সচিবালয়ে হামলা, গাড়ি ভাঙচুর এবং হত্যাচেষ্টার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাদের মধ্যে এক তরুণ রয়েছেন, যিনি ‘টাকা তুলে শেখ হাসিনাকে আবার ফেরাব’ বলে মন্তব্য করেছিলেন।
বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) রমনা বিভাগের উপ-কমিশনার মাসুদ আলম গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ জানিয়েছে, গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন—ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বর্ডার বাজার থানাধীন মধ্যপাড়ার বাসিন্দা জয়নাল আবেদীনের ছেলে আশিকুর রহমান তানভীর, বরিশালের বাবুগঞ্জ থানাধীন দেহেরগতী এলাকার বাসিন্দা ফ্রান্সেস সিকদারের ছেলে জেফ্রি অভিষেক সিকদার, কুমিল্লার লাকসাম থানাধীন পশ্চিমগাঁও এলাকার বাসিন্দা আমির হোসেনের ছেলে আবু সফিয়ান এবং মুরাদনগর থানাধীন সালিয়াকান্দি ইউনিয়নের নিয়ামত কান্দির মৃত নূর নবীর ছেলে মো.
আরো পড়ুন:
ঝালকাঠিতে এনজিও কর্মীকে কুপিয়ে পায়ের গোড়ালি বিচ্ছিন্ন
বোমা হামলার প্রতিবাদে নওয়াপাড়ায় ব্যবসায়ীদের অর্ধদিবস ধর্মঘট
সুনির্দিষ্ট তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে ওই চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। তাদেরকে আদালতে হাজির করা হবে।
রাজধানীর মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ভবনে বিমানবাহিনীর একটি যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের পর বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা ছয় দাবি নিয়ে সচিবালয়ে ঢুকে হামলা চালায়। ওই দিন শাকিল মিয়া নামের এক তরুণ সাংবাদিকদেরকে বলেন, “আমাদের দাবি মানা না হলে আমরা টাকা তুলে শেখ হাসিনাকে আবার ফেরাব।”
ঢাকা/এমআর/রফিক
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
শরীয়তপুরে জুয়ার আসর থেকে বিএনপি ও শ্রমিক লীগ নেতাসহ গ্রেপ্তার ৪
শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জে জুয়ার আসর থেকে বিএনপি ও কার্যক্রম নিষিদ্ধ শ্রমিক লীগ নেতাসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (১ আগস্ট) সকালে উপজেলার কাঁচিকাটা ইউনিয়নের দুলারচর এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- কাঁচিকাটা ইউনিয়নের মৃত আবুল কাশেম দেওয়ানের ছেলে ও ইউনিয়ন শ্রমিক লীগের সদস্য শফি দেওয়ান (৫৩), মৃত ইদ্রিস আলী দেওয়ানের ছেলে দাদন দেওয়ান (৫০), সোবাহান মল্লিকের ছেলে ও কাঁচিকাটা ৬ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জিতু মল্লিক (৫০) এবং চরভাগা ঢালী কান্দি এলাকার আব্দুর রব সরকারের ছেলে ও ৭ নম্বর ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি আল আমিন সরকার (৪৮)।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, দুলারচর এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে জুয়ার আসর বসাচ্ছে একটি চক্র। শুক্রবার সকালে ইউনিয়ন শ্রমিক লীগের সদস্য শফি দেওয়ানের বাড়িতে জুয়ার আসর বসলে সেখানে অভিযান চালায় পুলিশ। এসময় জুয়া খেলার সরঞ্জাম ও নগদ টাকাসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে সখিপুর থানায় মামলা শেষে গ্রেপ্তারকৃতদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
আরো পড়ুন:
২০ শতাংশ শুল্ক দেশের জন্য ভালো খবর: ফখরুল
আ.লীগের নির্যাতন দেশের মানুষের ভুলে গেলে চলবে না: দুলু
দুলারচর এলাকার বাসিন্দা লিয়াকত আলী বলেন, “প্রতিদিন রাতে এলাকায় জুয়ার আসর বসত। আমরা অনেকবার বলেছিলাম, কিন্তু কেউ কথা শোনেনি। তারা রাজনীতির সঙ্গে জড়িত থাকায় সবাই ভয় পায়। আমরা চাই, এই ঘটনার সঠিক বিচার হোক এবং আগামীতে এই ধরনের অসামাজিক কার্যকলাপ না হয়।”
অপর বাসিন্দা রহিম দেওয়ান বলেন, “এরা দিনের বেলায় রাজনীতির নামে এলাকায় প্রভাব বিস্তার করেন আর রাতে জুয়া খেলে সমাজকে নষ্ট করেন। আমরা বিষয়টি অনেক আগেই প্রশাসনকে জানিয়েছিলাম। আমাদের দাবি, এই এলাকা থেকে জুয়ার সবকয়টি আসর বন্ধ করে দেওয়া হয়।”
কাঁচিকাটা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মোয়াল্লেম বেপারি বলেন, “জিতু মল্লিক ও আল আমিন বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। আমি বিষয়টি জেনেছি। জুয়া একটি সামাজিক ব্যাধি। এতে যেই জড়িত থাকুক, প্রশাসনের উচিত সঠিক তদন্ত করে পদক্ষেপ নেওয়া। আমি থানা কমিটির সঙ্গে সমন্বয় করে তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেব।”
সখিপুর থানার ওসি ওবায়দুল হক বলেন, “গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের কাছ থেকে জুয়া খেলার সরঞ্জাম ও নগদ অর্থ জব্দ করা হয়েছে। প্রকাশ্যে জুয়া খেলার অপরাধে গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। শুক্রবার বিকেলে আদালতের মাধ্যমে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়।”
ঢাকা/সাইফুল/মাসুদ