কিংস্টনের সাবিনা পার্কে তৃতীয় ও শেষ টেস্টে গা ঝাড়া দিয়ে উঠল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। সিরিজে টিকে থাকার আর সুযোগ না থাকলেও হোয়াইটওয়াশের লজ্জা এড়াতে মাঠে নামে তারা ভিন্ন এক মেজাজে। আর ফলও মিলল হাতেনাতে। শামার জোসেফ আর জাইডেন সিলসের বিধ্বংসী বোলিংয়ে অস্ট্রেলিয়ার শক্তিশালী ব্যাটিং লাইনআপ গুটিয়ে গেল মাত্র ২২৫ রানেই।

সিরিজের আগের দুটি টেস্টে লড়াই করেও শেষ রক্ষা হয়নি ক্যারিবীয়দের। তবে শনিবার যখন টস জিতে ব্যাট করতে নামে অস্ট্রেলিয়া, তখন থেকেই ভিন্ন এক দৃশ্যপট তৈরি হয়। ব্যাট হাতে শুরুটা ভালো করলেও দিন গড়াতেই মুখ থুবড়ে পড়ে অতিথিদের ইনিংস। পুরো দল গুটিয়ে যায় মাত্র ৭০.

৩ ওভারে।

অস্ট্রেলিয়ার হয়ে সবচেয়ে বড় সংগ্রহ আসে স্টিভ স্মিথের ব্যাট থেকে, ৪৮ রান। ক্যামেরন গ্রিন করেন ৪৬, অধিনায়ক কামিন্সের ব্যাটে আসে ২৪, খাজা ২৩, ক্যারি ২১ আর হেড করেন ২০ রান। তবে এই ইনিংসের মূল গল্প লেখা হয় বল হাতে। শামার জোসেফ ৩৩ রানে তুলে নেন ৪ উইকেট। আর জাস্ট্রিন গ্রিভস ও জাইডেন সিলস মিলে ভাগ করে নেন ৬ উইকেট।

আরো পড়ুন:

ছক্কার ঝড় তুলে ৫০ বছরের পুরনো রেকর্ড ভাঙল ভারত

লর্ডসে নাটকীয় সমতা: ইংল্যান্ডের জবাবে হুবহু ৩৮৭ রানে থামল ভারত

১২ বছর পর একাদশে নাথান লিয়নকে না রেখে মাঠে নামে অজিরা। নতুন কম্বিনেশন বেশিক্ষণ টিকল না। কারণ, দিনের তৃতীয় সেশনের মাঝামাঝিতেই তাদের ইনিংস গুটিয়ে যায়।

জবাবে ব্যাট করতে নেমে প্রথম ইনিংসে কিছুটা সাবধানেই শুরু করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। যদিও ওপেনিংয়ে নেমে কেভলন অ্যান্ডারসন ১৪ বল খেলে মাত্র ৩ রানেই স্টার্কের শিকার হন। তবে দিনের বাকি সময়টায় ব্র্যান্ডন কিং (৮*) ও রস্টন চেজ (৩*) মিলে কোনো বিপদ ছাড়াই শেষ করেন।

প্রথম দিন শেষে ক্যারিবীয়দের সংগ্রহ ১ উইকেটে ১৬ রান। তারা এখনও পিছিয়ে রয়েছে ২০৯ রানে। তবে বল হাতে যেভাবে অস্ট্রেলিয়াকে নড়বড়ে করে দিয়েছে তাতে দ্বিতীয় দিনটিকে ঘুরে দাঁড়ানোর সুযোগ হিসেবেই দেখছে স্বাগতিকরা।

ঢাকা/আমিনুল

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

জকসু নির্বাচন নিয়ে ছাত্রদলের ১২ দাবি

আসন্ন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) নির্বাচনকে সামনে রেখে ১২ দফা দাবি জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদল।

সোমবার (৩ নভেম্বর) সংগঠনটির নেতারা জকসুর প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. মোস্তফা হাসানের কাছে এসব দাবি জানিয়ে স্মারকলিপি প্রদান করেন।

আরো পড়ুন:

২৭ নভেম্বর জকসু নির্বাচন না হলে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে প্রতারণা হবে: আপ বাংলাদেশ

২৭ নভেম্বরই জকসু নির্বাচন চায় ছাত্রশিবির

স্মারকলিপিতে ছাত্রদল অভিযোগ করেছে, জকসু নির্বাচনকে ঘিরে বিভিন্ন গোষ্ঠী সংবিধি ও আচরণবিধি নিয়ে বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচার করছে। তারা বিশ্বাস করে, নির্বাচন কমিশন একটি নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন আয়োজনের জন্য দায়বদ্ধ।

স্মারকলিপিতে উল্লেখিত ছাত্রদলের ১২ দফা দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে- ছবিসহ ভোটার তালিকা প্রকাশ করতে হবে; নির্বাচনে অমোচনীয় কালি ব্যবহার বাধ্যতামূলক করতে হবে; স্বচ্ছ গ্লাসের ব্যালট বাক্স ব্যবহার করতে হবে এবং প্রতিটি বাক্সে আলাদা নম্বর থাকতে হবে; ব্যালট ছাপানোর সংখ্যা, কাস্টিং ভোটার ও নষ্ট ব্যালটের সংখ্যা প্রকাশ করতে হবে; কোনো মিডিয়া ট্রায়ালের ক্ষেত্রে (ভুল তথ্য প্রচার হলে) সংশ্লিষ্ট সাংবাদিকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে, তবে সরকার অনুমোদিত সব মিডিয়াকে অবাধ স্বাধীনতা দিতে হবে; পোলিং এজেন্টরা নিজ কেন্দ্রেই অবস্থান করবেন, তবে অন্য কেন্দ্রে প্রবেশ বা অনুমতি ছাড়া পরিবর্তন করা যাবে না।

বাকি দাবিগুলো হলো- ডাকসু, চাকসু, রাকসু ও জাকসুর নির্বাচনের সময়সূচি বিবেচনা করে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের যোগাযোগের সুবিধা অনুযায়ী যথাযথ সময় রেখে জকসু নির্বাচন নির্ধারণ করতে হবে; আস সুন্নাহ ফাউন্ডেশন হলে নির্বাচনী প্রচারণার আচরণবিধি স্পষ্টভাবে নির্ধারণ করতে হবে, পাশাপাশি ফাউন্ডেশনের চুক্তি ও অবস্থান বিষয়ে বিস্তারিত জানাতে হবে; অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো এমফিল শিক্ষার্থীদেরও জকসু নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ দিতে হবে এবং বিধিমালা থেকে তাদের বাদ দেওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করতে হবে।

এছাড়া জকসুর আচরণবিধির ৬ নম্বর ধারার আলোকে সক্রিয় ছাত্রসংগঠনগুলোর পূর্ণাঙ্গ কমিটির সদস্যদের জন্য বিশেষ কার্ড দিতে হবে, যা নির্বাচনের ৪৮ ঘণ্টা আগে কার্যকর হবে; রাজনৈতিক সংগঠনগুলোর কার্যকরী কমিটির সদস্যদের নির্বাচনী প্রচার ও অংশগ্রহণের সুযোগ দিতে হবে; জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের ঘোষিত ধারাবাহিক কর্মসূচি চলমান রাখার সুযোগ দেওয়ার দাবি করেন।

নির্বাচন কমিশনকে অনুরোধ জানিয়ে সংগঠনটির পক্ষ থেকে স্মারকলিপিতে আরো বলা হয়েছে, যেন একটি গণতান্ত্রিক, নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের আয়োজন করা হয়, যেখানে সব ছাত্র সংগঠনের অংশগ্রহণ নিশ্চিত হয়। অন্যথায়, কমিশন কোনো গোষ্ঠীর প্রভাব বা চাপের মুখে পড়ছে বলে শিক্ষার্থীদের মনে হতে পারে।

ছাত্রদলের নেতারা জানান, তারা সন্তোষজনকভাবে নির্বাচন কমিশনের কাছে দাবি উপস্থাপন করেছে এবং কমিশনের নিরপেক্ষ ভূমিকার ওপর তাদের আস্থা রয়েছে।

ঢাকা/লিমন/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ