বিচারকের সঙ্গে অসদাচরণ: আপিলের শর্তে জামিন পেলেন আইনজীবী
Published: 2nd, July 2025 GMT
বিচারক ও আইনজীবীদের সঙ্গে অসদাচরণ করায় ঢাকা আইনজীবী সমিতির সদস্য মোকসেদ আলী আকন্দকে সাত দিনের কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছিলেন আদালত। এর কিছুক্ষণ পর আপিলের শর্তে তার জামিন আবেদন মঞ্জুর করা হয়।
বুধবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মিনহাজুর রহমানের আদালত এ আদেশ দেন। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ঢাকা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ নজরুল ইসলাম।
তিনি বলেন, আমরা ওই আইনজীবীর কারাদণ্ডের খবর পেয়ে সংশ্লিষ্ট আদালতে জামিন শুনানি করার জন্য যাই। কারাদণ্ডের বিরুদ্ধে আপিলের শর্তে মোকসেদ আলীর জামিনের আবেদন করি। শুনানি শেষে আদালত আইনজীবীর বয়স বিবেচনায় আগামী ৭ দিনের মধ্যে আপিলের শর্তে ৫০০ টাকার মুচলেকায় তার জামিন মঞ্জুর করেন।
জানা যায়, এদিন বেলা সাড়ে ১১টায় এজলাসে ওঠেন বিচারক মিনহাজুর রহমান। শুনানি চলাকালে হট্টগোল করেন ওই আইনজীবী। এক পর্যায়ে বিচারকাজ বন্ধ করে দেন বিচারক।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
চিন্ময় দাসসহ ৩৮ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট
চট্টগ্রামের আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যা মামলায় সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় দাসসহ ৩৮ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট জমা দিয়েছে পুলিশ।
মঙ্গলবার বিকেলে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা চট্টগ্রাম আদালত পুলিশের কাছে চার্জশটটি জমা দেন। চিন্ময়ের উসকানি ও নির্দেশে আইনজীবীকে হত্যা করা হয়েছে। এ জন্য মামলায় তাকে আসামি করা হয়েছে বলে জানান মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের সহকারী কমিশনার (কোতোয়ালি সার্কেল) মাহফুজুর রহমান।
চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (প্রসিকিউশন) মফিজ উদ্দিন বলেন, প্রধান আসামি চিন্ময় দাসসহ ৩৮ জনকে অভিযুক্ত করে আইনজীবী খুনের মামলায় আমাদের কাছে চার্জশিট জমা দিয়েছে থানা পুলিশ। মামলার ধার্য্য তারিখে তা ম্যাজিস্ট্রেট আাদলতে জমা দেওয়া হবে। এখন এটি মামলার নথির সঙ্গে রাখা হয়েছে।
গত ৫ মে থানা পুলিশের আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত চিন্ময় দাসকে আইনজীবী হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখান। এর আগে গত বছরের ২৬ নভেম্বর সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় দাসের জামিনকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের মধ্যে আইনজীবী সাইফুলকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এ হত্যার ঘটনায় তাঁর বাবা জামাল উদ্দিন বাদী হয়ে ৩১ জনের নাম উল্লেখ করে হত্যা মামলা দায়ের করেন।
এ মামলায় আসামিদের মধ্যে চন্দন দাস, রিপন দাস ও রাজীব ভট্টাচার্য আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। তাতে তারা উল্লেখ করেন, আইনজীবীর ঘাড়ে বঁটি দিয়ে দুটি কোপ দেন রিপন দাস। আর কিরিচ দিয়ে কোপান চন্দন দাস। পরে রাস্তায় পড়ে থাকা সাদা শার্ট ও কালো প্যান্ট পরা এই আইনজীবীকে লাঠি, বাটাম, ইট, কিরিচ ও বঁটি দিয়ে তাঁরা ১৫ থেকে ২০ জন পিটিয়ে হত্যা করেন।
গত বছরের ৩১ অক্টোবর চট্টগ্রাম নগরের চান্দগাঁও মোহরা ওয়ার্ড বিএনপির তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ খান বাদী হয়ে নগরের কোতোয়ালি থানায় চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীসহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে জাতীয় পতাকা অবমাননায় রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে একটি মামলা করেন। পরে ফিরোজ খানকে বিএনপি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। এ মামলায় চিন্ময় কৃষ্ণকে ২৫ নভেম্বর ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।