ভারী বৃষ্টিতে বরিশাল নগরের বেশিরভাগ সড়ক পানির নিচে
Published: 9th, July 2025 GMT
বরিশালসহ দক্ষিণাঞ্চলে গত চারদিন ধরে টানা বৃষ্টি হচ্ছে। মঙ্গলবার দিবাগত রাতে থেকে ভারী বৃষ্টি শুরু হয়। এতে নগরীর বেশিরভাগ এলাকা প্লাবিত হয়েছে।
বুধবার নগরের অন্যতম নবগ্রাম সড়কে গিয়ে দেখা যায়, সরকারি সৈয়দ হাতেম আলী কলেজ থেকে বটতলা বাজার পর্যন্ত দুই লেনের সড়ক ডুবে গেছে। ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ও বাসা বাড়িতে পানি ঢুকেছে। অলিগলিগুলো পানিতে ডুবে থাকায় বাসিন্দারা চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন।
একই অবস্থা নগরের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ সড়ক বগুড়া রোড মুন্সীর গ্রেজ এলাকা, সরকারি বালিকা বিদ্যালয় এলাকা, নগরের নিন্মাঞ্চল হিসাবে পরিচিত সাগরদী ধান গবেষণা এলাকার জিয়া সড়ক, পলাশপুর ভাটিখানাসহ বিভিন্ন এলাকা তলিয়ে গেছে।
জানা গেছে, মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোতে অর্ধবার্ষিক পরীক্ষা চলছে। অনেক এলাকায় পানি জমে থাকায় শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ে পৌঁছাতে ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে।
ব্যাটারিচালিত রিকশাচালক সালাম বলেন, ‘পানির কারণে সড়কে যানবাহন চালানো দুষ্কর হয়ে পড়েছে। পানিতে গাড়ি বিকল হয়ে যাচ্ছে।’
বরিশাল আবহাওয়া অফিসের ইনচার্জ আনিসুর রহমান বলেন, ‘বুধবার সকাল ৯টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় ১৬০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। মৌসুমি বায়ু সক্রিয় থাকায় আরও কিছুদিন বৃষ্টি থাকবে।’
একই সময়ে পটুয়াখালীতে ১৫৩ মিলিমিটার ও বরগুনায় ১১৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাতের খবর পাওয়া গেছে। এসব জেলার শহরগুলোতে জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) জলানুসন্ধান বিভাগের উপ সহকারী প্রকৌশলী তাজুল ইসলাম বলেন, দক্ষিণাঞ্চলের সব নদীর পানি বিপৎসীমার নিচে রয়েছে।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
বিরল রোগে আক্রান্ত মাহির শাহরিয়ার বাঁচাতে চায়
ডুচেন মাসকুলার ডিস্ট্রফি (DMD) নামক এক বিরল জেনেটিক রোগে আক্রান্ত হয়ে জীবন সংকটে ভুগছে শিশু মাহির শাহরিয়ার। এই রোগে আক্রান্তদের পেশী ক্রমাগত দুর্বল হতে থাকে এবং সময়ের সাথে সাথে তা আরও খারাপের দিকে যায়।
ডিএমডি এমন একটি রোগ যার বর্তমানে কোনো নিরাময় নেই, তবে সঠিক চিকিৎসা ও যত্নের মাধ্যমে রোগীর জীবনকাল ও জীবনযাত্রার মান উন্নত করা সম্ভব। কিন্তু এই চিকিৎসার খরচ যোগান দেওয়া মাহিরের দিনমজুর বাবার পক্ষে প্রায় অসম্ভব।
ডুচেন মাসকুলার ডিস্ট্রফি (DMD) একটি বংশগত পেশীসংক্রান্ত রোগ যা মূলত ছেলেদেরকে আক্রান্ত করে। ডিস্ট্রোফিন নামক একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রোটিনের অভাবে এই রোগ হয়, যার ফলে পেশী দুর্বল ও ক্ষয় হতে থাকে। এই রোগে আক্রান্ত শিশুরা সাধারণত কৈশোরের আগেই চলাচলের ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে এবং শ্বাস-প্রশ্বাস ও হৃদপিণ্ডের জটিলতা তৈরি হয়।
মাহিরের বাবা মোঃ এনামুল হক এবং মা মোছাঃ মিতা খাতুন তাদের সন্তানের জন্য সমাজের সকল স্তরের মানুষের কাছে সাহায্যের আবেদন জানিয়েছেন। তাদের স্থায়ী ঠিকানা পাবনার আটঘরিয়া হলেও বর্তমানে তারা নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা, ইসদাইর বাজার-এ ভাড়া বাসায় অবস্থান করছেন।
মাহিরের চিকিৎসা এবং তাকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য প্রয়োজনীয় ওষুধ ও দীর্ঘমেয়াদি যত্নের জন্য প্রচুর অর্থের প্রয়োজন। সামর্থ্য না থাকা সত্ত্বেও সন্তানের জীবন বাঁচাতে এই অসহায় বাবা-মা নিরন্তর চেষ্টা করে যাচ্ছেন।
আসুন, এই বিরল রোগে আক্রান্ত মাহির শাহরিয়ারকে বাঁচাতে আমরা সবাই সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেই। আপনার সামান্য অনুদানও তার চিকিৎসার জন্য অপরিহার্য এবং তার জীবনের সময়কাল বাড়াতে সাহায্য করতে পারে। মহান আল্লাহ আমাদের এই মানবিক প্রচেষ্টাকে কবুল করুন।
মাহিরের পরিবারকে সাহায্য করতে বা তার অবস্থা সম্পর্কে আরও জানতে নিচের মোবাইল নম্বরে যোগাযোগ করতে পারেন: মোবাইল নম্বর: ০১৭৩২০৬১৪৮৩