গতকাল বৃহস্পতিবার এক নির্বাহী আদেশে নতুন আমদানি শুল্ক আরোপ করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ধারাবাহিকভাবে বাণিজ্য ঘাটতির কারণে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা ও অর্থনীতি হুমকির মুখে পড়েছে উল্লেখ করে নতুন এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানান ট্রাম্প।
নতুন এই আদেশ অনুযায়ী, যেসব দেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য সম্পর্ক এখনো সমান নয়, সেসব দেশের পণ্যের ওপর অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ করা হয়েছে। তবে ইউরোপীয় ইউনিয়নের পণ্যগুলোর ওপর শুল্ক হারের একটি নির্দিষ্ট নিয়ম প্রযোজ্য হবে।
বাণিজ্য সম্পর্ক অসমান থাকার পরেও যেসব দেশ যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে অর্থনৈতিক ও নিরাপত্তা সম্পর্ক জোরদার করতে সম্মত হয়েছে, সেসব দেশের জন্য কিছু ছাড় থাকছে। তবে ওই সব দেশ চুক্তি সম্পন্ন না করা পর্যন্ত পূর্ববর্তী শুল্কই কার্যকর থাকবে।
আরো পড়ুন:
ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি: কানাডার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ট্রাম্পের হুুঁশিয়ারি
ব্রাজিলের ওপর ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা ট্রাম্পের
হোয়াইট হাউসের ওয়েবসাইটে নতুন এ নির্বাহী আদেশ অনুসারে কোন দেশে কত শুল্ক আরোপ করা হয়েছে, তার একটি তালিকা দেওয়া হয়েছে। তালিকা অনুসারে দেখে নেওয়া যাক কোন দেশে কত শুল্ক আরোপ করা হয়েছে।
বাংলাদেশ ২০%
আফগানিস্তান ১৫%
আলজেরিয়া ৩০%
অ্যাঙ্গোলা ১৫%
বলিভিয়া ১৫%
বসনিয়া ও হার্জেগোভিনা ৩০%
বতসোয়ানা ১৫%
ব্রাজিল ১০%
ব্রুনেই ২০%
কম্বোডিয়া ১৯%
ক্যামেরুন ১৫%
চাদ ১৫%
কোস্টারিকা ১৫%
কোট দিভোয়ার (আইভরি কোস্ট) ১৫%
কঙ্গো গণপ্রজাতন্ত্রী ১৫%
ইকুয়েডর ১৫%
ইকুয়েটোরিয়াল গিনি ১৫%
ভারত ২৫%
ইন্দোনেশিয়া ১৯%
ইরাক ৩৫%
ইসরায়েল ১৫%
জাপান ১৫%
জর্ডান ১৫%
কাজাখস্তান ২৫%
লাওস ৪০%
ফকল্যান্ড দ্বীপপুঞ্জ ১০%
ফিজি ১৫%
ঘানা ১৫%
গায়ানা ১৫%
আইসল্যান্ড ১৫%
লেসোথো ১৫%
লিবিয়া ৩০%
লিচটেনস্টেইন ১৫%
মাদাগাস্কার ১৫%
মালাউই ১৫%
মালয়েশিয়া ১৯%
মরিশাস ১৫%
মলদোভা ২৫%
মোজাম্বিক ১৫%
মিয়ানমার (বার্মা) ৪০%
নামিবিয়া ১৫%
নাউরু ১৫%
নিউজিল্যান্ড ১৫%
নিকারাগুয়া ১৮%
নাইজেরিয়া ১৫%
নর্থ মেসেডোনিয়া ১৫%
নরওয়ে ১৫%
পাকিস্তান ১৯%
পাপুয়া নিউগিনি ১৫%
ফিলিপাইন ১৯%
সার্বিয়া ৩৫%
দক্ষিণ আফ্রিকা ৩০%
দক্ষিণ কোরিয়া ১৫%
শ্রীলঙ্কা ২০%
সুইজারল্যান্ড ৩৯%
সিরিয়া ৪১%
তাইওয়ান ২০%
থাইল্যান্ড ১৯%
ত্রিনিদাদ ও টোবাগো ১৫%
তিউনিসিয়া ২৫%
তুরস্ক ১৫%
উগান্ডা ১৫%
যুক্তরাজ্য ১০%
ভানুয়াতু ১৫%
ভেনেজুয়েলা ১৫%
ভিয়েতনাম ২০%
জাম্বিয়া ১৫%
জিম্বাবুয়ে ১৫%
ঢাকা/লিপি
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর য ক তর ষ ট র য ক তর ষ ট র র সব দ শ
এছাড়াও পড়ুন:
জকসু নির্বাচন নিয়ে ছাত্রদলের ১২ দাবি
আসন্ন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) নির্বাচনকে সামনে রেখে ১২ দফা দাবি জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদল।
সোমবার (৩ নভেম্বর) সংগঠনটির নেতারা জকসুর প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. মোস্তফা হাসানের কাছে এসব দাবি জানিয়ে স্মারকলিপি প্রদান করেন।
আরো পড়ুন:
২৭ নভেম্বর জকসু নির্বাচন না হলে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে প্রতারণা হবে: আপ বাংলাদেশ
২৭ নভেম্বরই জকসু নির্বাচন চায় ছাত্রশিবির
স্মারকলিপিতে ছাত্রদল অভিযোগ করেছে, জকসু নির্বাচনকে ঘিরে বিভিন্ন গোষ্ঠী সংবিধি ও আচরণবিধি নিয়ে বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচার করছে। তারা বিশ্বাস করে, নির্বাচন কমিশন একটি নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন আয়োজনের জন্য দায়বদ্ধ।
স্মারকলিপিতে উল্লেখিত ছাত্রদলের ১২ দফা দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে- ছবিসহ ভোটার তালিকা প্রকাশ করতে হবে; নির্বাচনে অমোচনীয় কালি ব্যবহার বাধ্যতামূলক করতে হবে; স্বচ্ছ গ্লাসের ব্যালট বাক্স ব্যবহার করতে হবে এবং প্রতিটি বাক্সে আলাদা নম্বর থাকতে হবে; ব্যালট ছাপানোর সংখ্যা, কাস্টিং ভোটার ও নষ্ট ব্যালটের সংখ্যা প্রকাশ করতে হবে; কোনো মিডিয়া ট্রায়ালের ক্ষেত্রে (ভুল তথ্য প্রচার হলে) সংশ্লিষ্ট সাংবাদিকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে, তবে সরকার অনুমোদিত সব মিডিয়াকে অবাধ স্বাধীনতা দিতে হবে; পোলিং এজেন্টরা নিজ কেন্দ্রেই অবস্থান করবেন, তবে অন্য কেন্দ্রে প্রবেশ বা অনুমতি ছাড়া পরিবর্তন করা যাবে না।
বাকি দাবিগুলো হলো- ডাকসু, চাকসু, রাকসু ও জাকসুর নির্বাচনের সময়সূচি বিবেচনা করে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের যোগাযোগের সুবিধা অনুযায়ী যথাযথ সময় রেখে জকসু নির্বাচন নির্ধারণ করতে হবে; আস সুন্নাহ ফাউন্ডেশন হলে নির্বাচনী প্রচারণার আচরণবিধি স্পষ্টভাবে নির্ধারণ করতে হবে, পাশাপাশি ফাউন্ডেশনের চুক্তি ও অবস্থান বিষয়ে বিস্তারিত জানাতে হবে; অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো এমফিল শিক্ষার্থীদেরও জকসু নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ দিতে হবে এবং বিধিমালা থেকে তাদের বাদ দেওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করতে হবে।
এছাড়া জকসুর আচরণবিধির ৬ নম্বর ধারার আলোকে সক্রিয় ছাত্রসংগঠনগুলোর পূর্ণাঙ্গ কমিটির সদস্যদের জন্য বিশেষ কার্ড দিতে হবে, যা নির্বাচনের ৪৮ ঘণ্টা আগে কার্যকর হবে; রাজনৈতিক সংগঠনগুলোর কার্যকরী কমিটির সদস্যদের নির্বাচনী প্রচার ও অংশগ্রহণের সুযোগ দিতে হবে; জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের ঘোষিত ধারাবাহিক কর্মসূচি চলমান রাখার সুযোগ দেওয়ার দাবি করেন।
নির্বাচন কমিশনকে অনুরোধ জানিয়ে সংগঠনটির পক্ষ থেকে স্মারকলিপিতে আরো বলা হয়েছে, যেন একটি গণতান্ত্রিক, নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের আয়োজন করা হয়, যেখানে সব ছাত্র সংগঠনের অংশগ্রহণ নিশ্চিত হয়। অন্যথায়, কমিশন কোনো গোষ্ঠীর প্রভাব বা চাপের মুখে পড়ছে বলে শিক্ষার্থীদের মনে হতে পারে।
ছাত্রদলের নেতারা জানান, তারা সন্তোষজনকভাবে নির্বাচন কমিশনের কাছে দাবি উপস্থাপন করেছে এবং কমিশনের নিরপেক্ষ ভূমিকার ওপর তাদের আস্থা রয়েছে।
ঢাকা/লিমন/মেহেদী