গায়ক ইমন খান ২০০০ সাল–পরবর্তী গান শেখার অনুপ্রেরণা পেতেন আরেক গায়ক মনির খানের গান শুনে। প্রিয় গায়কের কোনো অ্যালবাম প্রকাশ পেলেই সেটা সঙ্গে সঙ্গে সংগ্রহ করা ছিল দীর্ঘদিনের অভ্যাস। ক্যারিয়ারের শুরুতে বছরের পর বছর প্রিয় গায়কের গান শুনেই গানের দীক্ষা পেয়েছেন ইমন। সংগীতের শিক্ষা হিসেবে নিতেন তাঁর গানগুলো। শুধু তা–ই নয়, গানের জগতে মনির খানকে গুরু মানেন ‘আজও প্রতি রাত জেগে থাকি তোমার আশায়’ খ্যাত এই গায়ক। সেই প্রিয় গায়কের জন্মদিন ছিল গতকাল। ইমন লিখেছেন, ‘শুভ জন্মদিন গুরুজি, আপনার গান শুনে মনের অজান্তে হু হু করে কেঁদে বুক ভাসিয়েছি।’

মনির খান ও ইমন খান। ছবি: ইমনের সৌজন্যে.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

জুলাই সনদের ভিত্তিতে আগামী নির্বাচন হতে হবে: নাহিদ

জুলাই ঘোষণাপত্র অবশ্যই সংবিধানের প্রস্তাবনা ও তফশিলে উল্লেখ করে সাংবিধানিক স্বীকৃতি দিতে হবে জানিয়ে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি থাকতে হবে। জুলাই সনদের ভিত্তিতে আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে হবে। আমরা নির্বাচিত সংসদের হাতে এই সংস্কার কার্যক্রম ছেড়ে দেব না, বরং জুলাই সনদের ভিত্তিতেই আগামী সংসদ গঠিত হবে, গণপরিষদ গঠিত হবে। এবং অর্ন্তর্বতী সরকারের আমলেই এই সনদ কার্যকর করতে হবে।

শনিবার (২ আগস্ট) রাজধানীর বাংলামোটরে দলটির কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। 

নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘‘জুলাই পদযাত্রায় আমরা গণহত্যার বিচার, সংস্কার এবং নতুন সংবিধানের দাবি জানিয়েছিলাম। পাশাপাশি আমরা জুলাই ঘোষণাপত্র ও জুলাই সনদের কথা বলেছিলাম। পাশাপাশি আমাদের দাবি ছিল, ৫ আগস্টের মধ্যে জুলাই সনদের বিষয়টিও যেন সুরাহা হয়।’’

আরো পড়ুন:

জুলকারনাইনের পাঁচ প্রশ্ন ও রিয়াদকে গ্রেপ্তার প্রসঙ্গ

মানুষ পরিবর্তন চায়, এনসিপিকে চায়, নরসিংদীতে নাহিদ

আগামী ৫ আগস্ট সরকারের পক্ষ থেকে জুলাই ঘোষণাপত্র দেওয়ার ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়ে নাহিদ ইসলাম আরো বলেন, ‘‘সরকারের পক্ষ থেকে আমরা জানতে পেরেছি, জুলাই ঘোষণাপত্রটি সরকার আগামী ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের সব পক্ষ এবং রাজনৈতিক দলের সমন্বয়ে ঘোষণা করতে যাচ্ছে। যদিও ঐক্যমত্য কমিশন এখনো জানায়নি ‘নোট অব ডিসেন্টে’র বিষয়গুলোর সমাধান কী হবে।’’

গত বছর ৩ আগস্ট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সরকার পতন ও ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থা বিলোপের দাবিতে এক দফা ঘোষণা করা হয়েছিল। আগামীকাল রবিবার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সমাবেশের মাধ্যমে জুলাই পদযাত্রার আনুষ্ঠানিক সমাপ্তি হবে। এই সমাবেশ থেকে নতুন বাংলাদেশের ইশতেহার পাঠ করা হবে। সেখানে এনসিপির পক্ষ থেকে ভবিষ্যৎ বাংলাদেশের রূপরেখা এবং কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলে জানান তিনি। 

উল্লেখ্য আগামীকাল বিকেল ৪টায় এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে বলে আজ শনিবার দলটির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে প্রকাশিত এক পোস্টে জানানো হয়। পোস্টে এনসিপির নেতাকর্মীসহ সারাদেশের মানুষকে স্বতঃস্ফূর্তভাবে সমাবেশে অংশগ্রহণ করার আহ্বান জানানো হয়েছে।  

সমাবেশের বিষয়ে এনসিপির আহ্বায়ক বলেন, ‘‘আগামীকাল এইচএসসি পরীক্ষা আছে। এছাড়া ছাত্রদলের সমাবেশ রয়েছে। একই এলাকায় দুটি বড় কর্মসূচি থাকায় ভোগান্তি হতে পারে।’’

এ জন্য তিনি ঢাকাবাসী এবং এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের কাছে দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, ‘‘৩ আগস্ট একটা ঐতিহাসিক দিন। এ কারণে এই দিনে এই সমাবেশ করছি আমরা। এই দিনের বিশেষ গুরুত্বের কারণে ছুটির দিনের বাইরে এটা করতে হচ্ছে। তবে আমাদের চেষ্টা থাকবে যেন মানুষের ভোগান্তি কম হয়।’’ 

সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের উত্তরে নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘‘জুলাই গণঅভ্যুত্থানের যে আকাঙ্ক্ষা ছিল, এই এক বছরে তার পূর্ণতা আমরা লক্ষ্য করিনি। জুলাই সনদের মধ্য দিয়ে সেই আকাঙ্ক্ষাটা আংশিক পূরণ হবে। দেশের একটা গণতান্ত্রিক সংস্কার হচ্ছে। কিন্তু অর্থনৈতিক সংস্কার, কর্মসংস্থান এবং মানুষের জীবনমানের পরিবর্তনের বিষয়গুলো নিয়ে এত অল্প সময়ের মধ্যে কাজ করা সম্ভব হয়নি। কিন্তু এই সম্ভাবনাকে এগিয়ে নিতে এনসিপির জন্ম।’’
 

ঢাকা/রায়হান

সম্পর্কিত নিবন্ধ