আইসাই এমপি হয়ে যেতে চান, এটা হবে না : সাখাওয়াত
Published: 22nd, July 2025 GMT
নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এড. সাখাওয়াত হোসেন খান বলেছেন, আজকে যারা নির্বাচন করতে চান আপনারা তো আসেন মধু খেতে। কারণ এখন দলের অবস্থা ভালো দেখছেন এখন আপনারা আসছেন মধু আহরণ করতে। আপনাদের তো কিছুটা শরম থাকা দরকার নাকি। আইসাই আপনারা মধ্যে বসতে চান এমপি হয়ে যেতে চান এটা কোন রকমই সম্ভব হবে না।
অনেকেই অনেক কথা বলতেছেন কিন্তু আমাদের নেতা তারেক রহমান কোন কথাই কানোপাত করবেনা। আপনারা বিএনপির জন্য কোন কিছু করেন নাই সুতরাং সুসময় আপনারা বিএনপির থেকে কিছু পাবেন না।
নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির অন্তর্গত বন্দর থানা বিএনপির আওতাধীন ২৬নং ওয়ার্ড বিএনপির প্রাথমিক সদস্য নবায়ন ও নতুন সদস্য ফরম কার্যক্রম বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথাগুলো বলেন। সোমবার (২১ জুলাই ) বিকেল চারটায় ইস্পাহানী বাজারে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
তিনি বলেন, কিছু কিছু শিল্পপতি এসেছেন যারা বিভিন্ন সময় বিএনপি নেতা কর্মীদের পুলিশ ও আওয়ামী লীগের লোকজন দিয়ে হয়রানি ও মামলা হামলা শিকার করিয়েছিলেন। তারা আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির পক্ষে বিভিন্ন ধরনের কার্যকলাপ করেছিল। শুধু তাই নয় প্রকাশ্যে নির্লজ্জের মতন তাদের মিটিং মিছিলে গিয়েছিল।
তাদেরকে ইতিমধ্যে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে সেই বহিষ্কৃত নেতাদেরকে নিয়ে তারা এখন পথ চলছেন। আমাদের দল থেকেই ইতিমধ্যে কিন্তু বিজ্ঞপ্তি দেয়া হয়েছে এতে বহিষ্কৃত নেতাদেরকে নিয়ে কোন চলাচল এবং তাদের সাথে সম্পর্ক রাখা যাবে না। যারা এগুলো করতেছেন তারা ওই বহিষ্কৃতদের পর্যায়ের লোক।
সুতরাং আমরা যারা দলে রয়েছি আমরা দলের নীতি আদর্শ মেনে আমরা দলকে সংঘটিত করবো। এমন আগামী নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নিব নির্বাচনে যাতে করে বিএনপি বিজয় লাভ করতে পারে তার জন্য আমরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করব।
তিনি আরো বলেন, বিএনপি কিন্তু কন্ট্রোলের মাল না। যে কন্ট্রোলের চাল যেভাবে পারবেন সেভাবেই খাবেন। এখন দেখতাছি বিএনপিতে যাদের সদস্য পদ নাই তারাব বিএনপির নাম ব্যবহার করে বিভিন্ন ধরনের দিচ্ছেন। এতে করে কিন্তু সাধারণ জনগণের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হচ্ছে।
একটি কথা পরিষ্কার করে বলে দিতে চাই আপনারা জনগণের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করবেন না। যারা এগুলো করছেন তাদের উদ্দেশ্য করে বলতে চাই আপনারা বিএনপি'র কি? আপনি বিএনপির নাম ব্যবহার করে সমাবেশ করেন মিছিল করেন। আর সেটা করতে হলে দলের নিয়ম-নীতি ও আদর্শ এবং গঠনতন্ত্র মেনেই করতে হবে।
আপনি দলই করেন নাই দলের মেম্বারও হোন না এখন যদি আপনি সামনে এসে বসতে চান সেটা কি সম্ভব। যারা দল করেছে নির্যাতিত হয়েছে হামলা মামলার শিকার হয়েছে তারা সামনে বসবে আর আপনারা পিছে থাকবেন তারপরে বসবেন।
আজকে যারা এখানে আছে তারা দীর্ঘ ১৫টি বছর আওয়ামী লীগের নির্মল নির্যাতন স্বীকার করেছে আমরা তাদেরকেই মূল্যায়ন করতে চাই। তাদেরকে নিয়ে আমরা চলতে চাই এবং আগামী নির্বাচনে ধানের শীষের প্রার্থীকে ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করতে চাই।
মহানগর ২৬নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি সফি উদ্দিন সোহেল প্রধানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এড.
এছাড়াও আরও উপস্থিত ছিলেন, বন্দর থানা বিএনপির সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি আঃ মতিন ভাষানীর, বন্দর থানা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক আসাদুজ্জামান বাদল, সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক ইকবাল হোসেন, ২৬নং ওয়ার্ড বিএনপির সিনিয়র সভাপতি, মাসুদুর রহমান, সহ- সভাপতি মো. সেলিম মিয়া, মো. আমানত, মো. আমির, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফারুক মিয়া সাংগঠনিক সম্পাদক ইসলাম নারু, এড. আজমল হোসেন রানা, মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ওয়াদুদ ভূইয়া সাগরসহ বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ব এনপ ন র য়ণগঞ জ র ব এনপ র ব এনপ র স ত দ রক ক র কর আপন র সদস য
এছাড়াও পড়ুন:
যাদের টাকা নিয়েছেন, তাদের ফেরত দেন : মাকসুদ চেয়ারম্যানকে সাখাওয়াত
নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এড. সাখাওয়াত হোসেন খান বলেছেন, গত ১৫টি বছর বন্দরের মানুষ ভালো ছিল না কারণ এখানে অপশাসন চলেছিল।
এই বন্দরে চলত ওই সেলিম ওসমানের শাসন তিনি এই বন্দরকে তার পৈত্রিক সম্পত্তি মনে করেছিলেন। আর তার কিছু সর্দার মানে লাঠিয়াল ছিল তাদেরকে ব্যবহার করে তিনি জনগণের সম্পদ লুট করেছিলেন।
আর বন্দর উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়নের চেয়ারম্যানরা সেলিম ওসমানের লাঠিয়াল হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছিল। মুসাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাকসুদ হোসেন কিন্তু সেলিম ওসমান ও শামীম ওসমানের অন্যতম দোসর ছিলেন। মুসাপুরে এমন কোন অপকর্ম নাই যা তিনি করেন নাই।
জুলাই বিপ্লবের আন্দোলন যারা করেছে তারা কিন্তু কোন কিছুই করে নাই। কিন্তু আমরা জানতে পেরেছি ৫ই আগস্টের পরই ওই স্বৈরাচারের দোসর মাকসুদ হোসেন ও তার ছেলের নেতৃত্বে জনগণের দূর্বলতার সুযোগ নিয়ে ২৫ থেকে ৩০টি বাড়িতে আগুন দিয়েছে এবং লুটপাট করেছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই।
আর যাদের বাড়িতে আগুন দেওয়া হয়েছে তারা আমাদের সাথে যোগাযোগ করবেন তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির অন্তর্গত বন্দর উপজেলা বিএনপির আওতাধীন মুছাপুর ইউনিয়ন বিএনপির প্রাথমিক সদস্য নবায়ন ও নতুন সদস্য ফরম কার্যক্রম বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথাগুলো বলেন।
মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) বিকেল চারটায় মুছাপুর ইউনিয়নের হরিবাড়ি এলাকায় এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
তিনি বলেন, মাকসুদ চেয়ারম্যান এখন আবার নির্বাচন করতে চায় এমপি হওয়ার সাধ জাগছে। শেখ হাসিনা ও সেলিম ওসমান ও শামীম ওসমানের দোসর তাকে বাংলার মাটি তথা বন্দরের মাটিতে কোন স্থান নাই। তাদের স্থান হবে ওই জেলখানায়।
স্বৈরাচারের দোসরা যারা চোখ রাঙ্গানি দিচ্ছে তাদেরকে আর ছাড় নাই তাদের স্থান হবে ওই জেলখানায়। মাকসুদের বিরুদ্ধে কিন্তু অনেক বৈষম্য বিরোধী মামলা রয়েছে। আমরা চেয়েছিলাম শান্ত থাকেন।
আপনার যে সাধ জেগেছে সেটা এই বন্দরের মানুষ আপনাকে করতে দিবে না। শুধু তাই না আমরা জানতে পেরেছি এই মাকসুদ এই বন্দর মানুষকে গ্যাসের কথা বলে বেড়িয়েছে এবং অনেক কাছ থেকে টাকা পয়সা নিয়েছেন।
অনেকেই আমাদের কাছে এই বিষয়ে বলেছে আমরা বলতে চাই যাদের কাছ থেকে টাকা নিয়েছেন তাদের টাকা ফেরত দেন। অন্যথায় আমরা আপনার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বাধ্য থাকব।
ইনশাল্লাহ আমাদের সরকার বিএনপি যদি ক্ষমতায় আসে তাহলে আমরা এই বন্দরের বঞ্চিত জনগণকে গ্যাসের ব্যবস্থা করে দিবো। আর এই গ্যাসের জন্য কোন জনপ্রতিনিধিকে আপনারা কোন টাকা পয়সা দিতে হবে না।
মুছাপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি তারা মিয়ার সভাপতিত্বে এবংনারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও মুছাপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শাহিন আহমেদের সঞ্চালনায় এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এড. সাখাওয়াত হোসেন খান, প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব এড. আবু আল ইউসুফ খান টিপু, বিশেষ অতিথি নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক এড. জাকির হোসেন, যুগ্ম আহ্বায়ক এড. সরকার হুমায়ূন কবির, যুগ্ম আহ্বায়ক ফতেহ মোহাম্মদ রেজা রিপন, বন্দর উপজেলা বিএনপির সভাপতি মাজহারুল ইসলাম হিরণ, সাধারণ সম্পাদক হারুন অর রশিদ লিটন, সদর থানা বিএনপির সভাপতি মাসুদ রানা, মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ফারুক হোসেন, সদস্য হুমায়ূন কবির।
এছাড়াও আরও উপস্থিত ছিলেন, মুছাপুর ইউনিয়ন বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি মাসুদুর, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দিন, সাংগঠনিক সম্পাদক আঃ রহিম, বিএনপি নেতা অনিক আহম্মেদ, মোশারফ হোসেন, খোরশেদ আলম, মাকসুদ হোসেন, নুর আলম, বিল্লাল হোসেন, পানা উল্লাহ, নিজাম হোসেন, বন্দর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক সোহেল প্রধানস, বন্দর থানা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি আল আমিনসহ বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতৃবন্দ।