চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলার সুয়াবিল ইউনিয়নের সংরক্ষিত বনাঞ্চল থেকে মা হারা মায়া হরিণের একটি শাবক উদ্ধার করা হয়েছে।
স্থানীয় তরুণ আব্দুল কুদ্দুছ শোভনছড়ি বন থেকে লোকালয়ে আসলে হরিণ শাবকটি উদ্ধার করে পাশের হারুয়ালছড়ি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ইকবাল হোসেন চৌধুরীর সহায়তায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোজাম্মেল হক চৌধুরীর সঙ্গে যোগাযোগ করেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোজাম্মেল হক চৌধুরী জানান, সংবাদ পেয়ে হরিণ শাবকটির প্রাথমিক পরিচর্যা শেষে চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানার কিউরেটর ডা.
আরো পড়ুন:
চবিতে শিবিরের কোরআন অলিম্পিয়াড ও বইপাঠ প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ
বর্তমানে বড় কোনো মেগা প্রকল্প হাতে নেওয়া সম্ভব নয়: ওয়াহিদ উদ্দিন
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার উদ্যোগে উপজেলা প্রশাসন থেকে শাবকটি চিড়িয়াখানায় পাঠানো হয়েছে।
ঢাকা/রেজাউল/বকুল
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর উপজ ল শ বকট
এছাড়াও পড়ুন:
অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ চবির অফিস সহকারি বরখাস্ত
চাকরি দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে ৫ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) পালি বিভাগের অফিস সহকারি মেহেদী হাসানকে চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
রবিবার (২৯ জুন) বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. সাইফুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এ ঘটনায় ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ সোহাইবকে আহ্বায়ক করে এক সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
ভুক্তভোগী মুহাম্মদ ইয়াহিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষের প্রাক্তন শিক্ষার্থী।
আরো পড়ুন:
৪৩ লাখ টাকা গড়মিল: নোবিপ্রবির কম্পিউটার অপারেটর বরখাস্ত
যৌন হয়রানির অভিযোগে নোবিপ্রবি আরেক শিক্ষক বরখাস্ত
সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার বরাবর লিখিত অভিযোগে তিনি জানান, ২০২৩ সালের ২৫ আগস্ট সেকশন অফিসার পদে চাকরি দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে অভিযুক্ত মেহেদী হাসান তার কাছ থেকে ৪ লাখ টাকা নেন। পরবর্তীতে তিনি আরো ১ লাখ টাকা দাবি করেন। তার দাবিকৃত মোট ৫ লাখ টাকা দেওয়ার পরো কোনো নিয়োগ সম্পন্ন হয়নি। পরে টাকা ফেরতের আশ্বাস দেওয়া হলেও এখনো ৩ লাখ টাকা ফেরত পাননি বলে অভিযোগ করেন তিনি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত মেহেদী হাসান বলেন, “আমি কারো ব্যক্তিগত নির্দেশে কাজ করেছি। উপাচার্য ম্যাডামের (সাবেক উপাচার্য শিরিন আখতার) পিএস যেভাবে নির্দেশ দিতেন, আমি শুধু তা পালন করতাম। একাধিক পিএস বদল হয়েছে, আমি সবসময় তাদের অধীনে কাজ করেছি।”
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, মেহেদী হাসানের বিরুদ্ধে আগে থেকেই নানা অভিযোগ মৌখিকভাবে শোনা যাচ্ছিল। দীর্ঘদিন ধরে তিনি ক্ষমতাবান ব্যক্তিদের ঘনিষ্ঠতা কাজে লাগিয়ে প্রশাসনিক কার্যক্রম ও নিয়োগ প্রক্রিয়ায় প্রভাব খাটিয়ে আসছিলেন।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, “ভুক্তভোগীর লিখিত অভিযোগ পর্যালোচনা করে সাময়িক বরখাস্তের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এছাড়া বিষয়টি নিয়ে এক সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্তের প্রতিবেদনের ভিত্তিতে অভিযোগ প্রমাণিত হলে তাকে স্থায়ী বহিষ্কার করা হবে।”
ঢাকা/মিজান/মেহেদী