কেটি পেরি ও জাস্টিন ট্রুডোর ডিনার, গুঞ্জন
Published: 30th, July 2025 GMT
মাসখানেক আগে অভিনেতা অরল্যান্ডো ব্লুমের সঙ্গে পপ তারকা কেটি পেরির বাগদান ভেঙেছে। এবার তাঁর সঙ্গে কানাডার সাবেক প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর নাম জড়িয়েছে। গত সোমবার কানাডার মন্ট্রিয়লের একটি রেস্তোরাঁয় একসঙ্গে খাবার খেতে দেখা গেছে তাঁদের। বিষয়টি নিয়ে নানা গুঞ্জন ছড়িয়েছে।
রেস্তোরাঁয় দুজনের ছবি প্রকাশ করেছে টিএমজেড। টিএমজেডের বরাতে মার্কিন সাময়িকী পিপল জানিয়েছে, কেটি পেরি ও জাস্টিন ট্রুডো একসঙ্গে দারুণ সময় কাটাচ্ছেন। ৪০ বছর বয়সী পেরি ও ৫৩ বছর বয়সী ট্রুডোকে মন্ট্রিয়লের লে ভিওলন রেস্তোরাঁয় দেখা গেছে। রাতের খাবার খাওয়ার সময় তাঁরা রেস্টুরেন্টের শেফ ড্যানি স্মাইলসের সঙ্গে দেখা করেন এবং খাওয়া শেষে রান্নাঘরে গিয়ে কর্মীদের ধন্যবাদ জানান।
আরও পড়ুনপাঁচটি অ্যালবামের স্বত্ব বেচলেন কেটি পেরি২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩পেরি ও ট্রুডো লবস্টারসহ নানা পদ দিয়ে রাতের খাবার সেরেছেন। বিষয়টি নিয়ে পেরির কোনো মুখপাত্র এ বিষয়ে মন্তব্য করেননি। ট্রুডোর প্রতিক্রিয়াও পাওয়া যায়নি।
গত জুনে কেটি পেরি ও ৪৮ বছর বয়সী অরল্যান্ডো ব্লুমের বাগদান ভাঙার খবর প্রকাশ্যে এসেছে। কয়েক সপ্তাহ পর তাঁদের প্রতিনিধি জানান, এই বিচ্ছেদ হুট করে নয়, কয়েক পর ধরেই তাঁরা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তাঁদের প্রতিনিধি আরও জানান, সাবেক এই দম্পতি চার বছর ছয় মাস বয়সী মেয়ে ডেইজি ডাভের কল্যাণে সব সময় একসঙ্গে থেকেছেন এবং তার চাহিদাকেই প্রাধান্য দিচ্ছেন।
জাস্টিন ট্রুডো ও তাঁর স্ত্রী সোফি গ্রেগোয়ার ২০২৩ সালের আগস্টে, ১৮ বছরের দাম্পত্যজীবনের অবসান ঘটানোর ঘোষণা দেন। তাঁরা জানান, এটি ছিল পারস্পরিক সম্মানের ভিত্তিতে নেওয়া শান্তিপূর্ণ সিদ্ধান্ত। এই দম্পতির তিন সন্তান রয়েছে—১৭ বছর বয়সী জেভিয়ার, ১৬ বছর বয়সী এলা গ্রেস এবং ১১ বছর বয়সী হাদ্রিয়েন।
জাস্টিন ট্রুডো ও সোফি গ্রেগোয়ারের বিচ্ছেদের সময় ইনস্টাগ্রামে ইংরেজি ও ফরাসি দুই ভাষায় একটি পোস্টে ট্রুডো লেখেন, ‘সোফি ও আমি আপনাদের জানাতে চাই যে বহু গভীর ও কঠিন আলাপের পর আমরা আলাদা হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
ট্রুডো আরও লেখেন, ‘আমরা সব সময় একটি ঘনিষ্ঠ পরিবার হিসেবে একে অপরের প্রতি ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা বজায় রেখেছি এবং আমরা যা কিছু গড়েছি ও গড়ে তুলব—তার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। আমাদের সন্তানদের মঙ্গলের জন্য, আমরা অনুরোধ করছি যেন আপনারা আমাদের এবং আমাদের সন্তানদের গোপনীয়তা রক্ষা করেন। ধন্যবাদ।’
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: বছর বয়স
এছাড়াও পড়ুন:
শাহরুখের অজানা এই সাত তথ্য জানেন?
বলিউড বাদশা শাহরুখ খান। অভিনয় গুণে কোটি কোটি ভক্তের হৃদয়ে দোলা দিয়েছেন তিনি। দীর্ঘ অভিনয় ক্যারিয়ারে যশ-খ্যাতি যেমন পেয়েছেন, তেমনি আয় করেছেন মোটা অঙ্কের অর্থও। রবিবার (২ নভেম্বর) ৬০ বছর পূর্ণ করে একষট্টিতে পা দেবেন এই তারকা। চলুন, বিশেষ এই দিনে শাহরুখ খানের অজানা সাতটি তথ্য জেনে নিই—
এক. ১৯৯২ সালে ‘দিওয়ানা’ সিনেমার মাধ্যমে বলিউডে পা রাখেন শাহরুখ খান। রোমান্টিক ঘরানার এ সিনেমায় অভিনয় করে নজর কাড়েন তিনি। সিনেমাটিতে দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের কারণে সেরা নবাগত অভিনেতা হিসেবে ফিল্মফেয়ার পুরস্কার লাভ করেন শাহরুখ। কিন্তু সিনেমাটিতে শাহরুখ খানের চরিত্রে অভিনয় করার কথা ছিল তারকা পুত্র আরমান কোহলির। অভিজ্ঞ পরিচালক রাজ কুমার কোহলির রাগী ছেলে আরমান সিনেমাটির একটি শিডিউল শেষ করে পরিচালক রাজ কানওয়ারের সঙ্গে ঝগড়া করে সেট ছেড়ে চলে যান। প্রযোজকরা তখন তড়িঘড়ি করে একটি নতুন মুখ খুঁজতে থাকেন, যে চরিত্রটির সঙ্গে মানানসই। তারপর আরমানের চরিত্রটি রূপায়নের সুযোগ পান নবাগত শাহরুখ খান।
আরো পড়ুন:
পাকিস্তানের সন্ত্রাসী তালিকায় সালমান খান কেন?
নেচে প্রেমের গুঞ্জন উসকে দিলেন শাহরুখকন্যা
দুই. দক্ষিণী সিনেমার বরেণ্য অভিনেতা কমল হাসানের ‘হে রাম’ সিনেমায় শাহরুখের চরিত্রের নাম ছিল আমজাদ খান। ‘শোলে’ সিনেমায় গব্বর সিংয়ের চরিত্রে অভিনয় করেন আমজাদ খান। তার নাম অনুসারে ‘হে রাম’ সিনেমার আমজাদ চরিত্রের নামকরণ করা হয়। কারণ কমল হাসান ও আমজাদ খানের খুব ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিলেন। এই সিনেমায় অভিনয়ের জন্য এক টাকাও পারিশ্রমিক নেননি শাহরুখ। এক সাক্ষাৎকারে শাহরুখ খান বলেছিলেন—“কমল হাসানের মতো অভিনেতার সঙ্গে কাজ করার সুযোগ পেয়ে কেউ টাকা নেয় না।”
তিন. শাহরুখ ও আমির খান কখনো একসঙ্গে কোনো সিনেমায় কাজ করেননি। তবে আমির খানের কাজিন মনসুর আলীর ‘জোশ’ সিনেমায় একসঙ্গে কাজ করার বিষয়টি প্রায় চূড়ান্ত হয়েছিল। মনসুর চেয়েছিলেন, সিনেমার গল্পে আমির খান ঐশ্বরিয়ার প্রেমিক চরিত্রে অভিনয় করুক। কিন্তু আমির চেয়েছিলেন, ঐশ্বরিয়ার জমজ ভাইয়ের চরিত্র। কিন্তু তা হয়নি। ফলে কাজটি ছেড়ে দেন আমির খান। সর্বশেষ পরিচালকের নির্ধারিত চরিত্রে (ম্যাক্স ডিয়াস অর্থাৎ ঐশ্বরিয়ার ভাই) অভিনয় করেন শাহরুখ খান।
চার. শাহরুখ খান প্রয়াত বলিউড অভিনেত্রী শ্রীদেবীর বিপরীতে অভিনয়ের জন্য মুখিয়ে ছিলেন। সর্বশেষ ‘আর্মি’ সিনেমায় সেই সুযোগ হয়। যদিও সিনেমাটিতে ক্যামিও চরিত্রে (মেজর অর্জুন) অভিনয়ের সুযোগ পান, তারপরও এটি লুফে নেন শাহরুখ খান।
পাঁচ. ‘কয়লা’ সিনেমায় শঙ্কর চরিত্রে অভিনয় করেন শাহরুখ। চরিত্রটি ছিল বোবার। প্রথমে তার কোনো সংলাপই ছিল না। কিন্তু এ নিয়ে চলচ্চিত্র পরিবেশকরা আপত্তি জানান। তারা প্রশ্ন তুলেন—‘সুপারস্টারের মুখে একটি কথাও থাকবে না?’ তাই পরিচালক-প্রযোজক রাকেশ রোশান বাধ্য হয়ে স্বপ্নদৃশ্যে শাহরুখের কিছু সংলাপ যোগ করে দেন।
ছয়. বলিউড বাদশা শাহরুখ খান তার সব সহ-অভিনয়শিল্পীদেরই ভালোবাসেন। কিন্তু তার প্রিয় হলেন রাখি গুলজার। ‘করন অর্জুন’ সিনেমায় শাহরুখের মায়ের চরিত্রে অভিনয় করেন এই অভিনেত্রী। শাহরুখ তাকে নিজের মায়ের মতোই ভালোবাসেন।
সাত. শাহরুখ খান অনেকবার নিজের নাম ভূমিকায় অভিনয় করেছেন। ১৯৯৮ সালে ‘আচানাক’ সিনেমায় প্রথমবার শাহরুখ চরিত্রে অভিনয় করেন। যদিও গোবিন্দ অভিনীত সিনেমাটিতে শাহরুখের ক্যামিও চরিত্র ছিল। এর দুই বছর পর এম. এফ. হোসেনের ‘গজ গামিনি’ সিনেমায় নিজের চরিত্রে অভিনয় করেন। এটিও ক্যামিও চরিত্র ছিল।
১৯৯৫ সালে শাহরুখ খানের সাংবাদিক বন্ধু সমর খান, শাহরুখের উপর একটি প্রামাণ্যচিত্র নির্মাণ করেন। তাতে শাহরুখ খান নিজের নামে অভিনয় করেন। ২০০৯ সালে জোয়া আখতারের ‘লাক বাই চান্স’, ২০১১ সালে নবাগত পরিচালক সাহিল সাংঘার ‘লাভ ব্রেকআপস জিন্দেগি’, ২০১০ সালে মকরন্দ দেশপান্ডের শাহরুখ বোলা ‘খুবসুরত হ্যায় তু’ সিনেমায় শাহরুখ নিজের নাম নিয়েই পর্দায় হাজির হন।
তথ্যসূত্র: বলিউড হাঙ্গামা
ঢাকা/শান্ত