জাতীয় দলের হয়ে কেবল একটি টি-টোয়েন্টি খেলেছেন পেসার খালেদ আহমেদ। উইকেট পাননি। টেস্ট দলের নিয়মিত এই ক্রিকেটার সীমিত পরিসরে খুব একটা সুযোগ পান না। ১৬ টেস্টের বিপরীতে ওয়ানডে খেলেছেন দুইটি।
তবে সম্প্রতি ওয়েস্ট ইন্ডিজে গ্লোবাল সুপার লিগে খালেদ যেভাবে দ্যুতি ছড়িয়েছেন তাতে নির্বাচকরা তার দিকে নজরও দিতে পারেন। ৪ ইনিংসে পেয়েছেন ১১ উইকেট। বোলিং গড় ৭.
তবে প্রশ্ন উঠছে, জাতীয় দলের টি-টোয়েন্টি দলে খালেদের কী সুযোগ আছে? যারা নিয়মিত খেলছেন তাদের মধ্যে কাকে বাদ দেবেন নির্বাচকরা?
আরো পড়ুন:
এশিয়া কাপে ফাইনাল খেলতে আত্মবিশ্বাসী খালেদ
ওভালে টস হেরে ব্যাটিংয়ে ভারত, একাদশে চার পরিবর্তন
তাসকিন আহমেদ, শরিফুল ইসলাম, মোস্তাফিজুর রহমান, তানজিম হাসান সাকিব টি-টোয়েন্টিতে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে খেলছেন। তাদের সঙ্গে আছেন সাইফ উদ্দিন, হাসান মাহমুদ। সঙ্গে খালেদ আহমেদের নামটাও আসছে। একটা সময়ে পেস আক্রমণের মান নিয়ে অনেক প্রশ্ন উঠত। এখন নতুন বলে পেসাররাই ভরসা। ফরম্যাট বদলালেও তারা শুরুতেই এনে দিতে পারছেন সাফল্য। ভরসা হয়ে উঠায় তাদের মধ্যে চলছে প্রতিযোগিতা। এই প্রতিযোগিতাকে বেশ সাধুবাদ জানিয়েছেন খালেদ।
বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) ডানহাতি পেসার বলেছেন, ‘‘অবশ্যই প্রতিযোগিতা থাকা ভালো। এটা যেকোনো দেশের জন্যই ইতিবাচক। দেখুন, আপনি যখন প্রতিযোগিতার মধ্যে থাকবেন তখন কাজ করার আগ্রহ আরও বাড়বে। আমি আমার নিজের ক্ষেত্রে বলতে পারি, আমার ফিটনেস আরও বাড়ানোর চেষ্টা করছি যাতে আমি অন্যদের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করতে পারি। এটা আমাকে অনুপ্রাণিত করে। আমি যদি পিছিয়ে যাই, তাহলে অনেক পিছিয়ে পড়ব। তাই আমার চেষ্টা থাকে অন্যদের থেকে এগিয়ে থাকার।’’
দেশের বাইরে ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট খেলার অভিজ্ঞতা নিয়ে খালেদ যোগ করেন, ‘‘এটা ভালো একটা সুযোগ ছিল। যেহেতু এটা গ্লোবাল একটা টুর্নামেন্ট ছিল এবং বিভিন্ন দেশের দল খেলতে গিয়েছিল। পাঁচটি দেশের প্রতিনিধি ছিল। আমি বাংলাদেশ থেকে গিয়েছিলাম। আমরা সব দলের সাথেই খেলেছি। আমার ভালো লেগেছে যে সবাই আমার খেলা দেখতে পেরেছে। আমি চেষ্টা করেছি ভালো পারফর্ম করার। কারণ, এখানে ভালো করলে একটি পরিচিতি পাওয়া যাবে এবং সবাই দেখবে যে আমি ভালো খেলছি।’’
শ্রীলঙ্কায় টেস্ট একাদশে সুযোগ না পেয়ে সাদা বলে অনুশীলন করছিলেন খালেদ। সেখান থেকেই শুরু হয় তার গ্লোবাল সুপার লিগে খেলার প্রস্তুতি। পাশে পেয়েছিলেন পেস বোলিং কোচ শন টেইটকে। তবে স্থানীয় দুই কোচ নাজমুল হোসেন ও তালহা জুবায়েরকে নিয়ে কাজ করেছেন বলে জানালেন তিনি, ‘‘শন টেইটের সঙ্গে কথা হয়। সে একটা কথাই বলেন, যা আমি বিপিএলের সময়েও বলেছি। সে আমাকে সিম্পল খেলতে বলেছেন এবং বিভ্রান্ত না হতে বলেছেন। কারণ, বিভ্রান্ত হলে অনেক কিছু এলোমেলো হয়ে যায়। সে আমাকে যতটা সম্ভব সিম্পল ও সোজাসাপ্টা থাকতে বলেছেন। এছাড়া আমাদের স্থানীয় কোচ বিশেষ করে নাজমুল ভাই ও তালহা ভাইয়ের সঙ্গেও আমার কথা হয়। খেলার আগের দিনও নাজমুল ভাইয়ের সঙ্গে কথা বলেছিলাম যে কী করলে ভালো হয়। যেহেতু আমাদের কোনো বিশেষজ্ঞ পেস বোলিং কোচ ছিলেন না, তাই আমি শন টেইটকে পাইনি। তখন আমি নাজমুল ভাইকে ফোন করেছিলাম এবং সেও একই কথা বলেছিলেন—প্রতিটি ওভারে কীভাবে খেলায় ফেরা যায়, সেই চিন্তা করতে।’’
ঢাকা/ইয়াসিন/আমিনুল
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
বিনা মূল্যে কম্পিউটার প্রশিক্ষণের সুযোগ, সারা দেশে ৮টি কেন্দ্রে
ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ইমাম প্রশিক্ষণ একাডেমি ২০২৫-২৬ অর্থবছরে হাফেজ, ইমাম, মাদ্রাসাছাত্র ও বেকার যুবকদের বিনা কোর্স ফিতে কম্পিউটার প্রশিক্ষণের দ্বিতীয় কোর্সে প্রক্রিয়া শুরু করেছে। এ প্রশিক্ষণের মেয়াদ দুই মাস। প্রশিক্ষণটি আগামী ১২ অক্টোবর শুরু হবে, চলবে ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত। প্রশিক্ষণ শেষে ইসলামিক ফাউন্ডেশন থেকে প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে সরকারি সনদ দেওয়া হবে। আগ্রহী প্রার্থীদের ৯ অক্টোবরের মধ্যে ইমাম প্রশিক্ষণ একাডেমিতে আবেদন করতে হবে।
প্রশিক্ষণের বিষয়১. বেসিক কম্পিউটার,
২. অফিস অ্যাপ্লিকেশন ও ইউনিকোড বাংলা,
৩. ইন্টারনেট,
৪. গ্রাফিক ডিজাইন,
৫. ফ্রিল্যান্সিং,
৬. মার্কেটপ্লেস ও কনসালটিং।
আরও পড়ুনহার্ভার্ড এনভায়রনমেন্টাল ফেলোশিপ, দুই বছরে ১ লাখ ৮৫ হাজার ডলার১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫আবেদনের যোগ্যতা১. ন্যূনতম দাখিল বা সমমানের পরীক্ষায় পাস হতে হবে,
২. হাফেজদের ক্ষেত্রে শিক্ষাগত যোগ্যতা শিথিল করা হবে,
৩. উচ্চতর শিক্ষাগত যোগ্যতা সম্পন্ন প্রার্থীকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে,
৪. প্রার্থীকে কম্পিউটার চালনায় বেসিক জ্ঞান থাকতে হবে,
৫. যাঁদের নিজস্ব কম্পিউটার আছে, তাঁদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।
ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ইমাম প্রশিক্ষণ একাডেমি ২০২৫-২৬ অর্থবছরে হাফেজ, ইমাম, মাদ্রাসাছাত্র ও বেকার যুবকদের বিনা কোর্স ফিতে কম্পিউটার প্রশিক্ষণের দ্বিতীয় কোর্সে প্রক্রিয়া শুরু করেছে।যে ৮টি কেন্দ্রে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে১. ঢাকা,
২. চট্টগ্রাম,
৩. রাজশাহী,
৪. খুলনা,
৫. বরিশাল,
৬. সিলেট,
৭. দিনাজপুর,
৮. গোপালগঞ্জ।
আরও পড়ুনবিনা মূল্যে ২ লাখ টাকার প্রশিক্ষণ, নন-আইটি স্নাতক শিক্ষার্থীদের সুযোগ ৭ ঘণ্টা আগেদরকারি কাগজপত্র১. শিক্ষাগত যোগ্যতার সব সনদের সত্যায়িত ফটোকপি,
২. জাতীয় পরিচয়পত্রের সত্যায়িত ফটোকপি,
৩. এক কপি পাসপোর্ট সাইজের সত্যায়িত ছবি জমা দিতে হবে,
৪. ইমামদের ক্ষেত্রে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান অথবা ওয়ার্ড কমিশনারের কাছ থেকে নেওয়া ইমামতির প্রমাণপত্রের সত্যায়িত কপি জমা দিতে হবে,
৫. মাদ্রাসাছাত্রদের ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানের প্রধানের কাছ থেকে ছাত্রত্ব প্রমাণের কপি জমা দিতে হবে।
নিবন্ধন ফিমনোনীত প্রার্থীদের নিবন্ধন ফি হিসেবে ৫০০ টাকা দিতে হবে।
দেশের ৮টি প্রশিক্ষণকেন্দ্রে এ প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে