১২৩ বছরের রেকর্ড ভেঙে জিততে পারবে কি ইংল্যান্ড?
Published: 3rd, August 2025 GMT
ওভাল টেস্ট ক্রমেই রূপ নিচ্ছে এক ঐতিহাসিক সংঘর্ষে। ভারতের বিপক্ষে শেষ টেস্টে ইংল্যান্ডের সামনে দাঁড়িয়ে ১২৩ বছরের পুরনো রেকর্ড। এ মাঠে এত বড় রান তাড়া করে জেতেনি কোনো দল। তবে অসম্ভবকে সম্ভব করার লড়াইয়ে নেমেছে বেন স্টোকসের দল।
ভারতের দেওয়া ৩৭৪ রানের বিশাল লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে তৃতীয় দিন শেষে ইংল্যান্ডের সংগ্রহ ১ উইকেটে ৫০ রান। অর্থাৎ জয়ের জন্য তাদের দরকার আরও ৩২৪ রান। আর ভারতের চাই বাকি ৯টি উইকেট। হাতে আছে দুই দিন, ফলে ম্যাচ গড়িয়েছে এক রুদ্ধশ্বাস সমাপ্তির দিকে।
ভারতের হয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে ভিত গড়ে দেন আকাশ দীপ (৬৬) ও যশস্বী জয়সওয়াল (১১৮)। এই জুটির শতরানের পার্টনারশিপই দলকে পৌঁছে দেয় লড়াইয়ের উপযুক্ত পুঁজি ৩৯৬ রানে। এর আগে প্রথম ইনিংসে ২২৩ রান করেছিল ভারত।
আরো পড়ুন:
সবুজ পিচে বিপর্যস্ত ভারত, দ্বিতীয় দিনের শুরুতেই ২২৪ রানে অলআউট
কাঁধের চোটে সিরিজ থেকে ছিটকে গেলেন ওকস
ইংল্যান্ডও প্রথম ইনিংসে ভালো শুরু করলেও, মোহাম্মদ সিরাজ ও প্রসিদ্ধ কৃষ্ণার জোড়া ৪ উইকেট করে শিকার তাদের থামিয়ে দেয় ২৪৭ রানে।
ওভালের ইতিহাস বলে, সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জয় এসেছে ১৯০২ সালে। ইংল্যান্ড ২৬৩ রান করেছিল অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে। এরপর এক শতাব্দীর বেশি সময়েও কেউ এই সীমা পেরোতে পারেনি। অথচ এবার ইংল্যান্ডের লক্ষ্য আরও ১১১ রান বেশি।
টেস্ট সিরিজে ইংল্যান্ড এখন ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে। শেষ ম্যাচটি ড্র না হয়ে ফলাফলমুখী হবে বলেই মনে করছেন ক্রিকেট বিশ্লেষকরা। এমন উত্তেজনাকর পটভূমিতে দাঁড়িয়ে আজ শুরু হচ্ছে চতুর্থ দিন। মাঠে নামছে ইতিহাস গড়ার স্বপ্নে বিভোর ইংল্যান্ড আর সমতায় ফেরার জন্য মরিয়া ভারত।
আজ যদি ওভালের সেই শতাব্দীপ্রাচীন ইতিহাস ভেঙে ফেলে ইংল্যান্ড, তবে সেটি হবে ক্রিকেট ইতিহাসের এক অবিস্মরণীয় অধ্যায়। আর ভারত যদি আটকে দেয় ইংলিশ রথের গতিরথ, তবে তা হবে তাদের বোলারদের অগ্নিপরীক্ষার জয়।
ঢাকা/আমিনুল
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
জকসু নির্বাচন নিয়ে ছাত্রদলের ১২ দাবি
আসন্ন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) নির্বাচনকে সামনে রেখে ১২ দফা দাবি জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদল।
সোমবার (৩ নভেম্বর) সংগঠনটির নেতারা জকসুর প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. মোস্তফা হাসানের কাছে এসব দাবি জানিয়ে স্মারকলিপি প্রদান করেন।
আরো পড়ুন:
২৭ নভেম্বর জকসু নির্বাচন না হলে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে প্রতারণা হবে: আপ বাংলাদেশ
২৭ নভেম্বরই জকসু নির্বাচন চায় ছাত্রশিবির
স্মারকলিপিতে ছাত্রদল অভিযোগ করেছে, জকসু নির্বাচনকে ঘিরে বিভিন্ন গোষ্ঠী সংবিধি ও আচরণবিধি নিয়ে বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচার করছে। তারা বিশ্বাস করে, নির্বাচন কমিশন একটি নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন আয়োজনের জন্য দায়বদ্ধ।
স্মারকলিপিতে উল্লেখিত ছাত্রদলের ১২ দফা দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে- ছবিসহ ভোটার তালিকা প্রকাশ করতে হবে; নির্বাচনে অমোচনীয় কালি ব্যবহার বাধ্যতামূলক করতে হবে; স্বচ্ছ গ্লাসের ব্যালট বাক্স ব্যবহার করতে হবে এবং প্রতিটি বাক্সে আলাদা নম্বর থাকতে হবে; ব্যালট ছাপানোর সংখ্যা, কাস্টিং ভোটার ও নষ্ট ব্যালটের সংখ্যা প্রকাশ করতে হবে; কোনো মিডিয়া ট্রায়ালের ক্ষেত্রে (ভুল তথ্য প্রচার হলে) সংশ্লিষ্ট সাংবাদিকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে, তবে সরকার অনুমোদিত সব মিডিয়াকে অবাধ স্বাধীনতা দিতে হবে; পোলিং এজেন্টরা নিজ কেন্দ্রেই অবস্থান করবেন, তবে অন্য কেন্দ্রে প্রবেশ বা অনুমতি ছাড়া পরিবর্তন করা যাবে না।
বাকি দাবিগুলো হলো- ডাকসু, চাকসু, রাকসু ও জাকসুর নির্বাচনের সময়সূচি বিবেচনা করে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের যোগাযোগের সুবিধা অনুযায়ী যথাযথ সময় রেখে জকসু নির্বাচন নির্ধারণ করতে হবে; আস সুন্নাহ ফাউন্ডেশন হলে নির্বাচনী প্রচারণার আচরণবিধি স্পষ্টভাবে নির্ধারণ করতে হবে, পাশাপাশি ফাউন্ডেশনের চুক্তি ও অবস্থান বিষয়ে বিস্তারিত জানাতে হবে; অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো এমফিল শিক্ষার্থীদেরও জকসু নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ দিতে হবে এবং বিধিমালা থেকে তাদের বাদ দেওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করতে হবে।
এছাড়া জকসুর আচরণবিধির ৬ নম্বর ধারার আলোকে সক্রিয় ছাত্রসংগঠনগুলোর পূর্ণাঙ্গ কমিটির সদস্যদের জন্য বিশেষ কার্ড দিতে হবে, যা নির্বাচনের ৪৮ ঘণ্টা আগে কার্যকর হবে; রাজনৈতিক সংগঠনগুলোর কার্যকরী কমিটির সদস্যদের নির্বাচনী প্রচার ও অংশগ্রহণের সুযোগ দিতে হবে; জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের ঘোষিত ধারাবাহিক কর্মসূচি চলমান রাখার সুযোগ দেওয়ার দাবি করেন।
নির্বাচন কমিশনকে অনুরোধ জানিয়ে সংগঠনটির পক্ষ থেকে স্মারকলিপিতে আরো বলা হয়েছে, যেন একটি গণতান্ত্রিক, নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের আয়োজন করা হয়, যেখানে সব ছাত্র সংগঠনের অংশগ্রহণ নিশ্চিত হয়। অন্যথায়, কমিশন কোনো গোষ্ঠীর প্রভাব বা চাপের মুখে পড়ছে বলে শিক্ষার্থীদের মনে হতে পারে।
ছাত্রদলের নেতারা জানান, তারা সন্তোষজনকভাবে নির্বাচন কমিশনের কাছে দাবি উপস্থাপন করেছে এবং কমিশনের নিরপেক্ষ ভূমিকার ওপর তাদের আস্থা রয়েছে।
ঢাকা/লিমন/মেহেদী