যশোরে করোনায় আরও একজনের মৃত্যু, কিটের ঘাটতিতে পরীক্ষা বন্ধ
Published: 19th, June 2025 GMT
যশোর জেনারেল হাসপাতালে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ইউসুফ হোসেন (৪২) নামের আরও এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। গতকাল বুধবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়। এ নিয়ে জেলায় নতুন করে দুজনের মৃত্যু হলো।
ইউসুফ হোসেন মনিরামপুর উপজেলার মাহমুদকাঠি গ্রামের বাসিন্দা। অন্যদিকে এর আগে গতকাল সকালে করোনায় বাঘারপাড়া উপজেলার জহুরপুর গ্রামের বাসিন্দা শেখ আমির হোসেনের (৬৮) মৃত্যু হয়। তিনিও যশোর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। এ ছাড়া করোনা সন্দেহে তিন রোগী এই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
আরও পড়ুনযশোরে তিন বছর পর করোনায় একজনের মৃত্যু২১ ঘণ্টা আগেএসব তথ্য নিশ্চিত করে যশোর জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক হুসাইন শাফায়েত জানান, মৃত্যুর মাত্র দুই ঘণ্টা আগে পরীক্ষায় ইউসুফের করোনা শনাক্ত হয়েছিল। গতকাল মারা যাওয়া ওই দুজনই হাসপাতালে সাধারণ রোগী হিসেবে চিকিৎসাধীন ছিলেন। অবস্থার অবনতি হলে তাঁদের আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়েছিল। উপসর্গ দেখে সন্দেহ হলে শহরের একটি প্রাইভেট হাসপাতাল থেকে র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্টের মাধ্যমে তাঁদের পরীক্ষা করানো হয়।
জেলায় করোনা পরীক্ষার কিটের ঘাটতি থাকায় বেসরকারি ক্লিনিক বা হাসপাতালের র্যাপিড অ্যান্টিজেন পরীক্ষা ওপর নির্ভর করতে হচ্ছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা। এ বিষয়ে হোসাইন সাফায়েত বলেন, করোনা পরীক্ষার কিছু কিট আছে, কিন্তু সেগুলো মেয়াদোত্তীর্ণ। কিটের বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে চাহিদাপত্র পাঠানো হয়েছে। দুই-এক দিনের মধ্যে দুই হাজার কিট হাতে পাওয়া যেতে পারে।
এদিকে করোনা পরীক্ষার জন্য যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (যবিপ্রবি) আরটিপিসিআর ল্যাব নতুনভাবে প্রস্তুত করা হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করে উপাচার্য আবদুল মজিদ জানান, স্বাস্থ্য বিভাগকে কিট সরবরাহের জন্য বলা হয়েছে। সেগুলো পাওয়া গেলে ল্যাবে কোভিড পরীক্ষা শুরু করতে পারবেন তাঁরা।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: পর ক ষ
এছাড়াও পড়ুন:
আপনার এত সাহস হয় কী করে, সাংবাদিককে নায়িকা
ভারতীয় সিনেমার জনপ্রিয় অভিনেত্রী লক্ষ্মী মাঞ্চু। তার পরবর্তী সিনেমা ‘ঢাকসা’। এ সিনেমার মুক্তি উপলক্ষে নানা ধরনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন ৪৭ বছরের এই অভিনেত্রী। কয়েক দিন আগে গ্রেট অন্ধ্রকে সাক্ষাৎকার দেন লক্ষ্মী। এ আলাপচারিতার পোশাক নিয়ে প্রশ্ন করায় লক্ষ্মী বলেন— “আপনার এত সাহস হয় কী করে!”
মুম্বাইয়ে যাওয়ার ফলে কি আপনার পোশাকের স্টাইলে কোনো প্রভাব পড়েছে? এ প্রশ্নের জবাবে লক্ষ্মী বলেন, “আমি আমেরিকাতে থেকেছি। সেখান থেকে হায়দরাবাদে, এখন মুম্বাইয়ে আছি। আমি কঠোর পরিশ্রম করেছি নিজেকে এইভাবে উপস্থাপন করার জন্য। এই পরিশ্রম আমাকে আত্মবিশ্বাসী করেছে, যা আমাকে আমার মতো পোশাক পরতে উৎসাহ দেয়।”
এরপর সাংবাদিক সরাসরি লক্ষ্মীর পোশাক নিয়ে প্রশ্ন করেন, জবাবে এই অভিনেত্রী বলেন, “আপনি কি একজন পুরুষকে একই প্রশ্ন করতেন? আপনার এত সাহস হয় কী করে! আপনি কি মহেশ বাবুকে বলতেন—‘আপনার তো এখন ৫০ বছর বয়স, তাহলে আপনি কেন জামা খুলে ছবি তুলছেন?’ তাহলে একজন নারীকে কেন এই প্রশ্ন? মানুষ আপনার এই প্রশ্ন থেকে কী শিখবে? একজন সাংবাদিক হিসেবে আপনার দায়িত্বশীল হওয়া উচিত।”
পরে সাংবাদিক স্বীকার করেন যে, এই ধরনের প্রশ্ন একজন অভিনেতাকে করতেন না। প্রশ্নটি করার কারণ ব্যাখ্যা করে সাংবাদিক জানান, তার পোশাক নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় নানা ধরনের চর্চা চলছে, যার কারণে এই প্রশ্ন সামনে নিয়ে আসা।
লক্ষ্মী মাঞ্চুর অন্য পরিচয় তিনি তেলেগু সিনেমার বরেণ্য অভিনেতা মোহন বাবুর কন্যা। ৫০ বছরের অভিনয় ক্যারিয়ারে অসংখ্য সিনেমায় অভিনয় করেছেন মোহন বাবু। ব্যক্তিগত জীবনে বিদ্যা দেবীর সঙ্গে ঘর বাঁধেন তিনি। এ সংসারে রয়েছে কন্যা লক্ষ্মী ও পুত্র বিষ্ণু মাঞ্চু। তারা দুজনেই অভিনয়শিল্পী।
তথ্যসূত্র: দ্য ফ্রি প্রেস জার্নাল
ঢাকা/শান্ত