ইউরোপের দেশ সুইজারল্যান্ডের ব্যাংকগুলোতে বাংলাদেশিদের জমা অর্থের পরিমাণ এক বছরের ব্যবধানে ৩৩ গুণ বেড়েছে। জমা অর্থের পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ৫৯ কোটি সুইস ফ্রাঁ (সুইজারল্যান্ডের মুদ্রা)। ২০২৩ সালে এর পরিমাণ ছিল ১ কোটি ৭৭ লাখ সুইস ফ্রাঁ।

সুইজারল্যান্ডের কেন্দ্রীয় ব্যাংক সুইস ন্যাশনাল ব্যাংকের (এসএনবি) বার্ষিক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২১ সালের পর গত বছরই বাংলাদেশিদের সর্বোচ্চ পরিমাণ অর্থ জমা হয়েছে সুইস ব্যাংকগুলোতে।

এ বছরের (২০২৪) ৫ আগস্ট ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয়। বিগত সরকারের সময়ের সুবিধাভোগীদের একটি বড় অংশ দেশ ছেড়ে পালিয়েছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে আওয়ামী লীগ সরকার ঘনিষ্ঠদের অর্থসম্পদ বাজেয়াপ্ত হতে শুরু হয়েছে। এতে অনেকে বিশ্বের এক দেশ থেকে অন্য দেশে অর্থ স্থানান্তর করে থাকতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

বাংলাদেশে সুইস ফ্রাঁর খুব বেশি লেনদেন হয় না। বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রতি ফ্রাঁর বিনিময় মূল্য প্রায় ১৪৯ টাকা। সেই হিসাবে সুইস ব্যাংকে বাংলাদেশিদের ৫৮ কোটি ৯৫ লাখ সুইস ফ্রাঁ জমা ছিল, যা প্রায় ৮ হাজার ৭৮৪ কোটি টাকা।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২৪ সালের শেষে সুইজারল্যান্ডের বিভিন্ন ব্যাংকে বাংলাদেশিদের জমা অর্থের পরিমাণ ছিল ৫৮ কোটি ৯৫ লাখ সুইস ফ্রাঁ। ২০২৩ সালে ছিল ১ কোটি ৭৭ লাখ ফ্রাঁ। এক বছরে বাংলাদেশিদের জমা অর্থের পরিমাণ বেড়েছে ৫৭ কোটি ১৮ লাখ ফ্রাঁ।

বাংলাদেশে সুইস ফ্রাঁর খুব বেশি লেনদেন হয় না। বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রতি ফ্রাঁর বিনিময় মূল্য প্রায় ১৪৯ টাকা। সেই হিসাবে সুইস ব্যাংকে বাংলাদেশিদের ৫৮ কোটি ৯৫ লাখ সুইস ফ্রাঁ জমা ছিল, যা প্রায় ৮ হাজার ৭৮৪ কোটি টাকা।

এসএনবির প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২২ ও ২০২৩ সালে পরপর দুই বছর সুইস ব্যাংকে বাংলাদেশিদের জমা অর্থের পরিমাণ উল্লেখযোগ্য পরিমাণে কমে গিয়েছিল।

বিশ্বের বিভিন্ন দেশে আওয়ামী লীগ সরকার ঘনিষ্ঠদের অর্থসম্পদ বাজেয়াপ্ত হতে শুরু হয়েছে। এতে অনেকে বিশ্বের এক দেশ থেকে অন্য দেশে অর্থ স্থানান্তর করে থাকতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

সুইস ব্যাংকে বাংলাদেশিদের অর্থ হঠাৎ বেড়ে যাওয়ার পেছনে একাধিক কারণের কথা বলছেন স্থানীয় অর্থনীতিবিদ ও বিশেষজ্ঞরা। তাঁরা মনে করেন, সুইজারল্যান্ডের ব্যাংকে বাংলাদেশিদের অর্থ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নামে জমা হয়। বাংলাদেশের অনেক ব্যাংকও বৈধ পথে দেশটির ব্যাংকে অর্থ জমা রাখে। আবার বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বসবাসকারী বাংলাদেশিরাও সুইস ব্যাংকে অর্থ জমা রাখেন। এ ছাড়া বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সুইস ব্যাংকের শাখাগুলোতে সেসব দেশে বসবাসকারী বাংলাদেশিরাও অর্থ জমা রাখেন, সেগুলোও সুইস ব্যাংকে জমা অর্থ হিসেবে বিবেচিত হয়। সুইজারল্যান্ডের কেন্দ্রীয় ব্যাংক বিভিন্ন দেশ থেকে জমা হওয়া এসব অর্থ সে দেশের দায় হিসাবে আর্থিক প্রতিবেদনে উল্লেখ করে থাকে।

সুইজারল্যান্ডের বাইরে এখন পাচারের অর্থ গোপন রাখার সুবিধা অন্য অনেক দেশে রয়েছে। ফলে ওই সব দেশেও পাচারের অর্থের বড় অংশ চলে যাচ্ছে।

অর্থনীতিবিদেরা বলছেন, একসময় সুইজারল্যান্ডের ব্যাংকগুলো পাচার হওয়া অর্থ জমা রাখার জন্য অন্যতম পছন্দের গন্তব্য ছিল। কারণ, তখন দেশটির ব্যাংকগুলো এসব তথ্য অন্য কোনো দেশের সঙ্গে আদান–প্রদান করত না। অর্থ পাচারসংক্রান্ত আন্তর্জাতিক চুক্তির আওতায় ছিল না সুইজারল্যান্ডের ব্যাংকগুলো। কিন্তু গত কয়েক বছরে সেই দৃশ্যপট অনেকটাই পাল্টে গেছে। আন্তর্জাতিক নানা চুক্তির কারণে এখন সুইজারল্যান্ড বিভিন্ন দেশের সরকারের চাহিদা অনুযায়ী তথ্য সরবরাহ করে। এ কারণে যাঁরা পাচারের অর্থ আগে দেশটির বিভিন্ন ব্যাংকে জমা রাখতেন, তাঁরা এখন আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছেন। সুইজারল্যান্ডের বাইরে এখন পাচারের অর্থ গোপন রাখার সুবিধা অন্য অনেক দেশে রয়েছে। ফলে ওই সব দেশেও পাচারের অর্থের বড় অংশ চলে যাচ্ছে।

আমাদের হিসাবে বিগত সরকারের আমলে বাংলাদেশ থেকে বছরে ১৬ বিলিয়ন (১ হাজার ৬০০ কোটি) মার্কিন ডলারের বেশি অর্থ পাচার হতো। সেই তুলনায় সুইজারল্যান্ডের ব্যাংকের জমা অর্থের পরিমাণ খুব বেশি নয়।চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের সাবেক অধ্যাপক মইনুল ইসলাম

এ বিষয়ে জানতে চাইলে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের সাবেক অধ্যাপক মইনুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, সুইজারল্যান্ড এখন অর্থ পাচারকারীদের কাছে খুব বেশি আকর্ষণীয় গন্তব্য নয়। বিকল্প হিসেবে বিশ্বের অনেক দেশ গড়ে উঠেছে। যেখানে পাচারকারীদের জন্য সহজে ও নিরাপদে পাচারের সুযোগ রয়েছে। তাই সুইজারল্যান্ডের ব্যাংকে হঠাৎ বাংলাদেশিদের জমা অর্থের পরিমাণ বেড়ে যাওয়ার ঘটনাকে খুব গুরুত্বপূর্ণ মনে হচ্ছে না। তিনি বলেন, ‘আমাদের হিসাবে বিগত সরকারের আমলে বাংলাদেশ থেকে বছরে ১৬ বিলিয়ন (১ হাজার ৬০০ কোটি) মার্কিন ডলারের বেশি অর্থ পাচার হতো। সেই তুলনায় সুইজারল্যান্ডের ব্যাংকের জমা অর্থের পরিমাণ খুব বেশি নয়।’

সুইস কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, সুইজারল্যান্ডের ব্যাংকে শুধু যে বাংলাদেশিদের জমা অর্থ বেড়েছে, তা নয়। ভারতের নাগরিকদের অর্থও বেড়েছে। ২০২৩ সালে সুইস ব্যাংকে ভারতীয়দের জমা অর্থের পরিমাণ ছিল ১০৩ কোটি ফ্রাঁ, গত বছর তা বেড়ে হয়েছে ৩৫০ কোটি সুইস ফ্রাঁ।

এ ক্ষেত্রে আমি তিনটি বিষয়কে বিবেচনায় নিচ্ছি। প্রথমত, জমা অর্থের হিসাবের ক্ষেত্রে পদ্ধতিগত কোনো পরিবর্তন করা হয়েছে কি না, যার কারণে অতীতে যেসব হিসাবকে বিবেচনায় নেওয়া হয়নি, সেগুলোকে গত বছর বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে। দ্বিতীয়ত, বিশ্বের অন্যান্য দেশ থেকে অর্থ স্থানান্তর হয়ে সুইস ব্যাংকে জমা হচ্ছে কি না। তৃতীয়ত, সরকার বদলের পর পাচার রোধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা হলেও সুইস ব্যাংকে একলাফে বাংলাদেশিদের এত অর্থ বৃদ্ধির ঘটনা পাচার বন্ধের নিশ্চয়তা দেয় না।’সিপিডি সম্মাননীয় ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য

এসএনবির প্রতিবেদন অনুযায়ী, ১৯৯৬ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত ২৯ বছরে সুইজারল্যান্ডের ব্যাংকে বাংলাদেশিদের সবচেয়ে কম অর্থ ছিল ২০২৩ সালে। আর সর্বোচ্চ জমা ছিল ৮৭ কোটি ফ্রাঁ, ২০২১ সালে।

সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে অর্থনীতিবিদ ও গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) সম্মাননীয় ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য প্রথম আলোকে বলেন, ‘এ ক্ষেত্রে আমি তিনটি বিষয়কে বিবেচনায় নিচ্ছি। প্রথমত, জমা অর্থের হিসাবের ক্ষেত্রে পদ্ধতিগত কোনো পরিবর্তন করা হয়েছে কি না, যার কারণে অতীতে যেসব হিসাবকে বিবেচনায় নেওয়া হয়নি, সেগুলোকে গত বছর বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে। দ্বিতীয়ত, বিশ্বের অন্যান্য দেশ থেকে অর্থ স্থানান্তর হয়ে সুইস ব্যাংকে জমা হচ্ছে কি না। তৃতীয়ত, সরকার বদলের পর পাচার রোধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা হলেও সুইস ব্যাংকে একলাফে বাংলাদেশিদের এত অর্থ বৃদ্ধির ঘটনা পাচার বন্ধের নিশ্চয়তা দেয় না।’

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: প চ র র অর থ অর থ প চ র ২০২৩ স ল দ র অর থ সরক র র গত বছর অর থ ব ক বছর

এছাড়াও পড়ুন:

যশোরে জিআই পণ্য খেজুর গুড় তৈরির রস সংগ্রহে গাছ প্রস্তুতির উদ্বোধন

যশোরের ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) পণ্য খেজুর গুড় তৈরির রস সংগ্রহের জন্য খেজুরগাছ প্রস্তুতের (রস সংগ্রহের উপযোগী করা) আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়েছে। আজ রোববার দুপুরে চৌগাছা উপজেলার হায়াতপুর গ্রামে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শাহিনুর আক্তার।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর যশোরের উপপরিচালক মোশাররফ হোসেন বলেন, রস-গুড় সংগ্রহের জন্য গত বছরের তুলনায় এ বছর বেশি খেজুরগাছ প্রস্তুত করা হবে। এ বছর জেলায় অন্তত তিন লাখের বেশি গাছ প্রস্তুত করা হবে। যশোরে খেজুরের রস ও গুড়ের ১০০ কোটির বেশি টাকার বাজার রয়েছে। অন্তত ছয় হাজার কৃষক এই পেশায় যুক্ত।

যশোরের খেজুর গুড় জিআই পণ্য হলো যেভাবে

২০২২ সালে চৌগাছার তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (বর্তমানে যশোরের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট) ইরুফা সুলতানা খেজুর গুড়ের ঐতিহ্য সংরক্ষণে খেজুর গুড়ের মেলা, গাছিদের প্রশিক্ষণ, গাছি সমাবেশ, গাছিদের সমবায় সমিতি গঠন, খেজুরগাছ রোপণ ও সংরক্ষণের উদ্যোগ নেন। একই বছর জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতির জন্য যশোরের খেজুর গুড়ের আবেদন করেন তিনি। তাঁর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২০২৪ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি সেটি জিআই পণ্যের স্বীকৃতি পায়।

শতকোটি টাকার বাজার ধরতে ব্যস্ত গাছিরা

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, যশোরের প্রায় ছয় হাজার গাছি খেজুরগাছের রস থেকে পাটালি গুড় উৎপাদনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। ইতিমধ্যে খেজুরগাছ প্রস্তুতির কাজ শুরু হয়েছে। গাছ প্রস্তুতে ব্যস্ত সময় পার করছেন গাছিরা। খেজুরগাছ সংরক্ষণ, রোপণ, গাছিদের প্রশিক্ষণ, প্রণোদনাসহ নানাভাবে সহযোগিতার মাধ্যমে গুড় উৎপাদন বৃদ্ধি ও বাজার সম্প্রসারণে কাজ করছে কৃষি বিভাগ, জেলা ও উপজেলা প্রশাসন।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর যশোর কার্যালয়ের তথ্যমতে, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে যশোর জেলায় খেজুরগাছের সংখ্যা ২৩ লাখ ৩০ হাজার ৬৯৫টি। এর মধ্যে রস আহরণের উপযোগী গাছের সংখ্যা ৩ লাখ ৭ হাজার ১৩০টি। গাছ থেকে ৩ কোটি ৭১ লাখ ৩ হাজার লিটার রস ও ২ হাজার ৭৪২ মেট্রিক টন গুড় উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। বাজারদর অনুযায়ী প্রতি লিটার রসের দাম ৩৫ টাকা ও গুড়ের কেজি ৩৪০ টাকা। সেই হিসাবে রস ও গুড়ের বাজার দর ৯৯ কোটি ৬৮ লাখ টাকা।

চৌগাছা উপজেলার চাকলা গ্রামের গাছি আবদুল কুদ্দুস বলেন, ‘আমার দাদা খেজুরগাছের রস থেকে পাটালি গুড় বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করতেন। দাদার সঙ্গে বাবাও যুক্ত ছিলেন। বাবার পেশায় আমিও যুক্ত হয়েছি। বাবা আর আমি এবার ৩০০টি খেজুরগাছ থেকে রস-গুড় তৈরির প্রস্তুতি নিচ্ছি। গতবছর ভালো দাম পেয়েছি। এবারও ভালো দাম পাব বলে আশা করি।’

গাছিরা জানান, কার্তিক মাস শুরুর সঙ্গে সঙ্গেই খেজুরগাছ ছেঁটে রস ও গুড় তৈরির প্রস্তুতি শুরু করেন তাঁরা। শীত মৌসুমে এ অঞ্চলের কৃষকদের অন্যতম আয়ের উৎস এটি। এখানকার কারিগরদের দানা পাটালি তৈরির সুনাম রয়েছে। পাটালি ও ঝোলা গুড় তৈরি ছাড়াও চাষিরা শীতের ভোরে ফেরি করে কাঁচা রস বিক্রি করেন। কাঁচা রস প্রতি মাটির ভাঁড় ১৫০-২০০ টাকা, দানা গুড় ৩৫০-৪০০ টাকা আর পাটালি প্রতি কেজি ৪৫০-৬০০ টাকায় বিক্রি হয়।

অনলাইন প্ল্যাটফর্ম কেনারহাটের উদ্যোক্তা তরিকুল ইসলাম বলেন, ‘গত বছর আমাদের কাছে ভোক্তার চাহিদা ছিল সাড়ে ছয় হাজার কেজি পাটালি গুড়। সরবরাহ করতে পেরেছিলাম দুই হাজার কেজি। প্রাকৃতিক দুর্যোগ, অতিবৃষ্টি, শীত কম হওয়ায় চাহিদা অনুযায়ী পাটালি গুড় সরবরাহ করতে পারিনি। এ বছর ইতিমধ্যে অর্ডার আসতে শুরু করেছে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা
  • যশোরে জিআই পণ্য খেজুর গুড় তৈরির রস সংগ্রহে গাছ প্রস্তুতির উদ্বোধন