নেতানিয়াহুকে অভিযান চালিয়ে যেতে উৎসাহিত করছি: ট্রাম্প
Published: 18th, June 2025 GMT
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, তিনি ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুকে ইরানে তার অভিযান চালিয়ে যেতে উৎসাহিত করছেন।
ক্রমবর্ধমান আঞ্চলিক উত্তেজনার মধ্যে ইসরায়েলি নেতার প্রতি তার বার্তা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে সিএনএনকে ট্রাম্প বলেন, “আমি বলেছিলাম: চালিয়ে যান।”
মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, “আমি প্রতিদিন তার সাথে কথা বলি। তিনি একজন ভালো মানুষ, অনেক কাজ করেন।”
ট্রাম্প জানিয়েছেন, তিনি বিশ্বাস করেন নেতানিয়াহুর সাথে ‘তার দেশ খুব অন্যায় আচরণ করেছে।’ ইসরায়েলে চলমান আইনি সমস্যাগুলোর দিকে ইঙ্গিত দিয়ে তিনি এ কথা বলেছেন। স্পষ্ট ইঙ্গিত।
নেতানিয়াহুর প্রশংসা করে ট্রাম্প বলেছেন,“তিনি ভাল কাজ করেছেন। তার সাথে খুব অন্যায় আচরণ করা হয়েছে। তিনি একজন যুদ্ধকালীন প্রেসিডেন্ট এবং তিনি এই বাজে পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন, এটি হাস্যকর।”
ঢাকা/শাহেদ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
ভারতে উড়োজাহাজে সহযাত্রীর থাপ্পড়ের পর খোঁজও মিলছে না যাত্রীর: পরিবারের দাবি
ভারতে একটি উড়োজাহাজের ফ্লাইটে সহযাত্রীকে থাপ্পড় দিয়েছেন আরেক যাত্রী। এরপর থাপ্পড়ের শিকার ওই যাত্রী নিখোঁজ রয়েছেন বলে দাবি করেছে তাঁর পরিবার। নিখোঁজ ওই যাত্রীর নাম হুসেইন আহমেদ মজুমদার (৩২)।
ইন্ডিগো বিমানের একটি ফ্লাইটে মাঝ–আকাশে হোসেইন প্যানিক অ্যাটাকের (আতঙ্কিত) শিকার হওয়ার পর এক যাত্রী তাঁকে চড় মারেন। চড় দেওয়া ওই ব্যক্তির নাম হাফিজুল রহমান বলে শনাক্ত করা হয়েছে।
হুসেইন ইন্ডিগোর ফ্লাইটে মহারাষ্ট্র রাজ্যের মুম্বাই থেকে কলকাতা হয়ে আসাম রাজ্যের শিলচর যাচ্ছিলেন। উড়োজাহাজে ওঠার পর তাঁর হঠাৎ আতঙ্কজনিত সমস্যা (প্যানিক অ্যাটাক) হয়। হঠাৎ ভয় পাওয়া এবং শারীরিক প্রতিক্রিয়া থেকে প্যানিক অ্যাটাক বোঝা যায়।
ঘটনার সময় উড়োজাহাজের দুই কেবিন ক্রু হুসেইনকে নামতে সাহায্য করছিলেন। ঠিক তখনই পাশের আসনে বসা এক যাত্রী হঠাৎ তাঁকে চড় মারেন। অন্য একজন যাত্রী এ ঘটনার ভিডিও মুঠোফোনে ধারণ করেন। ভিডিওতে দেখা যায়, কেবিন ক্রুরা ওই যাত্রীকে শান্ত থাকতে বলেন এবং অন্য একজন যাত্রী প্রতিবাদ করে আক্রমণকারী ব্যক্তিকে বলছেন, ‘আপনি কেন তাঁকে মারলেন।’
কলকাতায় উড়োজাহাজ থেকে নামার পর নিরাপত্তাকর্মীরা হুসেইনকে চড় মারার ঘটনায় অভিযুক্ত হাফিজুল রহমানকে পুলিশের হাতে তুলে দেন। পরে অবশ্য তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
এদিকে হুসেইন আসামের শিলচরে না পৌঁছানোয় পরিবারের লোকজন চিন্তিত হয়ে পড়েছেন। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় তাঁরা জানান, হুসেইন বাড়িতে আসেননি, ফোনও করেননি। এমনকি তাঁর মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে।
পরিবার সূত্রে জানায় যায়, হুসেইন মুম্বাইয়ের এক হোটেলে কাজ করতেন। এর আগেও বহুবার এই একই রুটে বাড়ি ফিরেছেন। গতকাল সকালে কিছু আত্মীয় শিলচর বিমানবন্দর থেকে হুসেইনকে নিতে গেলেও সেখানে তাঁকে পাননি। পরে ভাইরাল ভিডিও দেখে তাঁরা তাঁকে চিনে ফেলেন এবং ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেন, কিন্তু কোনো সাড়া মেলেনি।
পরিবারের সদস্যরা আরও জানান, ইন্ডিগো বা বিমানবন্দরের কোনো কর্তৃপক্ষই হুসেইনের বিষয়ে কিছু জানাতে পারেননি। বিষয়টি তারা সিআইএসএফকেও জানিয়েছেন এবং কাছাড়ের উদারবন্দ থানায় তাঁর নিখোঁজ হওয়ার বিষয়ে একটি সাধারণ ডায়েরিও (জিডি) করেছেন।
ইন্ডিগো এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, উড়োজাহাজে ঝামেলা করায় ওই যাত্রীকে সিআইএসএফ ধরে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে। তাঁর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
তবে বিবৃতিতে চড় খাওয়া হুসেইনের বিষয়ে কিছুই বলা হয়নি।