কথা বলতে পারেন না ‘ডাই হার্ড’খ্যাত অভিনেতা ব্রুস উইলিস, কেন জানেন?
Published: 24th, July 2025 GMT
‘ডাই হার্ড’, ‘দ্য সিক্সথ সেন্স’, ‘দ্য ফিফথ এলিমেন্টস’, ‘পাল্প ফিকশন’-এর মতো আইকনিক সব সিনেমায় অভিনয় করে বিশ্বজুড়ে খ্যাতি অর্জন করেছেন মার্কিন অভিনেতা ব্রুস উইলিস। ৭০ বছর বয়সী এই অভিনেতা এখন অভিনয় থেকে দূরে। অবসর নেওয়ার পেছনে অবশ্য আছে একটি ভয়াবহ কারণ।
ব্রুস উইলিস ২০২২ সালে আক্রান্ত হন অ্যাফেসিয়া রোগে। এটি এমন একটি রোগ, যা মানুষের যোগাযোগক্ষমতায় প্রভাব ফেলে। কমে যেতে থাকে বাক্শক্তি। অ্যাফেসিয়া ক্রমে বাড়তে বাড়তে ব্রুসকে এখন মারাত্মক এক সমস্যার মুখে ফেলে দিয়েছে।
ব্রুস এখন আর কথা বলতে বা পড়তে সক্ষম নন এবং হাঁটতে গেলেও ভয়ানক সমস্যার মুখোমুখি হতে হচ্ছে। ‘ইনসাইড স্টোরি’ এক ইনস্টাগ্রাম পোস্টে এমনটাই জানিয়েছে। তাতে উল্লেখ করা হয়েছে, তিনি বর্তমানে ফ্রন্টোটেম্পোরাল ডিমেনশিয়া বা এফটিডিতে আক্রান্ত।
পরিবার কী বলছেউইলিসের পরিবারের ঘনিষ্ঠ সূত্রে জানা গেছে, ব্রুস এখন পুরোপুরি পরিবারের সহায়তার ওপর নির্ভরশীল। তিনি আর কারও সঙ্গে কথা বলতে কিংবা নিজে চলাফেরা করতে পারেন না। এমনকি নিজের অতীত সিনেমা বা জীবন সম্পর্কেও কোনো স্মৃতি নেই তাঁর।
গত এপ্রিল মাসে ব্রুস উইলিসের পরিবার একটি বিবৃতি দেয়। তাতে জানানো হয়, রোগটি ধীরে ধীরে এগোলেও প্রাথমিক পর্যায়ে তাঁর অবস্থা স্থিতিশীল ছিল। পরিবারের পক্ষ থেকে পারিবারিক বন্ধন অটুট রাখা ও ব্রুসের পাশে সব সময় থাকার অঙ্গীকারের কথা তুলে ধরা হয় এবং ভক্তদের কাছে সমর্থন ও গোপনীয়তা বজায় রাখার অনুরোধও জানানো হয়েছে।
এর আগে ২০২৩ ও ২০২৪ সালে প্রকাশিত কয়েকটি প্রতিবেদনে জানানো হয়, এই অভিনেতা পুরোপুরি নীরব হয়ে পড়েছেন এবং তিনি কিছু পড়তেও পারছেন না। এ ছাড়া তাঁর চলাফেরার সক্ষমতা কমে গেছে বলেও বিভিন্ন সূত্রে উল্লেখ করা হয়।
১৯৮৮ সালে মুক্তি পাওয়া ‘ডাই হার্ড’ সিনেমায় ব্রুস উইলিস.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ব র স উইল স পর ব র
এছাড়াও পড়ুন:
জকসু নির্বাচন নিয়ে ছাত্রদলের ১২ দাবি
আসন্ন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) নির্বাচনকে সামনে রেখে ১২ দফা দাবি জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদল।
সোমবার (৩ নভেম্বর) সংগঠনটির নেতারা জকসুর প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. মোস্তফা হাসানের কাছে এসব দাবি জানিয়ে স্মারকলিপি প্রদান করেন।
আরো পড়ুন:
২৭ নভেম্বর জকসু নির্বাচন না হলে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে প্রতারণা হবে: আপ বাংলাদেশ
২৭ নভেম্বরই জকসু নির্বাচন চায় ছাত্রশিবির
স্মারকলিপিতে ছাত্রদল অভিযোগ করেছে, জকসু নির্বাচনকে ঘিরে বিভিন্ন গোষ্ঠী সংবিধি ও আচরণবিধি নিয়ে বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচার করছে। তারা বিশ্বাস করে, নির্বাচন কমিশন একটি নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন আয়োজনের জন্য দায়বদ্ধ।
স্মারকলিপিতে উল্লেখিত ছাত্রদলের ১২ দফা দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে- ছবিসহ ভোটার তালিকা প্রকাশ করতে হবে; নির্বাচনে অমোচনীয় কালি ব্যবহার বাধ্যতামূলক করতে হবে; স্বচ্ছ গ্লাসের ব্যালট বাক্স ব্যবহার করতে হবে এবং প্রতিটি বাক্সে আলাদা নম্বর থাকতে হবে; ব্যালট ছাপানোর সংখ্যা, কাস্টিং ভোটার ও নষ্ট ব্যালটের সংখ্যা প্রকাশ করতে হবে; কোনো মিডিয়া ট্রায়ালের ক্ষেত্রে (ভুল তথ্য প্রচার হলে) সংশ্লিষ্ট সাংবাদিকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে, তবে সরকার অনুমোদিত সব মিডিয়াকে অবাধ স্বাধীনতা দিতে হবে; পোলিং এজেন্টরা নিজ কেন্দ্রেই অবস্থান করবেন, তবে অন্য কেন্দ্রে প্রবেশ বা অনুমতি ছাড়া পরিবর্তন করা যাবে না।
বাকি দাবিগুলো হলো- ডাকসু, চাকসু, রাকসু ও জাকসুর নির্বাচনের সময়সূচি বিবেচনা করে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের যোগাযোগের সুবিধা অনুযায়ী যথাযথ সময় রেখে জকসু নির্বাচন নির্ধারণ করতে হবে; আস সুন্নাহ ফাউন্ডেশন হলে নির্বাচনী প্রচারণার আচরণবিধি স্পষ্টভাবে নির্ধারণ করতে হবে, পাশাপাশি ফাউন্ডেশনের চুক্তি ও অবস্থান বিষয়ে বিস্তারিত জানাতে হবে; অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো এমফিল শিক্ষার্থীদেরও জকসু নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ দিতে হবে এবং বিধিমালা থেকে তাদের বাদ দেওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করতে হবে।
এছাড়া জকসুর আচরণবিধির ৬ নম্বর ধারার আলোকে সক্রিয় ছাত্রসংগঠনগুলোর পূর্ণাঙ্গ কমিটির সদস্যদের জন্য বিশেষ কার্ড দিতে হবে, যা নির্বাচনের ৪৮ ঘণ্টা আগে কার্যকর হবে; রাজনৈতিক সংগঠনগুলোর কার্যকরী কমিটির সদস্যদের নির্বাচনী প্রচার ও অংশগ্রহণের সুযোগ দিতে হবে; জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের ঘোষিত ধারাবাহিক কর্মসূচি চলমান রাখার সুযোগ দেওয়ার দাবি করেন।
নির্বাচন কমিশনকে অনুরোধ জানিয়ে সংগঠনটির পক্ষ থেকে স্মারকলিপিতে আরো বলা হয়েছে, যেন একটি গণতান্ত্রিক, নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের আয়োজন করা হয়, যেখানে সব ছাত্র সংগঠনের অংশগ্রহণ নিশ্চিত হয়। অন্যথায়, কমিশন কোনো গোষ্ঠীর প্রভাব বা চাপের মুখে পড়ছে বলে শিক্ষার্থীদের মনে হতে পারে।
ছাত্রদলের নেতারা জানান, তারা সন্তোষজনকভাবে নির্বাচন কমিশনের কাছে দাবি উপস্থাপন করেছে এবং কমিশনের নিরপেক্ষ ভূমিকার ওপর তাদের আস্থা রয়েছে।
ঢাকা/লিমন/মেহেদী