রাজধানীর মুগদায় ছিনতাইকারী সন্দেহে গণপিটুনিতে আহত আল আমিন (২০) নামের এক তরুণ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে মারা যান তিনি।

এর আগে গত বুধবার রাত পৌনে ১০টার দিকে মুগদা হাসপাতালের বিপরীত পাশে শান্ত ফিলিং স্টেশনের সামনের রাস্তায় গণধোলাইয়ের শিকার হন আল আমিন।

মুগদা থানার এসআই উত্তম কুমার জানান, বুধবার রাতে মুগদা হাসপাতালের বিপরীত পাশে শান্ত ফিলিং স্টেশনের সামনে ছিনতাইয়ের চেষ্টা করে ওই যুবক। এ সময় জনগণ দেখতে পেয়ে তাকে ধরে গণধোলাই দেয়। এতে গুরুতর আহত হন তিনি। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে তাকে ঢামেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ বিকেলে মারা গেছে আল আমিন।

তিনি জানান, আল আমিনের বিস্তারিত ঠিকানা জানা সম্ভব হয়নি। ছিনতাইয়ের ঘটনায় থানায় একটি মামলা হয়েছে। ওই যুবকের বিস্তারিত ঠিকানা জানার চেষ্টা চলছে। তার মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢামেক হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: গণপ ট ন ন হত

এছাড়াও পড়ুন:

মুরাদনগরে নারীকে নির্যাতনের ভিডিও ছড়ানোর ‘হোতা’ শাহ পরাণ গ্রেপ্তার

কুমিল্লার মুরাদনগরে নারীকে নির্যাতন ও ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় শাহ পরাণ নামের একজনকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব। বৃহস্পতিবার বিকেলে জেলার বুড়িচং উপজেলায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তার পরাণ ধর্ষণ মামলার মূল আসামি ফজর আলীর আপন ছোট ভাই। মামলার পর থেকে তিনি আত্মগোপনে ছিলেন। 

র‍্যাব-১১ সিপিসি-২ কুমিল্লার কার্যালয়ের অধিনায়ক মাহমুদুল হাসান বলেন, শাহ পরাণ ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার মাস্টারমাইন্ড।

মুরাদনগর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদুর রহমান বলেন, শাহ পরাণকে র‍্যাব হস্তান্তর করেছে। তাকে শুক্রবার আদালতে সোপর্দ করা হবে। এ ঘটনায় জড়িত অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

গত ২৬ জুন রাতে উপজেলার একটি গ্রামে ধর্ষণের ঘটনাটি ঘটে। ভুক্তভোগী ওই নারীর অভিযোগ, ঘটনার রাতে তার বাবা-মা বাড়িতে ছিলেন না। এ সময় ফজর আলী ঘরের দরজা ভেঙে প্রবেশ করে তাকে ধর্ষণ করে। ঘটনার সময় আশপাশের কয়েকজন লোক এসে ভুক্তভোগী নারীকে বিবস্ত্র অবস্থায় মারধর করে। পরে ওই ঘটনার ভিডিও তারা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়। ঘটনার পরদিন ভুক্তভোগী নারী  মুরাদনগর থানায় মামলা করেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ