ভারতের দক্ষিণী সিনেমার জনপ্রিয় অভিনেত্রী রাশমিকা মান্দানা। অভিনয় ও শরীরি সৌন্দর্যে মুগ্ধ করেছেন তিনি। সার্চ ইঞ্জিন গুগলে ‘ভারতের জাতীয় ক্রাশ ২০২০’ নির্বাচিত হয়েছিলেন এই অভিনেত্রী।
অন্য তারকাদের মতো ফ্যাশনে পিছিয়ে নেই রাশমিকা। তার সোশ্যাল মিডিয়ায় উঁকি দিলে ব্যয়বহুল পোশাকে দেখা যায় তাকে। কারণ কাজের পাশাপাশি ব্যক্তিগত নানা মুহূর্ত এ মাধ্যমে শেয়ার করে থাকেন। তাছাড়া বিভিন্ন অনুষ্ঠানে ওয়েস্টার্ন লুকে নজর কাড়তে দেখা যায় তাকে। তবে এবার দেশি লুকে রূপের দ্যুতি ছড়ালেন এই নায়িকা। কেবল তাই নয়, শাড়ির মূল্য জানলে অনেকেই চমকে যাবেন।
রাশমিকার পরবর্তী সিনেমা ‘কুবেরা’। প্রেক্ষাগৃহে মুক্তির আগে সিনেমাটির একটি গান কয়েক দিন আগে মুক্তি দিয়েছেন নির্মাতারা। এ উপলক্ষে মুম্বাইয়ে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সেখানে দেশি লুকে দেখা যায় তাকে।
আরো পড়ুন:
কত টাকার মালিক রাশমিকা?
বক্স অফিসের দৌড়ে কী ক্লান্ত সালমান-রাশমিকা?
অনুষ্ঠানটির জন্য অনিতা ডোংরের পোশাক বেছে নিয়েছিলেন রাশমিকা। তার পরনের ব্লাশ রঙের সিল্ক শাড়ি অনুষ্ঠানের জন্য উপযুক্ত ছিল। শাড়িতে মোটিফ, পুঁতির সঙ্গে ফ্লোরাল নকশা। শাড়ির জমিনে বুনো ফুল, ফুলগুলো সুতা দিয়ে তৈরি। পুঁতি, সিকুইন দিয়ে উঁচু করা হয়েছে। শাড়ির সঙ্গে রং মিলিয়ে পাতলা স্ট্র্যাপযুক্ত ব্লাউজ বেছে নিয়েছিলেন, যার মধ্যে মিররের কাজ রয়েছে।
পিঙ্কভিলা জানিয়েছে, রাশমিকার পরনের শাড়ির মূল্য ১ লাখ ৬০ হাজার রুপি (বাংলাদেশি মুদ্রায় ২ লাখ ২৬ হাজার টাকার বেশি)।
‘কুবেরা’ সিনেমায় রাশমিকার বিপরীতে রয়েছেন ধানুশ। অ্যাকশন-ড্রামা ঘরানার এ সিনেমা পরিচালনা করেছেন শেখর কামুলা। সামাজিক গল্পের সিনেমাটি আগামী ২০ জুন বিশ্বব্যাপী মুক্তির পরিকল্পনা করেছেন নির্মাতারা। সিনেমাটির বাজেট ধরা হয়েছে ৮০-১২০ কোটি রুপি।
ঢাকা/শান্ত
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
র্যাপিড হার্ডেনিং সিমেন্টে সারফেস ক্র্যাকিং হয় না
‘ঢালাইয়ে অর্ডিনারি পোর্টল্যান্ড সিমেন্ট (ওপিসি) ব্যবহার হলে হিট এবং হাইড্রেশন তৈরি হয় বেশি। তবে র্যাপিড হার্ডেনিং সিমেন্টে এর মাত্রা কম। ফলে এটি কংক্রিটকে অনেক বেশি সুরক্ষিত রাখে। এই সিমেন্ট ব্যবহারে সারফেস ক্র্যাকিং হয় না বললেই চলে।’
সমকালের সঙ্গে আলাপচারিতায় এসব কথা বলেন বগুড়ার প্রকৌশলী মো. অলিউল ইসলাম দুর্লভ।
অভিজ্ঞতা তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘ওপিসি দিয়ে সিমেন্টের যাত্রা হলেও এখন প্রতিনিয়ত এটি আধুনিক হচ্ছে। সিমেন্টের পাশাপাশি রডও আধুনিক হচ্ছে। অর্থাৎ একদিকে আমরা নির্মাণ সরঞ্জাম আধুনিক করছি। অন্যদিকে নির্মাণ উপাদানগুলো আধুনিক হচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় এসেছে র্যাপিড হার্ডেনিং সিমেন্ট। বহির্বিশ্বে উঁচু ভবন নির্মাণে অনেক আগে থেকে এই সিমেন্ট ব্যবহার হলেও বাংলাদেশে এটি নতুন।’
র্যাপিড হার্ডেনিং সিমেন্ট এবং ওপিসি পুরোপুরি আলাদা উল্লেখ করে ঢাকার প্রজেক্ট বিল্ডার্স লিমিটেডের (পিবিএল) প্রকৌশলী অলিউল ইসলাম বলেন, ‘র্যাপিড হার্ডেনিং সিমেন্টে ট্রাই ক্যালসিয়াম সিলিকেট ব্যবহার হয় বেশি। এতে ক্লিংকার ব্যবহার হয় সর্বোচ্চ ৯০ শতাংশ। আবার ক্যালসিয়াম সালফেট ব্যবহার হয় কম।’
বিভিন্ন প্রকল্পে ঢালাই স্পেশাল সিমেন্ট ব্যবহারের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘র্যাপিড হার্ডেনিং সিমেন্ট ব্যবহারে বেশকিছু সুবিধা পাচ্ছি। এই সিমেন্ট দিয়ে ছাদ ঢালাইয়ে সময় লাগে কম, দ্রুত কাজ শেষ করা যায়। ফলে নির্মাণ ব্যয় অনেক কমে আসে।’
প্রকৌশলী অলিউল ইসলাম বলেন, ‘শুধু ভবন নির্মাণ নয়, অনেক সময় আমাদের রেট্রোফিটিং করতে হয়। এই কাজে দ্রুত সেটিং ও স্ট্যান্ডের প্রয়োজন পড়ে। এ ক্ষেত্রে র্যাপিড হার্ডেনিং সিমেন্টের বিকল্প নেই।’
তিনি বলেন, ‘ভূমিকম্প রোধ করা সম্ভব নয়, তবে ক্ষতি কমানো সম্ভব। ঢাকা শহরে অল্প মাত্রার ভূমিকম্পে বড় ক্ষয়ক্ষতির ঝুঁকি বেড়ে যাচ্ছে। এ কারণে ভবন নির্মাণে সিমেন্ট, রডসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম ব্যবহারে আরও সতর্ক হওয়া প্রয়োজন।’