রিজওয়ানা বলেন, জাফলং একটি পরিবেশগতভাবে বিপন্ন এলাকা। এখানে পাথর উত্তোলনের জন্য আর কোনো ইজারা দেওয়া হবে না। অতিরিক্ত পাথর ও বালু উত্তোলনের কারণে নদীর স্বাভাবিক প্রবাহ নষ্ট হচ্ছে, যা দীর্ঘমেয়াদে পুরো নদীব্যবস্থাকে হুমকিতে ফেলছে।
জাফলংয়ে পাথর উত্তোলন বন্ধ থাকায় ওই এলাকার স্টোন ক্রাশারগুলোও সরিয়ে নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান। তিনি বলেন, অবৈধভাবে কেউ যাতে পাথর উত্তোলন করতে না পারে, তা নিশ্চিত করা হবে। জাফলংয়ের পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় আমরা কোনো আপস করব না।
পরিদর্শনের সময় দুই উপদেষ্টা জাফলংয়ের নদী ও পাথরভরা প্রাকৃতিক এলাকা জলযানে ঘুরে দেখেন এবং স্থানীয় প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে পরিবেশ ও পর্যটন উন্নয়ন পরিকল্পনা নিয়ে মতবিনিময় করেন। তারা জাফলং স্টোন মিউজিয়াম ও হরিপুর রেস্ট হাউজ এলাকায় গাছের চারা রোপণ করেন।
পরিদর্শনকালে আরও উপস্থিত ছিলেন জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সচিব মো. সাইফুল ইসলাম, সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার খান মো. রেজা-উন-নবী, জেলা প্রশাসক মো. শের মাহবুব মুরাদ, পুলিশ সুপার মো. মাহবুবুর রহমান, বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. হুমায়ুন কবির ও পরিবেশ অধিদপ্তর সিলেটের পরিচালক ফেরদৌস আনোয়ার।